আমরা যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেই তাদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। অ্যালোপ্যাথির মতো করে চললে হবে না। ঔষধ সেবন করার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে।
চিকিৎসা গ্রহণকালীন বেশ কিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিচ্ছে এমন রোগীকে অবশ্যই এসব নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে। আজ মূলত এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করা হবে। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণকালীন সময়ে করনীয় ও বর্জনীয়:
১. খালি পেটে ঔষধ সেবন করবেন। ঔষধ সেবনের আগে ১ ঘণ্টার মধ্যে ও সেবনের পরে আধা ঘন্টার মধ্যে কিছু খাবেন না।
২. আপনার সহ্য হয় এমন পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাদ্য খাবেন।
৩. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় সময় আহার করবেন ও নিদ্রায় যাবেন।
৪. দৈনিক কমপক্ষে ৬ ঘন্টা ঘুমাবেন।
৫. দৈনিক প্রচুর শীতল বা ঠান্ডা পানি পান করবেন (৪ থেকে ৫ লিটার)।
৬. নির্দোষ বিনোদন ও খেলাধুলায় অংশ নিতে পারেন।
৭. প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় কমপক্ষে ১ ঘন্টা খোলা বাতাসে হাঁটবেন। সাধ্যমত শারীরিক পরিশ্রম করবেন।
৮. সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন ও মনকে প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করবেন।
৯. মন থেকে সকল প্রকার কুচিন্তা বাদ দিয়ে ধর্মীয় জীবন-যাপনের চেষ্টা করবেন।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণকালীন যা করা নিষেধ:
১. ঔষধ সেবনের আগে ১ ঘণ্টার মধ্যে ও সেবনের পরে আধা ঘন্টার মধ্যে কিছু খাবেন না।
২. ঔষধ খাওয়ার পরে ১ ঘণ্টার মধ্যে কোন প্রকার কষ্টকর শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করবেন না।
৩. কোন প্রকার সুগন্ধি দ্রব্য, দাঁতের মাজন বা পেষ্ট ব্যবহার করবেন না।
৪. টক ও টকজাতীয় দ্রব্য, নোনা মাছ, মদ, চা, কফি, তামাকসহ সকল উত্তেজক দ্রব্য এবং যে সব খাদ্য খেলে আপনার রোগ বাড়ে তা খাবেন না।
৫. কুরুচিপূর্ণ বই-পুস্তক পাঠ ও কামোদ্দীপক আলাপ আলোচনা করবেন না।
পরিশেষে বলা যায়, উপরে বর্ণিত নিয়মকানুন অবশ্যই মেনে চলবেন। এসব নিয়ম না মানলে আপনার ঔষধ তেমন ভালো ফল দেবে না।
হোমিওপ্যাথির উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখাসহ উপরোক্ত নিয়মের কোনো বিপরীত কিছু করা যাবে না। ঔষধ সেবনের সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কুসুম গরম পানি হলে ভালো হয়।
আর ঔষধ সেবনের পর অবশ্যই বিশ্রাম নেবেন আগে। তারপর কাজ করতে পারেন তবে ভারী কাজ নয়। টেনশন করা যাবে না। আশা করি, বুঝতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: হোমিওপ্যাথিতেও রয়েছে এন্টিবায়োটিক এর মতো শক্তিশালী ঔষধ।