আমরা অনেকেই হিজামা সম্পর্কে হালকা তথ্য হয়তো জানি। হিজামা এক প্রকার চিকিৎসা পদ্ধতি। এখনও দেশের সব জায়গায় ততোটা প্রচলিত নয়।
কিন্তু হিজামা চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে অনেকটাই ফলপ্রসু। কারণ, মহানবী (সা:) নিজে এ চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। তখন থেকেই এ পদ্ধতি বেশ প্রচলিত।
আজ আমরা হিজামা সম্পর্কে খুটিনাটি সব জানবো। আপনি যদি চিকিৎসা করাতে চান তাহলে কত টাকা লাগবে কিংবা আপনি যদি হিজামা করানোর জন্য ডাক্তার হতে চান তাহলে কত টাকা লাগবে সব জানতে পারবেন। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
১. হিজামা কি?
উত্তর: এক কথায় হিজামা হলো- রাসুল (সা:) এর বর্ণিত এমন একটা চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে শরীরের সিলেক্টেড কিছু পয়েন্ট বা এলাকা থেকে কিছু ম্যাকানিক্যাল ডিভাইসের মাধ্যমে সামান্য কিছু টক্সিন যুক্ত রক্ত বা রক্ত রস বা সিরাম বের করে নিয়ে রোগ মুক্তির চেষ্টা করা হয়।
২. হিজামা করলে কি ব্যথা লাগে?
উত্তর: না, সামান্য আঁচড় বা হালকা সুড়সুড়ির মত মনে হয়।
৩. হিজামা করলে কি শরীর দুর্বল লাগে?
উত্তর: না, হিজামার পরে শরীর ফ্রেস মনে হয়, ভালো ঘুম হয়, শরীরে একটা প্রশান্তি অনুভূত হয়।
৪. সুস্থ্য মানুষ কি হিজামা চিকিৎসা নিতে পারে?
উত্তর: অসুস্থ্য মানুষের সাথে সাথে সুস্থ্য মানুষ ও তার শরীর ঠিক রাখার জন্য এবং একটা সুন্নাহ পালনের জন্য হিজামা গ্রহণ করতে পারেন।
৫. সুস্থ্য মানুষ কতদিন পর পর হিজামা গ্রহণ করতে পারেন?
উত্তর: প্রতি ৩ বা ৪ মাস পর পর শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য হিজামা গ্রহণ করতে পারেন।
৬. অসুস্থ্য মানুষকে কতদিন পর পর হিজামা নিতে হবে?
উত্তর: এই সময়টা নির্ধারন করবে ডাক্তার, রোগের ও রোগীর অবস্থা অনুসারে এটা নির্ধারণ করা হয়।
৭. শুনেছি, একবার হিজামা করলে নাকি বার বার হিজামা করতে হয়?
উত্তর: না, এটা ভুল কথা।
৮. বাংলাদেশে কি হিজামা বৈধ চিকিৎসা? এর জন্য কি আলাদা নীতিমালা প্রয়োজন আছে?
উত্তর: অবশ্যই বাংলাদেশে হিজামা বৈধ চিকিৎসা, এর জন্য আলাদা নীতিমালা প্রয়োজন নেই। কারন , বাংলাদেশে আয়ুর্বেদ ও ইউনানী সিলেবাসে সরকারী ভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিলেবাস প্রনয়ন কমিটি সিলেবাসে হিজামা অন্তভুক্ত করে দিয়েছেন।
তাই যারা চিকিৎসা করার রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি চিকিৎসক, তারা সবাই হিজামা করার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমতি প্রাপ্ত এবং তারাই হিজামা করার জন্য সরকারী লাইসেন্স বা রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হিজামা চিকিৎসক।
তবে ব্যচেলর ফিজিওথেরাপিস্টগণ চায়নিজ ট্রেডিশনাল মেডিসিন হিসেবে কাপিং থেরাপি পড়ে থাকেন আর হিজামা কাপিং থেরাপির একটা পার্ট।
৯. তাহলে আয়ুর্বেদিক বা ইউনানি চিকিৎসক ছাড়া কি অন্য কেউ হিজামা করাতে পারবে না?
উত্তর: অবশ্যই হিজামা করাতে পারবে, তবে তার দুইটা জিনিশ থাকতে হবে। যথা:
ক. অবশ্যই বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ডাক্তারি করার প্রাক্টিস রেজিট্রেশন এবং
খ. ইউনানি বা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক না হলে, হিজামার উপরে প্রাক্টিক্যাল কিছু প্রশিক্ষণ।
১০. তাহলে আমরা যদি হিজামা নিতে চাই তাহলে কার কাছ থেকে নেবো?
উত্তর: একজন ইউনানি বা আয়ুর্বেদিক বা অন্য প্যাথির ডাক্তারের কাছ থেকে যার বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ডাক্তারি করার প্রাক্টিস রেজিট্রেশন আছে।
১১. হিজামা করার জন্য ডাক্তার কেন হতে হবে এবং কেন বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ডাক্তারি করার প্রাক্টিস রেজিষ্ট্রেশন থাকতে হবে?
উত্তর: কারন হিজামা একটা চিকিৎসা বিদ্যা যেখানে রোগ সঠিকভাবে ডায়াগনোসিস করতে হয়, সঠিকভাবে এনাটমি ও ফিজিওলোজি জানতে হয়, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার প্রয়োজন হয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে হয়।
এগুলো একজন চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের দ্বারা সম্ভব না। আর দেশের আইন অনুসারে কারো কোনো চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া ডাক্তারি করার প্রাক্টিস রেজিষ্ট্রেশন থাকতে হবে।
১২. যারা ১ দিন, ৫ দিন আবার এমন ছোট ছোট ট্রেনিং কোর্স করায় এবং এই ট্রেনিং যারা করেন তারা কি হিজামা করাতে পারবেন না? আপনিও তো ৫ দিনের কোর্স করান।
উত্তর: হিজামা করাতে পারবেন, তবে প্রফেশনাল ভাবে বা চেম্বার দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা করাতে পারবেন না। তারা তাদের আপনজনদের হিজামা করাতে পারবেন।
যেমন, আমরা জানি যে জ্বর হলে নাপা ট্যাবলেট খেতে হবে। আমাশয় হলে মেট্রোনিডাজল খেতে হবে, পাতলা পায়খানা হলে খাবার স্যালাইন খেতে হবে।
এগুলো আমরা জানি এবং আমরা এভাবে নিজেদের রোগে OTC ড্রাগ দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে থাকি। তবে এর মানে এই না যে, আমরা একটা চেম্বার নিয়ে রোগী দেখা শুরু করে দেই।
ঠিক তেমনি যারা হিজামা জানেন, শর্ট কোর্স করেছেন তারাও তাদের আপনজনদের জন্য হিজামা করাতে পারবেন প্রাথমিক বা প্রাইমারি চিকিৎসা হিসেবে।
হ্যা, আমিও হিজামা কোর্স করাই, যেন নিজের আপনজনদেরকে হিজামা করাতে পারেন। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে। এছাড়া আর কিছু নয়।
১৩. হিজামা কি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত?
উত্তর: আগে ধারণা করা হতো যে এটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নাই, কিন্তু এখন বেশ কিছু বিজ্ঞানী গবেষণা করে এই বৈজ্ঞানিক ভিত্তি প্রমান করেছেন। চাইলে গুগলে সার্চ দিয়ে আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
১৪. হিজামার পয়েন্টসহ রোগের কারণ, লক্ষণসহ সব দেওয়া আছে এমন একটা বইয়ের নাম বলুন।
উত্তর: বাজারে আমার লেখা “হিজামা” নামের একটা বই আছে যেখানে রোগের কারণ, লক্ষণসহ কোন রোগের কোন পয়েন্ট এমন তিনটি মেথড আছে। এছাড়াও বাজারে আরো কিছু বই আছে যা আপনি সংগ্রহ করে পড়তে পারেন।
১৫. হিজামা করলে কেমন কেমন খরচ হয়?
উত্তর: একেক জন ডাক্তার ভাই একেক রকম টাকা নেন। এটা নির্ভর করে ডাক্তারের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপরে। তবে আমি সাধারনত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য ভিজিট নেই ৫০০ টাকা।
আর হিজামা করার জন্য প্রতি পয়েন্ট ১০০ টাকা করে (ভ্যাকুয়াম মেসিন ব্যবহার করলে ২০০ টাকা, এটা সাধারনত মাথায় চুল থাকা অবস্থায় হিজামা করলে)।
হিজামা যারা করতে আসেন তাদের থেকে ৫০০ টাকা ভিজিট নেই না, সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসার প্রসারের জন্য। শুধু প্রতি পয়েন্ট ১০০ টাকা করে এবং বিনা ভিজিটে প্রেসক্রিপশন দেই (যদি ওষুধ লাগে তাহলে)। আর আমি নিজের হাতেই হিজামা করাই।
১৬. হিজামার ক্ষেত্রে অনেকে পেন ব্যবহার করে অনেকে আবার ব্লেড ব্যবহার করেন কোনটা ভালো?
উত্তর: অবশ্যই ব্লেড ভালো, তবে নতুন হিজামা থেরাপিস্টরা পেন ব্যবহার করে নিরাপত্তার জন্য।
১৭. আপনি কি ব্লেড নাকি পেন ব্যবহার করেন?
উত্তর: আমি ১১ নাম্বার সার্জিক্যাল ব্লেড ব্যবহার করি।
১৮. হিজামা করার পর দাগ কতদিন থাকে? কাটা দাগ থাকে কিনা?
উত্তর: হিজামা করার পর ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে দাগ চলে যায়। আর দক্ষদের দ্বারা হিজামা করালে কাটার কোনো দাগ খুঁজে পাবেন না।
আমার দ্বারা যারা হিজামা করায় তারা হিজামা করার পরে কাটা দাগ খুজে পায় না। কোথায় থেকে রক্ত বের হলো এই দাগ খুজে পায় না।
১৯. হিজামায় নাকি বেশি রক্ত বের হওয়া ভালো?
উত্তর: না, কথাটা ঠিক না। কারো রক্ত বেশি বের হয়, কারো খুব অল্প বের হয়, রক্ত বেশি বা কম বের হওয়ার সাথে ভালো মন্দের সম্পর্ক নাই।
২০. আপনার কাছে ৫ দিনের হিজামা কোর্স করার জন্য কত টাকা খরচ হবে?
উত্তর: ২৫০০ টাকা। এই কোর্সে থাকার জন্য 01712-859950 অথবা 01972-859950 নাম্বারে ফোন দিয়ে আমার সহকারীর সাথে কথা বললেই হবে। কোর্স চার দিন অনলাইনে থিওরী একদিন সরাসরি চেম্বারে প্রাকটিক্যাল।
লেকচার শিট এবং কোর্স শেষে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে (কোর্সে উপস্থিত থাকার একটা সার্টিফিকেট, এটা কোনো একাডেমিক সার্টিকেট না)।
২১. শুনেছি হাদিসে হিজামার কথা বলা আছে, এমন কয়েকটি হাদিস দিলে উপকার হয়।
উত্তর: এমন কিছু হাদিস এর উদ্ধৃতি দেয়া হলো: (১) হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত: মহানবী (সা:) বলেছেন, “কেউ হিজামা করতে চাইলে সে যেন আরবী মাসের ১৭, ১৯ কিংবা ২১ তম দিনকে নির্বাচিত করে।
রক্তচাপের কারণে যেন তোমাদের কারো মৃত্যু না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে (হিজামা)।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৬।
(২) হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত: মহানবী (সা:) বলেছেন, “আমি মেরাজের রাতে যাদের মাঝখান দিয়ে গিয়েছি, তাদের সবাই আমাকে বলেছে- হে মুহাম্মদ, আপনি আপনার উম্মতকে হিজামার আদেশ করবেন।” সুনানে তিরমিযী হাদীছ নম্বর: ২০৫৩।
(৩) হযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত: মহানবী (সা:) বলেছেন, “গরম বৃদ্ধি পেলে হিজামার সাহায্য নাও। কারণ, কারো রক্তচাপ বৃদ্ধি পেলে তার মৃত্যু হতে পারে।” আল-হাকিম, হাদীছ নম্বর: ৭৪৮২।
(৪) হযরত জাবির (রা:) থেকে বর্ণিত: মহানবী (সা:) বলেছেন, “নিশ্চয় হিজামায় শেফা রয়েছে।” ছহীহ মুসলিম, হাদীছ নম্বর: ২২০৫।
(৫) হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর (রা:) থেকে বর্ণিত: মহানবী (সা:) বলেছেন, “খালি পেটে হিজামাই সর্বোত্তম। এতে শেফা ও বরকত রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বোধ ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।” সুনানে ইবনে মাজা, হাদীছ নম্বর: ৩৪৮৭।
(৬) হযরত আবদুল্লাহ্ বিন আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত: মহাবী (সা:) বলেছেন, “হিজামাকারী কতই উত্তম লোক। সে দুষিত (টক্সিন যুক্ত) রক্ত বের করে মেরুদন্ড শক্ত করে ও দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে।” সুনানে তিরমিযী, হাদীছ নম্বর: ২০৫৩।
২২. হিজামা কি কি রোগের জন্য উপকার করে?
উত্তর: মাইগ্রেন জনিত দীর্ঘমেয়াদী মাথাব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, ঘুমের ব্যাঘাত (Insomnia), স্মৃতিভ্রষ্টতা (Perkinson’s Disease), অস্থি সন্ধির ব্যথা বা গেটে বাত, ব্যাক পেইন, হাঁটু ব্যথা, দীর্ঘমেয়াদী সাধারন মাথা ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, কোমর ব্যথা, পায়ে ব্যথা, মাংসপেশীর ব্যথা (Muscle Strain), হাড়ের স্থানচ্যুতি জনিত ব্যথা, রক্তসংবহন তন্ত্রের সংক্রমন, মুটিয়ে যাওয়া (Obesity), দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ (Chronic Skin Diseses), মানসিক সমস্যাসহ আরো অনেক সমস্যার জন্য হিজামা করা হয়।
২৩. শুধুমাত্র হিজামা দ্বারাই কি রোগ ভালো হবে নাকি ওষুধও খেতে হবে?
উত্তর: কিছু ক্ষেত্রে হিজামার সাথে ওষুধের প্রয়োজন হয়, আর কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র হিজামা দ্বারাই খুব ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায়। কখন হিজামার সাথে ওষুধ প্রয়োজন হবে তা ডাক্তার রোগ নির্নয়ের সময় রোগীকে বলে দিবে।
২৪. কোন দিন ও কত তারিখ হিজামা করা উত্তম, রেফারেন্স সহ বলুন।
উত্তর: হিজামার জন্য উত্তম তারিখ: সাধারণত হিজামার জন্য উত্তম তারিখ হচ্ছে চান্দ্র মাসের ১৭, ১৯ ও ২১ তারিখ।
আনাস বিন মালেক (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা:) ঘাড়ের দুই পাশের শিরায় এবং ঘাড়ের কাছাকাছি পিঠের ফুলা অংশে হিজামা করাতেন।
তিনি মাসের সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখে হিজামা করাতেন। (তিরমিযী হা/২০৫১, ২০৫৩; ছহীহ ইবনু মাজাহ হা/৩৪৮৩; আবুদাঊদ হা/৩৮৬১, সনদ ছহীহ।)
২৫. যদি অসুস্থতা বা ব্যথা অনুভূত হয় তবে উক্ত তারিখের অপেক্ষা না করে যে কোনো সময় হিজামা করানো যাবে।
উত্তর: হিজামার উত্তম দিন: ইবনু ওমর (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা:) কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহর বরকত লাভের আশায় তোমরা বৃহস্পতিবার হিজামা করাও এবং বুধ, শুক্র, শনি ও রবিবার বেছে নেওয়া থেকে বিরত থাক। আর সোম ও মঙ্গলবারে হিজামা করাও’। (ইবনে মাজাহ হা/৩৪৮৭-৩৪৮৮।)
পরিশেষে বলা যায়, হিজামা নিয়ে আর কোন তথ্য আশা করি জানার নেই। কারণ, হিজামা সংক্রান্ত সর্বাধিক তথ্য উপরে বর্ণিত হয়েছে। তাই যারা এখন হিজামা সম্পর্কে জানলেন তারা মন চাইলে হিজামা করাতে পারেন।
উৎস: ডা. ফাইজুল হক এর ফেসবুক ওয়াল থেকে
আরও পড়ুন: রূপ চর্চায় বিভিন্নরকম তেল এর ব্যবহার – কোন তেল ত্বকের জন্য কি কাজ করে?