হার্ট অ্যাটাক খুব জটিল একটি বিষয়। বেশিরভাগ মানুষই এক্ষেত্রে মারা যেতে পারে। যারা ভাগ্যবান তারা হয়তো বেঁচে থাকে।
আমাদের জানা দরকার হার্ট অ্যাটাক কেন হয় এবং এ থেকে পরিত্রানের উপায় কি। কারণ, তাহলে আমরা সচেতনভাবে চলতে পারবো। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
সাধারণত যেসকল কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে:
১. হার্ট অ্যাটাক সব বয়সে একরকমভাবে হয় না। সাধারণত মধ্যবয়সে কিংবা বৃদ্ধ বয়সে এ রোগটি বেশি হতে পারে। কিন্তু তার মানে এই না যে ছোট বাচ্চাদের এই সমস্যা হয় না। তাদের ঝুঁকি তুলনামূলক কম থাকে।
২. ধুমপান ও মদ্যপান ইত্যাদি কারনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
৩. বংশে কারও হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
৪. সাধারণত মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের অনেক বেশি হয়।
৫. ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাইপার লিপিডেমিয়া ইত্যাদি রোগের কারণে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
৬. শারীরিক পরিশ্রমের অভাবে মুটিয়ে যাওয়া বা স্থূলতা হার্ট অ্যাটাকের একটি কারণ।
৭. অধিক হারে চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করলে এবং শাকসবজি ও আঁশ জাতীয় খাবার কম খেলে।
৮. অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অশান্তির ফলে।
৯. জন্মনিয়ন্ত্রক পিল বা অন্য কোন হরমোন নিয়ন্ত্রণকারী ওষুধ সেবনের ফলে।
চিকিৎসা ও পরামর্শ:
হার্ট অ্যাটাক মানে হলো হার্টের পেশির অংশ স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া। যদি হার্টের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়, চিকিৎসা হওয়ার পর সে সুস্থ হয়ে উঠলেও ওই অংশটুকু কিন্তু নিরাময় হবে না।
সুতরাং প্রতিরোধ করাটা সর্বোত্তম পদ্ধতি এবং আমাদের মতো গরিব দেশে তো এটা অবশ্যই দরকার। তাই এর থেকে পরিত্রাণ পেতে কিছু জিনিস অবশ্যই মেনে চলা উচিৎ। যেমন:
১. মানসিক অবসাদ বা দুশ্চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
২. নিয়মিত ব্লাড প্রেসার পরিমাপের মাধ্যমে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৩. নিয়মিতভাবে ডায়াবেটিস পরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৪. ধুমপান, মদ্যপান ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. মোটা হওয়া বা স্থূলতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৬. চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে এবং রক্তে কোলেস্টোরলের মাত্রা কমাতে হবে।
৭. শাকসবজি ও ফল বেশি করে খেতে হবে।
৮. প্রতিদিন নিয়মিতভাবে হাঁটা, দৌড়ানো কিংবা যেকোন শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
৯. চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে বা প্রয়োজনে বন্ধ করতে হবে।
পরিশেষে বলা যায় যে, হার্ট অ্যাটাক কারও হোক তা আমরা কেউ চাই না। কিন্তু নানাবিধ কারণে অনেকেরই তা হয়ে যায়।
তবে চেষ্টা করুন সবসময় চিন্তামুক্ত থাকতে। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান। আশা করা যায়, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
আরও পড়ুন: যৌন মিলনের সময় বেশিক্ষণ বীর্য ধরে রাখার স্পেশাল টিপস।