হস্তমৈথুন মানে হলো হস্ত (হাত) দ্বারা মৈথুন। হাত দিয়ে লিঙ্গ উত্তেজিত করে বীর্য বের করার নামই হস্তমৈথুন। আজকের বিষয়টি একটু খোলামেলা বিষয়। একসাথে সবাই মিলে পড়তে ইতস্তত বোধ হতে পারে। তাই একা একা পড়ুন। আর এলার্জি থাকলে এড়িয়ে যান।
হস্তমৈথুন করলে শরীরে নানাবিধ অসুবিধা হতে পারে। সবচেয়ে বড় প্রভাবটা পড়ে আপনার লিঙ্গের মধ্যেই। কারণ, কাজটা লিঙ্গের মাধ্যমেই করতে হয়। উইকিপিডিয়ায় আপনি যদি এ ব্যাপারে খোঁজ করেন তবে দেখবেন যে, হস্তমৈথুনকে তারা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবেই উপস্থাপন করেছে।
হস্তমৈথুন ততক্ষণ পর্যন্তই সাধারণ যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি মাত্রা ছাড়িয়ে না যান। আগেকার যুগে বিভিন্ন বই-পুস্তকে লেখা ছিল যে, স্ত্রীর সাথে মাসে মাত্র কয়েক বার মিলন করতে হবে। শরীরে বীর্য ঠিক রাখতে হবে। যার শরীরে যতো বেশী বীর্য ঠিক থাকবে তার শরীর তত বেশি শক্তিশালী থাকবে।
কথা কিন্তু ভুল নয়। কিন্তু এগুলো বর্তমানে কেউ মানে না। মন চাইলে এক রাতেই বেশ কয়েকবার স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করে। কিন্তু এতে যে শরীরের বারোটা বাজে সেদিকে খেয়াল রাখে না।
আর যারা হস্তমৈথুন বা মাস্টারবেশন করে তাদের তো আরও কোনো নিয়ম নেই। যখন মন চায় তখনই। ঘরের একটু চিপায় তিন চার মিনিট তেল মেরে হাত চালিয়ে নিলেই বের হয়ে যায়। যদি কোনো ব্যক্তি সপ্তাহে দুই বা তিন বার হস্তমৈথুন করে তবে তার কোনো ক্ষতি হবে না।
মানসিক ক্ষতি হবে কারন ইসলামে এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আমি ইসলামের আলোকে কথা বলছি না। আমি বলছি, বিভিন্ন গবেষণালব্ধ ফলাফল থেকে। কিন্তু কেউ যদি দিনেই দুই চার বার হস্তমৈথুন করে তাহলে তার লিঙ্গে অনেক চাপ পড়ে। তার লিঙ্গ সরু হয়ে যায়। আরও অনেক সমস্যা তৈরী হতে পারে।
তো আজ এই বিষয়ে অনেক কথা বলবো। আশা করি, সময় নিয়ে পুরো পোস্ট পড়বেন। এখানে অনেক কিছুই আপনি জানতে পারবেন। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
হস্তমৈথুন কি?
এ ব্যাপারে আগেই বলা হয়েছে। তারপরেও আরেকবার বলি। হাত দিয়ে নিজেই নিজের লিঙ্গের বীর্য স্খলন ঘটালে তাকে হস্তমৈথুন বলে। হস্তমৈথুন এর সময় অনেকেই নানারকম পিচ্ছিলকারক তরল ব্যবহার করতে পারে। হয়তো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোনো ভিডিও দেখে এরকমটা করতে পারে। অর্থাৎ বিভিন্ন উপায়ে এটা করা যায়। অন্যান্য ধর্মে কি আছে জানি না তবে ইসলামে এটা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
কারা হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়?
হস্তমৈথুনে কারা বেশি আসক্ত হয় এ কথা বলা খুব কঠিন নয়। সাধারণত উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরাই হস্তমৈথুনে বেশি আসক্ত হয়। এখানে মেয়ের কথাও বলা হলো। হ্যা, মেয়েরাও নিজের অঙ্গে কোন কিছুর দ্বারা ঘর্ষণ করিয়ে অর্গাজম ঘটাতে পারে। তখন সেটাও হস্তমৈথুনের পর্যায়ে পড়ে।
তবে আরো বিস্তারিত যদি বলি, বর্তমানে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েরা মোবাইলের মাধ্যমে সর্বাধিক আকর্ষণ অনুভব করছে তাদের যৌন জীবনে। যখন একটি ছেলের বয়স ১২ বছর পার হয় তখনই সে সব কিছু বুঝতে পারে এবং তখন থেকেই তার লিঙ্গে ইরেকশন শুরু হয়।
আবার একটি মেয়ে যখন ১২ বছর পার করে তখন তার মেন্সট্রুয়েশন সাইকেল শুরু হয়। আর মেন্সট্রুয়েশন সাইকেল শুরু হলেই সেই মেয়েটি যৌন উত্তেজনা অনুভব করা শুরু করে।
এখন সবার হাতে হাতে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বা ভিডিও মোবাইল রয়েছে। রয়েছে ইন্টারনেট পরিসেবা। যে যখন যেভাবে ইচ্ছে ইন্টারনেটে সার্চ করে বিভিন্ন কিছু দেখতে পারছে।
এর প্রভাবে উঠতি বয়সী ছেলে মেয়েরা ধীরে ধীরে তাদের যৌন অঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে। হস্তমৈথুন কিভাবে করতে হয় সেই ব্যাপারগুলোও তারা নিজেরাই শিখে নেয়। হয়তো ইন্টারনেট থেকে দেখে দেখে শিখে কিংবা কোনো বন্ধু-বান্ধবীর কাছে শুনে শেখে।
মোট কথা, দেশের মধ্যে ১২ থেকে ২০ বছর বয়সী ছেলে এবং মেয়েরা হস্তমৈথুনে সবচেয়ে বেশি আসক্ত। অন্যান্য বয়সী মানুষও রয়েছে। সেটা বিভিন্ন কারণে হতে পারে।
এমন কিছু পরিবার রয়েছে যেখানে ছেলেমেয়ের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে অথচ বিয়ে করাচ্ছে না। তখন ঐ ছেলেমেয়েগুলো গোপনে হস্তমৈথুন করে নিজের জ্বালা মিটাচ্ছে। অথচ পরিবার এসব কিছুই জানছে না। ব্যক্তি জীবনে কোনো সময় এগুলো পরে প্রকাশ পায়।
শুধু মাত্র বিনোদন নেয়ার উদ্দেশ্যেও কেউ কেউ হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়। কিন্তু এই বিনোদন যে পরবর্তীতে যৌন জীবনের বারোটা বাজাতে পারে সেদিকে কোনো মনোযোগ নেই।
আবার যারা নিজের স্ত্রীর সাথে মিলেমিশে থাকতে পারছে না, বনিবনা হচ্ছে না কিংবা বিচ্ছেদ হয়ে গেছে এমন মানুষও হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়। যাদের যৌন শক্তি একটু বেশি তারাও এ পথে পা বাড়ায়।
হস্তমৈথুন করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে?
হস্তমৈথুন করলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতিটা তাদেরই সবচেয়ে বেশি হয় যারা অনিয়ন্ত্রিতভাবে এই কাজ করে। যারা মাঝে-মধ্যে একটু করে তাদের ক্ষতিটা খুব একটা হয় না। যাই হোক, হস্তমৈথুনের ফলে শারিরীক বা মানসিক কি কি ক্ষতি হতে পারে তা নিচে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো:
১. শরীরে টেস্টোস্টেরন নামক এক প্রকার হরমোন থাকে। শরীরের বিভিন্ন কাজে এর ভূমিকা অনেক বেশি। যখন কেউ নিয়মিত হস্তমৈথুন করে তখন তার শরীর থেকে এটা কমে যেতে পারে। এর ফলে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন রকম অসুখ। চেহারা আর চেহারা থাকে না। নিজের প্রতি নিজেই একসময় আফসোস শুরু করে।
২. বেশি হস্তমৈথুন করলে মূত্রথলির ক্যান্সার হতে পারে। এগুলো আমার কথা নয় – বড় বড় গবেষকদের কথা বলছি। এগুলো যদি আপনি উড়িয়ে দেন তবে সেটা একান্তই আপনার ব্যাপার।
৩. শরীর খুব দূর্বল হয়ে যায়। শরীরের পেশিগুলো দূর্বল হয়ে যায়। একটু হাটলেই বুক ধড়ফড় করা শুরু করে। কেউ যদি স্ত্রীর সাথে খুব বেশি মিলন করে তবেও তার এই ধরণের সমস্যাগুলো হতে পারে।
৪. লিঙ্গ চিকন হয়ে যায়। আকা বাকা হয়ে যায়। আগা মোটা গোড়া চিকন হয়ে যায়। প্রস্রাব করতে জ্বালাপোড়া হয়। বিভিন্ন প্রকার ঘা হতে পারে।
৫. সবচেয়ে প্রধান সমস্যা হলো লিঙ্গ আকারে ছোট হয়ে যায়। তখন বিয়ের সময় বিয়ে করতে ভয় পায়। নিজের লিঙ্গের প্রতি নিজেরই কনফিডেন্স থাকে না। ভেবে নেয় যে, আমি হয়তো আমার স্ত্রীকে তৃপ্তি দিতে পারবো না।
৬. অল্পতেই বীর্য বের হয়ে যায়। শুরুতে এরকম হয় না। দীর্ঘ সময় ধরে যখন হস্তমৈথুন কেউ করতেই থাকে তখন এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুই তিন মিনিট সর্বোচ্চ বীর্য ধরে রাখতে পারে, এরপরে আর পারে না। কেউ কেউ এইটুকু সময়ও পারে না।
৭. স্মৃতিশক্তি কমে যায়। কোন কিছুই মনে থাকে না। বই পড়তে ভালো লাগে না। শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে। সামান্য কাজ করলেই হাপিয়ে যায়। আর মন শুধু হস্তমৈথুন করতে চায়।
৮. চেহারার লাবণ্যতা হারিয়ে যায়। মেয়েদের শরীরে সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। স্তন বড় হয় না। শুকিয়ে যায়। চুল পড়ে যায়। চোখ ভেতরের দিকে চলে যায়। গাল-মুখ ভেঙে যায়।
৯. হস্তমৈথুনের প্রভাবে শরীরে ডোপামিনের কার্যকারিতা কমে যায়। আর ডোপামিনের কার্যকারিতা কমে গেলে সামাজিক অবমূল্যবোধ সহ নানারকম শারিরীক ও মানসিক সমস্যা তৈরী হয়।
১০. নিজের প্রতি নিজের আর কোনো আত্মবিশ্বাস থাকে না। শুধু মনে হয় আমি মনে হয় আর কিছুই পারবো না। কোন কিছুই ভালো লাগে না।
১১. যার তার উপর খারাপ নজর পড়া শুরু হয়। যাকে তাকে মন কাছে চাওয়া শুরু করে। কেউ কেউ অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু করে দেয়। কেউ কেউ নানারকম অপরাধ (যেমন- ধর্ষণ) করা শুরু করে।
১২. চোখের ক্ষতি হয়। অল্প বয়সেই ঠিক মতো চোখে দেখতে পায় না।
১৩. শরীরে ভঙ্গুরতা দেখা দেয়। নানারকম ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দেয়। সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে যেকোন ব্যাপারে।
১৪. স্ত্রীর সাথে একবার মিশলে আবার লিঙ্গ উত্তেজিত হতে অনেক সময় লাগবে। ঘি মাখলেও এত সহজে শক্ত হবে না। নিজের কাছেই নিজে লজ্জিত হয়ে যাবেন।
১৫. যখন তখন শরীর নাপাক থাকে আর তাই ঠিকভাবে নামাজ বা ইবাদত করা সম্ভব হয় না।
১৬. লিঙ্গে নানারকম সমস্যা হতে পারে। রোগ হতে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।
১৭. হজম ক্রিয়ায় সমস্যা হতে পারে। বিকৃত যৌন জীবনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যেতে পারেন।
১৮. শরীরে তীব্র ব্যথা হতে পারে। মাথা ব্যথা হতে পারে। কোন সময়ই শরীর ভালো মনে হবে না।
উপরে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো তার বাইরেও কিছু হালকা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে হস্তমৈথুনের ফলে বহু পুরুষ তার পুরুষত্ব হারিয়েছে। তাই সাবধান হওয়া জরুরী।
হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায়:
হস্তমৈথুন বা হাত মারা ছাড়ার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আল্লাহতায়ালা যেহেতু নারীদের তৈরী করেছেন সুতরাং হস্তমৈথুন করার কোনো মানেই হয় না। ইদানীং কিছু ভন্ড ইন্টারনেটে বিভিন্ন পোস্টে বলছে যে, হস্তমৈথুন নাকি ক্ষতিকর নয়।
আমি তাদেরকে বলবো, তারা বিয়ে করেছে কেন? তারা শুধু হস্তমৈথুন-ই করুক না। তাদের বউদেরকেও কোনো লাঠি দিয়ে অর্গাজম করতে বলুক। তারা আসলে মুসলমানের দুশমন এবং তারা ইসলামের চরম শত্রু।
যাইহোক, আমি সেদিকে যাচ্ছি না। কিভাবে হস্তমৈথুন থেকে রক্ষা পাবেন কিংবা ছাড়তে পারবেন সেসব বিষয় নিয়ে পয়েন্ট আকারে নিচে তুলে ধরা হলো:
১. প্রথম কথা হচ্ছে, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের সৎ ব্যবহার করুন। অসৎ ব্যবহার করবেন না। পর্ণ ভিডিও দেখা বন্ধ করে দিন। ধর্মের পথে আসুন। দেখবেন, আপনার মন কলুষিত আর হবে না। নিজের বিবেকে তখন নাড়া দেবে এই কাজ করতে।
২. বয়স হলে বিয়ে করে ফেলুন। পরিবার রাজি না থাকলে রাজি করানোর চেষ্টা করুন। এতে লজ্জা করবেন না।
৩. অলরেডি যদি আপনি হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তবে আজ থেকেই আলাদা রুমে থাকা বন্ধ করুন। পারলে শ্রদ্ধেয় বা বড় কাউকে সাথে নিয়ে থাকুন। কখনোই একা রুমে থাকবেন না। নইলে আপনি শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে কোনভাবেই বাঁচবেন না।
৪. খারাপ বন্ধু-বান্ধবীর সাথে সঙ্গ দেয়া কমিয়ে ফেলুন। তাদেরকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিন। অযথা চ্যাটিং ম্যাটিং বন্ধ করে দিন। সময়কে গুরুত্ব দিন। কাজের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করুন।
৫. বেশি বেশি কায়িক পরিশ্রম করুন। শরীরকে রেস্ট দিবেন না। তাহলে অটোম্যাটিক আপনার যৌন ইচ্ছা কমে যাবে।
৬. আপনার যদি খুব বেশি যৌন শক্তি থাকে তবে কিছু খাবার আছে যা যৌন শক্তি কমায় সেগুলোতে খেতে পারেন।
৭. মোবাইলে বা ল্যাপটপে কোনো খারাপ কিছু রাখবেন না। এমনটি খারাপ কোনো ছবিও রাখবেন না।
৮. মোবাইল ফোন নিয়ে ওয়াশরুম কিংবা টয়লেটে যাওয়া বন্ধ করুন। এটা খুবই গর্হিত কাজ।
৯. নিয়মিত মেডিটেশন করার চেষ্টা করুন।
১০. মেয়েদের নিয়ে কম ভাববেন। কামুক বিষয়ে কম চিন্তা করবেন । নিজের চিন্তাকে কেবল বাহ্যিক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন।
১১. কম্পিউটার সবসময় সবার সামনে ব্যবহার করবেন। রাতে একা ব্যবহার করবেন না। আজেবাজে ওয়েবসাইট কোনো অ্যান্টিভাইরাস দ্বারা এলামেলো পাসওয়ার্ড দ্বারা ব্লক করে রাখুন।
১২. আপনি মাঝে মধ্যে বেল পাতা চিবোতে পারেন। তাহলে যৌন শক্তি কমে যায়। কামভাব কমে যায়। তবে অবশ্যই একজন ইউনানী চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে খাবেন। নিজে নিজে খেতে যাবেন না।
১৩. প্রতিদিন বেশি বেশি ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে আপনার মন প্রশমিত হবে।
১৪. প্রতিদিন দ্রুত ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। আবার সকাল সকাল উঠার চেষ্টা করুন।
১৫. নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করুন।
১৬. সর্বোপরি আপনার সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করুন। তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিজে ধৈর্য্যশীল হওয়ার চেষ্টা করুন।
পরিশেষে বলা যায়, হস্তমৈথুন কোনভাবেই কাম্য নয়। যে জীবনে মাত্র একবার করেছে এই কাজটি সেও অনেক বড় পাপ করেছে। সৃষ্টিকর্তা বিপরীত লিঙ্গ কেন তৈরী করেছেন? আপনার হাত মেরে বীর্য বের করার জন্য? কখনোই না।
সুতরাং যারা এর পক্ষে তাদের কথায় কান দিয়েন না। তাহলে বড় ভুল করবেন। বাইরে সাহসী পুরুষ কিন্তু বাড়িতে স্ত্রীর কাছে বিড়াল হয়ে সারাটা জীবন কাটাতে হবে।
সমাজে যদি ভালোভাবে তাকান তবে চেহারা দেখলেই বুঝতে পারবেন কে হস্তমৈথুন করে আর কে করে না। যারা করে তাদের অবস্থা কখনোই ভালো না।
যদি আপনি এ অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তবে যতো দ্রুত সম্ভব নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুন। আপনার বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখুন। আর যদি বড় ধরণের সমস্যা হয়েই গেছে – এমন হয় এবং দীর্ঘদিন যাবত এ কাজ করছেন – এমন হয় তবে বিশেষজ্ঞ কোনো যৌন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: সেক্স শব্দটি বাংলাদেশে ইন্টারনেটে কেন এত বেশি সার্চ হয়?