স্মার্টফোন বর্তমানে খুবই প্রয়োজনীয়। স্মার্টফোন ছাড়া আসলে চলাই মুশকিল। একেকে জন মানুষের কাছে স্মার্টফোনের ব্যবহার একেক রকম হয়। কেউ বেশি কাজ করে স্মার্টফোনে আবার কেউ করে কম।
যারা বেশি কাজ করে তাদের ফোন অনেক সময় গরম হয়ে যায়। স্মার্টফোনে নানাবিধ সমস্যার কারণেও এমন হতে পারে আবার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলেও এমন হতে পারে।
আজ আমরা জানবো মূলত এই বিষয়েই অর্থাৎ স্মার্টফোন ব্যবহার করার সময় যদি গরম হয়ে যায় তবে সেটা ঠান্ডা করার উপায় কি। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
স্মার্টফোনের ব্যাপারে আরো কিছু কথা জেনে নেয়া যাক। আগে ফোন দিয়ে শুধু ফোনই করা যেত। তখন এত কিছু করার মত ক্ষমতা ছিল না ফোনের।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বাজারে এসে গেল স্মার্ট ফোন। যেগুলো দিয়ে অনেক কাজ এক সঙ্গে করা সম্ভব সেই সঙ্গে ফোনগুলোর দামও কমে যেতে থাকল।
তাই তা এসে গেল সব রকম আর্থিকভাবে সামর্থবান মানুষের হাতের মুঠোয়। কিন্তু ফোনগুলোতে যেমন দিন দিন অনেক নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ফিচারের ফলে ফোনগুলো অনেক সময় গরম হয়ে যায়। গরম হওয়া এই তাপমাত্রা যখন অস্বাভাবিক হয়ে যায় তখন তাকে ওভার হিটিং বলে।
ওভার হিটিং এর ফলে স্মার্টফোনের উপর যে ধরণের প্রভাব পড়ে:
হ্যা অবশ্যই, ওভার হিটিং এর ফলে স্মার্টফোনের উপর প্রভাব পড়ে। আমি এমন এক বন্ধুকে দেখেছি যার ২৫ হাজার টাকার সোনি এক্সপিরিয়া ফোন ওভার হিটিং এর কারণে মাদার বোর্ড পুড়ে যায়।
ফলে আপনারাও সাবধান হয়ে নিন। এই ভুলের কারণে আপনার প্রিয় ফোন টিকে হারাতে হতে পারে। তাছাড়া এই কারণে ফোনের ব্যাটারী ব্রাস্ট হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তো, ওভার হিটিং নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন হয়তো আপনাদের নেই। সোজা কথায়, মোবাইল ফোন গরম হয়ে যাওয়াটাই ওভার হিটিং। নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে স্মার্টফোনের ওভার হিটিং প্রতিরোধ করা যায়। যথা-
১. আপনি যত বেশি অ্যাপ ইনস্টল করবেন আপনার ফোন তত গরম হতে থাকবে। কারণ এমন অনেক অ্যাপ আছে যেগুলো না ব্যবহার করলেও সেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে Ram টানতে থাকে।
আর আপনার ফোনের Ram এবং Processor যত বেশী সক্রিয় থাকবে তারা ততই তাপ উৎপন্ন করতে থাকবে। ফলস্বরূপ আপনার ফোন টিও গরম হয়ে যাবে। তাই সব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আপনার ফোন থেকে Uninstall করে ফেলুন।
২. Cache & Junk ফাইলগুলোকে আপনার ফোন থেকে মুছে ফেলুন। Cache হল জরুরীকালীন ডাটা যা Ram Access কমানোর জন্য CPU দ্বারা ব্যাবহার করা হয়।
এগুলো জমিয়ে রাখলে CPU কে আরো কঠোর ভাবে কাজ করতে হয়। এর ফলে ফোন শুধু শুধু গরম হয়ে যায়। এই ফাইলগুলোকে ডিলিট করার জন্য আপনারা Clean Master অ্যাপ টিকে ব্যাবহার করতে পারেন। এটা ছাড়াও প্লে স্টোরে হাজার হাজার অ্যাপ রয়েছে। যেকোনটা ব্যবহার করলেই চলে।
৩. স্মার্টফোন কে গরম হওয়ার হাত থেকে বাচাতে হলে Ram Booster Application গুলো ব্যবহার করুন। এগুলো ফোনের Background এর Running Application গুলো কে বন্ধ করে দেয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই কম Cpu Usage এর জন্য ফোন ঠান্ডা থাকে।
৪. 3G ও 4G পরিষেবা ব্যবহার করার সময় যদি ফোন ঠিক মত নেটওয়ার্ক না পায় তাহলে ফোন খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায়। তাই এই পরিষেবা ব্যাবহারের সময় নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার ফোনে ফুল নেটওয়ার্ক আছে কি না।
৫. Wifi & Portable Wifi Hotspot ব্যবহার করলে ফোনের তাপমাত্রা খুব বেড়ে যায় এবং ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি কমে যেতে থাকে। তাই অযথা এগুলি ব্যবহার না করাই ভাল।
পরিশেষে বলা যায়, একটি স্মার্টফোন এর যত্ন স্মার্টভাবেই নেয়া উচিত। তাহলে ফোনটি বেশিদিন টেকসই হয়। আর ভারী গেম খুব কম ইন্সটল করে রাখবেন। অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস রাখা যাবে না।
ভাইরাস আছে এমন নিষিদ্ধ ওয়েবপেজগুলো ব্রাউজ করা যাবে না। ক্লিনার দিয়ে Ram & Rom পরিস্কার রাখতে হবে। তাহলেই একটি স্মার্টফোন স্মার্ট থাকবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল কেনার আগে যে বিষয়গুলোতে নজর দেয়া উচিত।