সুস্থ থাকতে সবাই চায়। সুস্থ্যতার মূল্য বোঝা যায় অসুস্থ্য হলে। শরীর সুস্থ না থাকলে মনও ভালো থাকে না। তাই সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই আমাদের সবার সজাগ থাকা উচিত। আজ এই আলোচনায় আমরা সুস্থ থাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় সম্পর্কে জানবো। তো আর কথা নয় – শুরু করছি মূল আলোচনা।
১. আমরা অনেকেই ঘুম থেকে উঠতে দেরি করি। তবে ঘুম থেকে দেরি করে উঠা ভালো নয়। এটা মূলত একটা বদ অভ্যাস। আসল কথা হলো, ভোর ৬টার পরপরই ঘুম থেকে উঠা উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠলে সূর্যের আলোর কারনে দেহে ভিটামিন ডি তৈরী হয় এবং যার ফলে মস্তিষ্ক ও চোখকে সতেজ রাখে।
২. পানি পান করার অভ্যাস তৈরী করতে হবে। সকালে মুখ ধোয়ার পর হতেই এক গ্লাস বা দুই গ্লাস পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়াম, হাটাহাটি ও জগিং এর অভ্যাস গড়ে তুললে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং দেহ সুস্থ থাকে।
৩. সকালে নিয়মিত নাস্তা করতে হবে। শরীরের সুস্থতার জন্য সকালের নাস্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সকালে শুধু পানি পান করলেই হবে না বরং নাস্তাও করতে হবে। সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তবে খালি পেটে চা বা কফি পান করা উচিত নয়। মোটামুটি নাস্তা করার পরে চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪. খাবার খাওয়ার সময় কখনোই পানি পান করবেন না। তবে কেউ কেউ পানি পান না করলে থাকতে পারে না। মূলত খাবার খাওয়ার আগে অথবা পরে পানি পান করার চেষ্টা করুন। খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন এতে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
খাবার খাওয়ার সময় পানি করলে পরিপাক ক্রিয়াতে বাঁধা আসতে পারে এবং হজমে সমস্যা হয়। খাবার খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পরে বেশি করে পানি পান করুন।
৫. আপনি কোন সময় খাবার খাবেন তা আপনার লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষ করে, দুপুরের খাবার ১টার সময় খাবেন এবং রাতের খাবার ৮টার আগে খাবেন। দুপুরের খাবার বেশি করে খেলে ও দেরি করে খেলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং রাতের খাবার দেরিতে খেলে আপনার হজম হতে সমস্যা হতে পারে। আর খাওয়ার অন্তত ১ ঘন্টা পরে ঘুমাতে যাওয়া উচিত।
৬. সবকিছু পরিমাণ মতো করবেন। অত্যাধিক কোন কিছু করতে যাবেন না। তাহলে শরীরের উপর বাড়তি চাপ পড়বে। শরীরের উপর বাড়তি চাপ পড়লে আপনি সুস্থ থাকবেন না। আর এই বাড়তি চাপ আপনার মনের অবস্থার উপরও প্রভাব ফেলে। আপনি তখন স্বাভাবিক চিন্তা ভাবনা করতে পারবেন না।
পরিশেষে বলা যায়, সুস্থ থাকার জন্য এখানে যে পয়েন্টগুলো তুলে ধরা হয়েছে এর বাইরেও অনেক কিছু রয়েছে। তবে এখানকার বিষয়গুলো নিয়মিত প্রাকটিস করে দেখতে পারেন। আশা করি, সুস্থতা সম্পর্কে আপনার মধ্যে নতুন কিছুর সঞ্চার হবে।