রাতের ঘুম সবার জন্যই খুব দরকারি। দিনে ঘুম পেড়ে কখনো রাতের ঘুম পূরণ করা যায় না। যারা নিয়মিত রাতে কম ঘুমায় কিংবা ঘুমায় না তাদের বিভিন্ন রোগ হতে দেখা যায়।
আজ আমরা যাদের রাতে ঘুম হয় না তাদের জন্য দরকারি কিছু টিপস শেয়ার করবো। আশা করছি, সবারই কাজে লাগবে।
সারাদিন আমরা ব্যস্ততার মধ্যে কাটাই। খাওয়ারই সময় নেই, ঘুম তো অনেক দূরের কথা। আর এই কারণে বাড়ছে বিষন্নতা, নানারকমের রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। ঘুমোতে পারছেন না অনেকেই।
এখনকার দিনে এই ঘুম না হওয়াকে ডাক্তার’রা একটি মারাত্বক রোগ বলে গণ্য করছেন। কিন্তু আপনি চাইলে নিজেই এই রোগ থেকে রেহাই পেতে পারেন। কিন্তু কিভাবে?
জেনে নিন কিছু সহজ টিপস। আর টিপসগুলো শুধু জানলেই হবে না – সঠিকভাবে মানতে হবে সব টিপস।
১. একটা নিয়মিত সময় বের করে নিন:
প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময় বের করে নিন। খুব দরকার ছাড়া এই সময় নড়চড় যাতে না হয় সেটার দিকে খেয়াল রাখুন।
সেই মত নিয়ম করে ঘুমোতে যান এবং সেই মত উঠে পরুন। সাধারণত আমাদের সাত ঘন্টা টানা ঘুম দরকার। এতে আপনার মন ও শরীর দুটোই বেশ ভাল থাকবে।
যদি আপনার সেই নির্দিষ্ট সময়টা আপনি পরিবর্তন করতে চান তাহলে সটা ধীরে ধীরে করের চেষ্টা করুন।
২. সন্ধ্যার দিকে ঘুমোনো এড়িয়ে চলুন:
রাতে ঘুমোতে যাবার আগে সন্ধ্যার দিকে আপনার ঘুম আসলে তা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। ঝিমোবেন না অকারণে।
এই রকম অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করুন, কারণ এটি আপনার রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। আর শরীরেরও ক্ষতি করে।
৩. একটু জিরিয়ে নিতে পারেন:
যদি কখনো আপনার ঘুমের কিছুটা সময় কোন কারণে নষ্ট হয় তাহলে পরে একটু সময় বের করে হাল্কা জিরিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনি চাঙ্গা অনুভব করবেন নিজেকে এবং এটি শরীরের পক্ষেও বেশ ভালো।
পরিশেষে বলা যায়, ঘুম বাদ দিয়ে ভালো স্বাস্থ্য কল্পনা করাটাও বোকামী। সারাদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরে আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজন তৃপ্তির ঘুম। আর যারা গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করি তাদের উচিত যতোটা সম্ভব রাতে কম কাজ করা।
আবার অতিরিক্ত ঘুম শরীরের জন্য ভালো নয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। তো সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সবার উচিত প্রতিদিন রাতে অন্তত ৮ ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করা।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স কতোটা ভয়াবহ এবং ভারতে কয়জন মারা গেল?