কিভাবে যৌন শক্তি বাড়ানো যায়, পেনিস মোটা করা যায়, বড় করা যায় ইত্যাদি প্রশ্নগুলো যুবক’রা সবসময় বেশি করে থাকে। ইন্টারনেটে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে যুবকদের প্রতারিত করা হচ্ছে।
অনেক যুবক রোগী নয় তবুও সেসব বিজ্ঞাপনের ভাষা দেখে নিজেকে তারা রোগী মনে করছে। পর্ণোগ্রাফী ছবিতে যেমন টানা ১ ঘন্টার অভিনয় দেখানো হয় যুবকরা সেটিকে সত্যি মনে করে নিজেকে দূর্বল মনে করে।
কিন্তু সেসব বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে যুবকরা তাদের সত্যিকার যৌন শক্তি হারাতে বসেছে। যৌন রোগ ভালো করতে গিয়ে শারিরীক অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। তাই যৌনতা নিয়ে এখানে খুব স্বাভাবিক কিছু তথ্য পাবেন যা ব্যক্তি জীবনে অনেক কাজে লাগবে। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
১. পর্নোগ্রাফী দেখবেন না, হস্তমৈথুন করবেন না। কলোজিরা বেঁটে ভর্তার মত করে ভেজে খান গরম ভাতের সাথে, সকালে একটা ডিম এবং এক গ্লাস দুধ খান (দুধের সাথে পারলে মধু মিশিয়ে খান)। রাতেও এভাবে খাবেন। কবুতর রোস্ট করে খান।
প্রতি সকালে বা যেকোন সময় দুই কোয়া করে কাঁচা রসুন খান। এছাড়া যৌন ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধও খেতে পারেন। আর বেশি পানি খান, তেল বা চর্বি থেকে পালান, ক্ষুধা লাগলে খাবার খান এবং নিয়মিত খাবার খান।
এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিৎসাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কিকি সামগ্র্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার সাধিত হয়:
ক. রসুন: যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে। রসুনকে গরীবের পেনিসিলিন বলা হয়। কারণ, এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং Immune Booster হিসাবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য সবজি যা আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থাকি।
আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী। কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে।
এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রেও রসুন খুবই কার্যকরী।
প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান। এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উৎপাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে।
খ. পেঁয়াজ: কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু এটি কিভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখনও পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যায়নি।
সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়।
কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন। এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন (যাকে এক কথায় Spermatorrhea বলা হয়) ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷
এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন। এটির নিয়মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে।
গ. গাজর: ১৫০ গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে।
কাজেই এখন আর দুঃশ্চিন্তা করবেন না। সমস্যার একেবারে প্রথম ধাপে আপনি বাড়িতে এই পদ্ধতিগুলো মেনে চলে দেখুন হয়তঃ প্রাথমিক ধাপে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
অন্যদিকে, শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি পূরণে আমরা প্রতিদিনই অনেক ধরনের খাবার খেয়ে থাকি কিন্তু সবাই জানি কি কোন ধরনের খাবার আমাদের সেক্স বাড়াতে সক্ষম?
সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে। আর তা আপনার শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে।
এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি। আপনি যৌন মিলনের মুডে আছেন কিনা তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য।
আসুন জেনে নিই এমন কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সম্পর্কে যা আপনার শরীরে সেক্স পাওয়ার বাড়ায় বহুগুণ:
সেক্সুয়াল চাহিদা বৃদ্ধি করার জন্য কোন খাবার নেই বা ঔষধ নেই। তবে যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার কিছু উপায় রয়েছে। যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধির জন্য আপনি নানান রকম ঔষধ সেবন করতে পারেন।
ভায়াগ্রার নাম তো নিশ্চয় শুনেছেন। এমন আরও অনেক ঔষধ রয়েছে যা পুরুষের যৌন উত্তেজনা ও যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক। তবে সেগুলো অবশ্যই সেবন করতে হবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
অসাধু ক্যানভাসারদের খপ্পরে পড়ে কিংবা হারবাল মেডিকেল সেন্টারের খপ্পরে পড়ে আজেবাজে হারবাল ঔষধ সেবন করতে যাবেন না কখনোই। এতে লাভ তো হবেই না, উল্টো মারাত্মক ক্ষতি হবে স্বাস্থ্যের।
যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি, যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখা, বীর্যের মান উন্নয়ন, যৌন শক্তি বৃদ্ধি করা ইত্যাদির জন্য কিছু প্রাকৃতিক খাবার অবশ্যই আছে। ইচ্ছে করলে সেগুলো ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর খাওয়া, ভালো জীবন যাপন আপনার যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখবে। লাল মাংস, ডিম, সবুজ শাকসবজি, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি খাবারের সুনাম তো আছেই। সাথে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য আদর্শ মনে করা হয় ঝিনুককেও।
ফলের মাঝে স্ট্রবেরী, কলা, তরমুজ উপকারী। এছাড়াও নানান রকমের বাদাম (কুমড়োর বীজ, সূর্যমূখীর বীজ, চিনা বাদাম, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম),দুধ ও চিনি ছাড়া চা এবং রসুন। প্রতিদিন সেবন করলে যৌন শক্তি বাড়ে ও যৌন উত্তেজনা ক্ষমতা ভালো থাকে।
এই খাবারগুলো বেশি করে খাবেন আশা করি উপকার পাবেন। যথা- দুধ কলিজা, ডিম, রঙিন ফল, মিষ্টি আলু, কফি, তৈলাক্ত মাছ, গরুর মাংস, পালং শাক ও অন্যান্য সবজি বাদাম ও বিভিন্ন বীজ।
বাড়তি কিছু চাইলে সেক্স টয় ব্যবহার করুন। তবে ভাল মানের টয় ব্যবহার না করলে অন্য ইনফেকশনে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকবে।
প্রয়োজনে আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমরা আপনাকে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। অথবা আপনি মাশরুম মিক্স করা জিংক সেবন করতে পারেন। এতে কোন সাইড ইফেক্ট নাই এবং এটা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক। আপনাকে মোট ৪টি ফাইল সেবন করতে হতে পারে।
পরিশেষে বলবো, যৌন জীবন আসলে নিয়মানুবর্তিতার উপর অনেকটাই নির্ভর করে। আপনাকে ঠিক মতো শরীরের যত্ন নিতে হবে। ঠিক মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। আর মানসিকভাবে শান্ত থাকতে হবে। একান্ত প্রয়োজনে লজ্জা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করি, এতে আপনি ভালো থাকবেন।
আরও পড়ুন: যৌন শক্তি বাড়ানোর ঘরোয়া কৌশল