গ্যাস্ট্রিকের জন্য আমাদের অনেকেরই বুকে ব্যথা হয়। খুবই মারাত্মক সে ব্যথা। সহ্যই করা যায় না। যার হয়েছে কেবল সেই জানে এর ব্যথা। সেই ব্যথা দূর করার জন্য রয়েছে যাদুকরী হোমিও ঔষধ। আজ সেই যাদুকরী হোমিও ঔষধ নিয়েই আলোচনা করবো।
আমি নিজেও এক সময় গ্যাস্ট্রিকের কারনে বুকে ব্যথা অনুভব করতাম। কয়েকদিন পর পর এমন হতো। তখন গরম পানি পান করলে খানিকটা উপকার হতো। কিন্তু পুরোপুরি থামতো না।
বলে রাখা ভালো, আমি আজ আপনাদের সাথে যা শেয়ার করবো তা সত্যিই বিস্ময়কর। কোন কাল্পনিক গল্পকথা নয় বরং আমার নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে সবকিছু শেয়ার করবো।
আমার এ সমস্যা হয়েছিল ১ বছর আগে। কোন কারন বের করতে পারিনি। কারন বের করার চেষ্টা করেছি। আপনারা কি আসলে পুরোপুরি ধরতে পেরেছেন আমি কোন রোগটার কথা বলছি!
এবার প্যাচ-মোচরে না গিয়ে সরাসরি বলে দেই। আমরা যখন খাবার খাই তখন তা সরাসরি পাকস্থলীতে যায় না। পাকস্থলীতে যাওয়ার ঠিক আগ মূহুর্তে একটি দরজা থাকে সেটা অটো খুলে যায় (খাবার খাওয়ার সময়)। ইংরেজীতে সে স্থানটিকে বলা হয় ইসোফেগাস।
এই ইসোফেগাস শুধু কোন কিছু খাওয়ার সময় খুলে যাওয়ার কথা। কিন্তু খাবার না খাওয়া স্বত্তেও যদি কখনো এই দরজা খুলে যায় তখন পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড চলে আসে উপরে। তখন বুকে চরম ব্যথা শুরু হয়। মনে হয়, বুকটা পুরে যাচ্ছে। আর ইংরেজীতে এই রোগের নাম হলো GERD (Gastro Esophageal Reflux Disease).
গ্রামের মানুষ আসলে এই রোগটিকে ঐভাবে জানে না। শুধু এই টুকু বলে যে, আমার গ্যাসের সমস্যা হয়েছে। বুকটা পুরে যাচ্ছে।
তো কথা হচ্ছে, আপনার যদি এমন সমস্যা হয় বা অলরেডি হয়েছে তাহলে আপনি কেমন আছেন তা আর আমাকে বলতে হবে না। আমি অনুধাবন করতে পারছি।
আর এই রোগ কিন্তু সাধারন রোগ নয়। সাধারন যে সমস্ত ক্যাপসুল, ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যায় তা দিয়ে আপনি এই রোগ এত সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন না। ব্যথা উঠলে খুব তাড়াতাড়ি ব্যথা কমবেও না।
এখন আমার ছোট্ট একটি ঘটনা শেয়ার করি। আমি আমার এলাকার একটি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে অ্যাডমিশন নিয়েছিলাম।
সেখানে ভর্তি হয়েছিলাম পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে। কিছু বইও কিনেছিলাম। সেই সুবাদে হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে আমার বেশ জানাশোনা হয়ে যায়।
৩/৪ মাস পরে আমি আমার বাসায় কিছু হোমিওপ্যাথি ঔষধ নিয়ে আসি। নিজের বাড়ির এবং আশপাশের মানুষের ছোট ছোট সমস্যার ক্ষেত্রে হোমিও ঔষধ প্রয়োগ করতাম।
হোমিও ঔষধে তেমন কোনো সাইড ইফেক্ট নাই এবং এটা ব্যবহার করা সহজ তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতাম। যাই হোক, এভাবেই চলছিল।
তো হঠাৎ একদিন রাত ২ টার সময় আমার বুকে ব্যথা শুরু হয়। অ্যাসিডিটির ব্যথা। মনে হয় বুকটা পুরে যাচ্ছিল। সেই সময় আমি বাড়ির কাউকে ডাক দেইনি।
ভাবলাম, ওদেরকে ডাক দিয়ে কি হবে? বরং আমার ঘরেই তো হোমিওপ্যাথিক ঔষধ আছে – সেগুলো নিজের উপর নিজেই প্রয়োগ করে দেখি।
এরপর হোমিওপ্যাথির যেসব ঔষধ লক্ষণানুযায়ী গ্যাস্ট্রিকের বিরুদ্ধে কাজ করে সেগুলো প্রয়োগ করা শুরু করলাম। আমি নামগুলো বলছি না। নামগুলো বললে তো সব জেনেই গেলেন। তখন আর বাকি পোস্ট পড়ার ইচ্ছে থাকবে না।
আমার ঘরে ২০০ পাওয়ার এর উপরে ঔষধ ছিলো না। আমি সেগুলোই এক এক করে কয়েক ফোঁটা করে সেবন করা শুরু করলাম। কিন্তু কিছুতেই কোন কাজ হচ্ছিল না।
হঠাৎ আরেকটি ঔষধ চোখে পড়লো। সেটা অবশ্য অ্যাসিড জাতীয় ঔষধ ছিলো। এতো তাড়াহুড়ো করিয়েন না, ঔষধের নাম শেষে বলবো ইনশাআল্লাহ।
তো সেই ঔষধ আমি কয়েক ফোঁটা সেবন করলাম। বিশ্বাস করুন, একবারে যাদুর মতো কাজ করলো ঔষধটা। আমার গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো। মানে ঔষধটি গলা থেকে নামতে যতক্ষণ – এর মধ্যেই সুস্থ্য হয়ে গেলাম।
সেদিন থেকে সেই হোমিওপ্যাথি ঔষধটা আমি সংরক্ষণ করলাম। আমি যেখানেই যাই সেখানেই ঔষধটা আমার কাছে রাখি। কারন, সমস্যা হওয়া মাত্রই কয়েক ফোঁটা সেবন করলেই আমি সুস্থ হয়ে যাই। এভাবে ২ মাস পরে আমি ১০০% সুস্থ হয়ে যাই।
হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু আমার সাথে বাস্তবে এমনটাই হয়েছে। এখন আমি পূর্ণাঙ্গ সুস্থ। আমার অ্যাসিডিটির সেই সমস্যা আর নাই।
পরে আমি সেই ঔষধটি নিয়ে একটু বিস্তারিত পড়াশোনা করলাম। যে কয়েকটা বই ছিলো সবগুলোতে ঐ ঔষধের গুণাগুণ ও উপকারিতা এবং লক্ষণ অনুযায়ী প্রয়োগ সম্পর্কিত তথ্যাবলী দেখলাম।
তবে হোমিওপ্যাথি ঔষধের একক কার্যাবলী বলে কোন কথা নাই। একটি ঔষধ বিভিন্ন রোগের কাজ করে। তাই সঠিক লক্ষণে যদি একটি মাত্র সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করা যায় তাহলে রোগ আরোগ্য হবে অবশ্যই।
বুকের এই অ্যাসিডিটির সমস্যা যাদের আছে তাদের নিশ্চয়ই অভিজ্ঞতা আছে। ধরুন, আপনি দূরে কোথাও গিয়েছেন। সেখানে আশপাশে কোন বাড়ি নাই, কোন দোকানপাট নাই।
সেই অবস্থায় যদি আপনার বুকের এই ব্যথা শুরু হয় তাহলে আপনি কি করবেন? আমি আগেই বলেছি, বুকের এই ব্যথা উঠলে আপনি যদি গরম পানি কিংবা গরম চা পান করতে পারেন তাহলে ব্যথা আপাত: কমবে।
কিন্তু যখন আশপাশে বাড়ি বা দোকানপাট থাকবে না তখন আপনি এতোটা বিপদে পড়বেন যে, মনে হবে মরে যাবেন। এমনটা আমার সাথে হয়েছে। আর আশপাশে বাড়ি থাকলেই কি গরম পানিটা আপনি চাইলেই পাবেন। আপনাকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখ্যীন হওয়া লাগতে পারে।
যাই হোক, আমার বাড়ি থেকে ৪ কিলোমিটার দূরের বাজারে একটি কাজে গিয়েছিলাম। কাজ শেষ করে আসার সময় আমার ব্যথা শুরু হয়। হালকা থেকে পরিপূর্ণ ব্যথা আরম্ভ হতে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট লাগে। আমি তখন সাইকেল চালিয়ে আসছিলাম।
তখন উপায়হীন হয়ে দ্রুত গতিতে সাইকেল চালানো আরম্ভ করলাম। বাসায় ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌছলাম। এসেই ছোট বোনটাকে বললাম আমাকে দ্রুত গরম পানি করে দিতে। সে দ্রুতই করে দিলো গরম পানি।
সেই পানি পান করার পরে আস্তে আস্তে আমার ব্যথাটা কমে। কিন্তু পুরোপুরি না। এই ঘটনা যখন হয়েছে তখন আমি এই যাদুকরী হোমিও ঔষধের বিষয়ে জানতাম না।
তো এখন আসলে কি বলবো। একটা কথা আছে, রাখে আল্লাহ মারে কে। ঠিক ঐরকমটাই হয়েছে আমার সাথে হয়তো। আল্লাহ আমাকে এমন একটি ঔষধের সন্ধান দিয়ে দিয়েছেন যার মাধ্যমে আমি পূর্ণাঙ্গ সুস্থ।
হয়তো অনেক হোমিওপ্যাথি ডাক্তার কিংবা দোকানদারের কাছে এই ঔষধ আছে কিন্তু তারা হয়তো এর এই যাদুকরী কার্যক্ষমতা সম্পর্কে জানে না। আসলে বাস্তবেই জানে না।
সবার মনের মধ্যে হয়তো প্রশ্ন জাগছে, কেন আমি সেই ঔষধের নাম বলছি না। ঔষধের নাম বললে তো আপনি আর পড়বেন না। তাই বলছি না।
আর ফ্রিতে কোন কিছু প্রোভাইড করলে সেটার মূল্য থাকে না। তাই ফ্রিতে প্রোভাইড করতে চাচ্ছি না। আপনি অবশ্যই আমার নিকট থেকে ঐ হোমিওপ্যাথি ঔষধের নাম জানতে পারবেন। তবে কয়েকটা ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে হবে।
আমি ব্যবসা করার জন্য আসিনি। তাহলে তো আমি ঔষধ বিক্রির কথা সবার শুরুতে বলতাম। আমি বহুদিন থেকে চাইতাম যে, বিষয়টি শেয়ার করি। আসলে আলসেমি আর সময়ের অভাবে তা করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত আমার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেই ফেললাম।
এরপর ভিডিও আকারে এটি প্রকাশ করবো। ইউটিউবে আমার চ্যানেলে ঘুরে আসতে পারেন এখান থেকে। মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরী করার চেষ্টা করি। আশা করি ভালো লাগবে। আর এই চ্যানেলেই যাদুকরী হোমিও ঔষধ নিয়ে ভিডিওটি খুব শীঘ্রই শেয়ার করবো।
যাই হোক, ঔষধের নাম জানার জন্য কয়েকটা ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে বলছি। এখন সে ধাপগুলো আপনাকে জানাবো।
আসলে ধাপ বলতে আপনাকে কিছু করতে হবে এমন নয়। তবে যা করা অনুচিত তা আপনাকে জানাবো। আমি যদি ঔষধের নামটা সরাসরি বলে দেই তবে এটার তেমন ভ্যালু থাকবে না।
তাই সরাসরি নামটা বলতে নাও পারি। অর্থাৎ এখানে শেয়ার করবো না। ঔষধের নামটা আমার কাছ থেকে আপনার জেনে নিতে হবে।
সেজন্য আমার ইউটিউব চ্যানেলে যাবেন। সেখানে অ্যাবাউট অপশনে যাবেন। সেখানে একটি জিমেইল দেয়া আছে। সেই জিমেইলে আমাকে মেইল পাঠাবেন।
আমি মেইল পাওয়া মাত্রই আপনাকে রিপ্লাই দেব। সেটা হয়তো কয়েক ঘন্টা থেকে শুরু করে ১ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। আমাকে আমার ফেইসবুক পেজ এর মাধ্যমেও ম্যাসেজ পাঠাতে পারেন।
ম্যাসেজ পাওয়া মাত্রই ইনশাআল্লাহ রিপ্লাই দেব। ফেইসবুক পেজ এ অবশ্য আমার পার্সোনাল মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে। আপনি চাইলে সেখান থেকে নাম্বার নিয়ে আমাকে ম্যাসেজ (এসএমএস) পাঠাতে পারেন।
হ্যা, নাম্বারটা এখানেই দিতে পারতাম। কিন্তু দিলাম না। একটু কষ্ট করেই নেন না। আপনার যদি উপকার হয় তবে সামান্য এইটুকু কাজ করতে পারবেন না! আশা করি, সবকিছু বুঝতে পারছেন।
পরিশেষে বলতে চাই, যাদের গ্যাস্ট্রিকের এই ধরণের সমস্যা আছে তারা প্লীজ এই ঔষধটা সেবন করুন। আপনি যাদুর মতো উপকার পাবেন নিশ্চিত। আমি গ্যারান্টি দিতে পারি।
আমি নিজে উপকার পেয়েছি আর তাই সবার স্বার্থে শেয়ার করলাম। উপকার ছাড়া কারও অপকার হবে না। আমি কারও কাছে কোন টাকা-পয়সা চাইনি। তবে উপকার পেয়ে কেউ যদি সামান্য ক্রেডিট দিতে চান দিতে পারেন। সেটা যেভাবেই হোক না কেন।
আর ভাজা-পোড়া একটু কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। সারাদিনে অন্তত ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করবেন। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করবেন।
বাজারে প্রচলিত গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ যতোটা সম্ভব কম সেবন করুন। কারন, সেগুলো উপকার করার পাশাপাশি অনেক অপকারও করে থাকে। সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই ইতি টানলাম।
আরও পড়ুন: সোরিয়াসিস (Psoriasis) নামক চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার গল্প