• প্রচ্ছদ
  • খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • চাকরি
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ধর্ম
  • সম্পাদকীয়
  • কৃষি
  • আরও
  • English

ইমেইল সাবস্ক্রিপশন

দেশ ও বিদেশের প্রতি মূহুর্তের গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ পেতে করতোয়া সাবস্ক্রাইব করুন

সর্বাধিক পঠিত

কাতিলা গাম-এর আশ্চর্য সব উপকারিতা

April 27, 2022

মেয়েদের স্তন কেন ঝুলে যায় – কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

June 7, 2022

সহবাস এর ৭টি চরম উপকারিতা এবং সপ্তাহে কতবার সহবাস করা উচিত

September 17, 2022
Facebook Twitter YouTube
শিরোনাম:
  • হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার সঠিক উপায়
  • পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বর্ণনা জেনে নিন
  • জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত আইনগুলো জানুন
  • যৌন সমস্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বিরাট সাফল্য
  • ভালোবাসার এই গল্পটি আপনাকে কাঁদতে বাধ্য করবে
  • ঘুম কম হলে করণীয়
  • কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের হোমিও চিকিৎসা
  • স্মার্ট ফোনের চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখার উপায়
Facebook Twitter Instagram
করতোয়াকরতোয়া
Subscribe
Thursday, June 8
  • প্রচ্ছদ
  • খবর
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • চাকরি
  • তথ্যপ্রযুক্তি
  • প্রবাস
  • খেলা
  • বিনোদন
  • মতামত
  • ধর্ম
  • সম্পাদকীয়
  • কৃষি
  • আরও
  • English
করতোয়াকরতোয়া
প্রচ্ছদ » মোটরযান সম্পর্কে বাছাইকৃত সেরা ৮৫টি প্রশ্নোত্তর – বিআরটিএ পরীক্ষায় কাজে লাগবে
আরও

মোটরযান সম্পর্কে বাছাইকৃত সেরা ৮৫টি প্রশ্নোত্তর – বিআরটিএ পরীক্ষায় কাজে লাগবে

ADMINBy ADMINSeptember 19, 2022No Comments11 Views16 Mins Read
SHARE. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn WhatsApp Email
Share.
Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email WhatsApp

মোটরসাইকেল এর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষা হয়। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এ পরীক্ষা নিয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের প্রশ্নের সম্মুখ্যীন করা হয়। নিচে অনেকগুলো প্রশ্নোত্তর দেয়া হয়েছে। সবগুলোই বাছাই করা এবং এগুলো বিআরটিএ প্রশ্ন।

কোনো ব্যক্তি যদি মনোযোগ সহকারে নিচের তথ্যগুলো পড়ে নেয় তাহলে তাকে কোন প্রশ্ন করেই বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ আটকাতে পারবে না। শুধু পরীক্ষার জন্য নয় – একজন সুদক্ষ মোটরসাইকেল ড্রাইভার হিসেবে তথ্যগুলো জানা আবশ্যকা। মনে রাখবেন, বিআরটিএ লিখিত পরীক্ষায় এই প্রশ্নগুলো থেকেই প্রশ্ন করা হয়। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।

০১. প্রশ্ন: মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।

০২. প্রশ্ন: গাড়ি চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী?

উত্তর: ক. গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্সটোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইনসুরেন্স (বিমা) সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ইত্যাদি) গাড়ির সঙ্গে রাখা।

খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।

ঙ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

চ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া।

ছ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্র“টিমুক্ত আছে কি না পরীক্ষা করা।

জ. ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।

ঝ. অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখা।

ঞ. গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা, চাকা (টায়ার কন্ডিশন/হাওয়া/নাট/এলাইমেন্ট/রোটেশন/স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।

০৩. প্রশ্ন: মোটরযানের মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় একটি গাড়ি হতে দীর্ঘদিন সার্ভিস পাওয়ার জন্য প্রতিদিন গাড়িতে যে-সমস্ত মেরামত কাজ করা হয়, তাকে মোটরযানের মেইনটেনেন্স বলে।

০৪. প্রশ্ন: একটি মোটরযানে প্রতিদিন কী কী মেইনটেনেন্স করতে হয়?

উত্তর: ২ নং প্রশ্নের উত্তরের খ থেকে ঞ পর্যন্ত।

০৫. প্রশ্ন: সার্ভিসিং বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে-কাজগুলো করা হয়, তাকে সার্ভিসিং বলে।

০৬. প্রশ্ন: গাড়ি সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয়?

উত্তর: ক. ইঞ্জিনের পুরাতন লুব অয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুবঅয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা ফ্লাশ করা।

খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার করা, অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করা।

গ. ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রিজ দেওয়া।

ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া দেওয়া।

ঙ. লুবঅয়েল (মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার পরিবর্তন করা।

০৭. প্রশ্ন: গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয়?

উত্তর: ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স, খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক), গ. ট্যাক্সটোকেন, ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট, ঙ.ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এবং চ. রুটপারমিট (মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।)

০৮. প্রশ্ন: রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন/কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে গাড়ির কাগজ দেখাতে বাধ্য?

উত্তর: সার্জেন্ট বা সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএর কর্মকর্তা এবং মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।

০৯. প্রশ্ন: মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী?

উত্তর: মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০)।

১০. প্রশ্ন: সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?

উত্তর: ক. অত্যধিক আত্মবিশ্বাস, খ. মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, গ. অননুমোদিত ওভারটেকিং এবং ঘ. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।

১১. প্রশ্ন: গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করনীয় কী?

উত্তর: আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।

১২. প্রশ্ন: আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত?

উত্তর: হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।

১৩. প্রশ্ন: মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী?

উত্তর: সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।

১৪. প্রশ্ন: অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে?

উত্তর: যে-লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান (পরিবহনযান ব্যতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

১৫. প্রশ্ন: ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত?

উত্তর: পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।

১৬. প্রশ্ন: কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে?

উত্তর: মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপব্যক্তি, বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।

১৭. প্রশ্ন: হালকা মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।

১৮. প্রশ্ন: মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক কিন্তু ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।

১৯. প্রশ্ন: ভারী মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই ওজন ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক, তাকে ভারী মোটরযান বলে।

২০. প্রশ্ন: প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান কাকে বলে?

উত্তর: ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের বেশি যাত্রী বহনের উপযোগী যে-মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।

২১. প্র্রশ্ন: ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার। ক. বাধ্যতামূলক, যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়, খ. সতর্কতামূলক, যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয় এবং গ. তথ্যমূলক, যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।

২২. প্রশ্ন: লাল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?

উত্তর: নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্যবর্জনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২৩. প্রশ্ন: নীল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে?

উত্তর: করতে হবে বা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২৪. প্রশ্ন: লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নিদের্শনা প্রদর্শন করে?

উত্তর: সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২৫. প্রশ্ন: নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তর: সাধারণ তথ্যমূলক সাইন।

২৬. প্রশ্ন: সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তর: পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।

২৭. প্রশ্ন: কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তর: এটিও পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।

২৮. প্রশ্ন: ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: ৩ (তিন) প্রকার। যেমন- ক. বাহুর সংকেত, খ. আলোর সংকেত ও গ. শব্দ সংকেত।

২৯. প্রশ্ন: ট্রাফিক লাইট সিগন্যালের চক্র বা অনুক্রমগুলি কী কী?

উত্তর: লাল-সবুজ-হলুদ এবং পুনরায় লাল।

৩০. প্রশ্ন: লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশনা প্রদশন করে?

উত্তর: লালবাতি জ্বললে গাড়িকে ‘থামুনলাইন’এর পেছনে থামায়ে অপেক্ষা করতে হবে, সুবজবাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে এবং হলুদবাতি জ্বললে গাড়িকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

৩১. প্রশ্ন: নিরাপদ দূরত্ব বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: সামনের গাড়ির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হয় সেই পরিমাণ নিরাপদ দূরত্ব বলে।

৩২. প্রশ্ন: পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?

উত্তর: ২৫ মিটার।

৩৩. প্রশ্ন: পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ মাইল গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?

উত্তর: ৫০ গজ বা ১৫০ ফুট।

৩৪. প্রশ্ন: লাল বৃত্তে ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৩৫. প্রশ্ন: নীল বৃত্তে ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৩৬. প্রশ্ন: লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ন আঁকা থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: হর্ন বাজানো নিষেধ।

৩৭. প্রশ্ন: লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।

৩৮. প্রশ্ন: লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: পথচারী পারাপার নিষেধ।

৩৯. প্রশ্ন: লাল ত্রিভুজে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে।

৪০. প্রশ্ন: লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: ওভারটেকিং নিষেধ।

৪১. প্রশ্ন: আয়তক্ষেত্রে ‘চ’ লেখা থাকলে কী বুঝায়?

উত্তর: পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।

৪২. প্রশ্ন: কোন কোন স্থানে গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ?

উত্তর: নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহের চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নীরব এলাকা হিসাবে চিহ্নিত।

৪৩. প্রশ্ন: কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ?

উত্তর: ক. ওয়ারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে, খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/কালভার্ট ও তার আগে পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব, ঘ. সরু রাস্তায়, ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়।

৪৪. প্রশ্ন: কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ?

উত্তর: ক. যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে, খ. জাংশনে, গ. ব্রিজ/কালভার্টের ওপর, ঘ. সরু রাস্তায়, ঙ. হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়, চ. পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়, ফুটপাত, পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে, ছ. বাস স্টপেজ ও তার আশেপাশে এবং জ. রেলক্রসিং ও তার আশেপাশে।

৪৫. প্রশ্ন: গাড়ি রাস্তার কোনপাশ দিয়ে চলাচল করবে?

উত্তর: গাড়ি রাস্তার বামপাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে-রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বামপাশের লেনে ধীর গতির গাড়ি, আর ডানপাশের লেনে দ্রুত গাতির গাড়ি চলাচল করবে।

৪৬. প্রশ্ন: কখন বামদিক দিয়ে ওভারটেক করা যায়?

উত্তর: যখন সামনের গাড়ি চালক ডানদিকে মোড় নেওয়ার ইচ্ছায় যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে যেতে থাকবেন তখনই পেছনের গাড়ির চালক বামদিক দিয়ে ওভারটেক করবেন।

৪৭. প্রশ্ন: চলন্ত অবস্থায় সামনের গাড়িকে অনুসরণ করার সময় কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত?

উত্তর: (ক) সামনের গাড়ির গতি (স্পিড) ও গতিবিধি, (খ) সামনের গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছে কি না, (গ) সামনের গাড়ি ডানে/বামে ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কি না, (ঘ) সামনের গাড়ি হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকছে কি না।

৪৮. প্রশ্ন: রাস্তারপাশে সতর্কতামূলক ‘‘স্কুল/শিশু” সাইন বোর্ড থাকলে চালকের করণীয় কী?

উত্তর: (ক) গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দু-পাশে ভালোভাবে দেখে-শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে।

(খ) রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় কোনো শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

৪৯. প্রশ্ন: গাড়ির গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কীভাবে সংকেত দিবেন?

উত্তর: চালক তার ডানহাত গাড়ির জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে-নীচে উঠানামা করাতে থাকবেন।

৫০. প্রশ্ন: লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার ও কী কী?

উত্তর: লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং ২ প্রকার। ক. রক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদার নিয়ন্ত্রিত রেলক্রসিং, খ. অরক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদারবিহীন রেলক্রসিং।

৫১. প্রশ্ন: রক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?

উত্তর: গাড়ির গতি কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে। যদি রাস্তা বন্ধ থাকে তাহলে গাড়ি থামাতে হবে, আর খোলা থাকলে ডানেবামে ভালোভাবে দেখে অতিক্রম করতে হবে।

৫২. প্রশ্ন: অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?

উত্তর: গাড়ির গতি একদম কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে, প্রয়োজনে লেভেলক্রসিংয়ের নিকট থামাতে হবে। এরপর ডানেবামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করতে হবে।

৫৩. প্রশ্ন: বিমানবন্দরের কাছে চালককে সতর্ক থাকতে হবে কেন?

উত্তর: (ক) বিমানের প্রচণ্ড শব্দে গাড়ির চালক হঠাৎ বিচলিত হতে পারেন, (খ) সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটতে পারে, (গ) বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ভিআইপি বেশি চলাচল করে বিধায় এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়।

৫৪. প্রশ্ন: মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট ব্যবহার করা উচিত কেন?

উত্তর: মানুষের মাথা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এখানে সামান্য আঘাত লাগলেই মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।

তাই দুর্ঘটনায় মানুষের মাথাকে রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।

৫৫. প্রশ্ন: গাড়ির পেছনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কতক্ষণ পর পর লুকিং গ্লাস দেখতে হবে?

উত্তর: প্রতিমিনিটে ৬ থেকে ৮ বার।

৫৬. প্রশ্ন: পাহাড়ি রাস্তায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?

উত্তর: সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ১ নং গিয়ারে বা ফার্স্ট গিয়ারে সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে হবে। পাহাড়ের চূড়ার কাছে গিয়ে আরো ধীরে উঠতে হবে, কারণ চূড়ায় দৃষ্টিসীমা অত্যন্ত সীমিত। নিচে নামার সময় গাড়ির গতি ক্রমে বাড়তে থাকে বিধায় সামনের গাড়ি থেকে বাড়তি দূরত্ব বজায় রেখে নামতে হবে। ওঠা-নামার সময় কোনোক্রমেই ওভারটেকিং করা যাবে না।

৫৭. প্রশ্ন: বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালনার বিষয়ে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?

উত্তর: বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় ব্রেক কম কাজ করে। এই কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে ধীর গতিতে (সাধারণ গতির চেয়ে অর্ধেক গতিতে) গাড়ি চালাতে হবে, যাতে ব্রেক প্রয়োগ করে অতি সহজেই গাড়ি থামানো যায়। অর্থাৎ ব্রেক প্রয়োগ করে গাড়ি যাতে অতি সহজেই থামানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেইরূপ ধীর গতিতে বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালাতে হবে।

৫৮. প্রশ্ন: ব্রিজে ওঠার পূর্বে একজন চালকের করণীয় কী?

উত্তর: ব্রিজ বিশেষকরে উঁচু ব্রিজের অপরপ্রান্ত থেকে আগত গাড়ি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না বিধায় ব্রিজে ওঠার পূর্বে সতর্কতার সাথে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠতে হবে। তাছাড়া, রাস্তার তুলনায় ব্রিজের প্রস্থ অনেক কম হয় বিধায় ব্রিজে কখনো ওভারটেকিং করা যাবে না।

৫৯. প্রশ্ন: পার্শ্বরাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?

উত্তর: পার্শ্বরাস্তা বা ছোট রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার আগে গাড়ির গতি কমায়ে, প্রয়োজনে থামায়ে, প্রধান রাস্তার গাড়িকে নির্বিঘ্নে আগে যেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান সড়কে গাড়ির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সুযোগমত সতর্কতার সাথে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করতে হবে।

৬০. প্রশ্ন: রাস্তার ওপর প্রধানত কী কী ধরনের রোডমার্কিং অঙ্কিত থাকে?

উত্তর: রাস্তার ওপর প্রধানত ০৩ ধরনের রোডমাকিং অঙ্কিত থাকে।

ক. ভাঙালাইন, যা অতিক্রম করা যায়।

খ. একক অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ, তবে প্রয়োজনবিশেষ অতিক্রম করা যায়।

গ. দ্বৈত অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ এবং আইনত দণ্ডনীয়। এই ধরনের লাইন দিয়ে ট্রাফিকআইল্যান্ড বা রাস্তার বিভক্তি বুঝায়।

৬১. প্রশ্ন: জেব্রাক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী?

উত্তর: জেব্রাক্রসিংয়ে পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রাক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই তার আগে থামাতে হবে। জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর গাড়িকে থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।

৬২. প্রশ্ন: কোন কোন গাড়িকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে?

উত্তর: যে-গাড়ির গতি বেশি, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি জরুরি সার্ভিস, ভিভিআইপি গাড়ি ইত্যাদিকে।

৬৩. প্রশ্ন: হেড লাইট ফ্ল্যাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কী?

উত্তর: শহরের মধ্যে সাধারণত ‘লো-বিম বা ডিপার বা মৃদুবিম’ ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে অর্থাৎ বেশিদূর পর্যন্ত দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের বাইরের রাস্তায় ‘হাই বা আপার বা তীক্ষ্ম বিম’ ব্যবহার করা হয়। তবে, বিপরীতদিক থেকে আগত গাড়ি ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসলে হাইবিম নিভিয়ে লো-বিম জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ বিপরীতদিক হতে আগত কোনো গাড়িকে পাস/পার হওয়ার সময় লো-বিম জ্বালাতে হবে।

৬৪. প্রশ্ন: গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কী?

উত্তর: গাড়ির ব্রেক ফেল করলে প্রথমে অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে। ঠেকানোর সময় যানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেনো না হয় বা কম হয় সেইদিকে সজাগ থাকতে হবে।

৬৫. প্রশ্ন: গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কী?

উত্তর: গাড়ির চাকা ফেটে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এই সময় গাড়ির চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং অ্যাক্সিলারেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

৬৬. প্রশ্ন: হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কী?

উত্তর: প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পিছনে উভয়পাশের কর্ণারে একজোড়া করে মোট দু-জোড়া ইন্ডিকেটর বাতি থাকে। এই চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিভলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে। বিপজ্জনক মুহূর্তে, গাড়ি বিকল হলে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।

৬৭. প্রশ্ন: গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কী কী ইন্সট্রুমেন্ট থাকে?

উত্তর: ক. স্পিডোমিটার- গাড়ি কত বেগে চলছে তা দেখায়।

খ. ওডোমিটার – তৈরির প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলছে তা দেখায়।

গ. ট্রিপমিটার- এক ট্রিপে গাড়ি কত কিলোমিটার/মাইল চলে তা দেখায়।

ঘ. টেম্পারেচার গেজ- ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়।

ঙ. ফুয়েল গেজ- গাড়ির তেলের পরিমাণ দেখায়।

৬৮. প্রশ্ন: গাড়িতে কী কী লাইট থাকে?

উত্তর: ক. হেডলাইট, খ. পার্কলাইট, গ. ব্রেকলাইট, ঘ. রিভার্সলাইট ঙ. ইন্ডিকেটরলাইট, চ. ফগলাইট এবং ছ. নাম্বারপ্লেট লাইট।

৬৯. প্রশ্ন: পাহাড়ি ও ঢাল/চূড়ায় রাস্তায় গাড়ি কোন গিয়ারে চালাতে হয়?

উত্তর: ফার্স্ট গিয়ারে। কারণ ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি চালানোর জন্য ইঞ্জিনের শক্তি বেশি প্রয়োজন হয়।

৭০. প্রশ্ন: গাড়ির সামনে ও পিছনে লাল রঙের ইংরেজি “খ” অক্ষরটি বড় আকারে লেখা থাকলে এরদ্বারা কী বুঝায়?

উত্তর: এটি একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভারচালিত গাড়ি। এই গাড়ি হতে সাবধান থাকতে হবে।

৭১. প্রশ্ন: শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে গাড়ি চালানো বৈধ কী?

উত্তর: ইনসট্রাক্টরের উপস্থিতিতে ডুয়েল সিস্টেম (ডাবল স্টিয়ারিং ও ব্রেক) সম্বলিত গাড়ি নিয়ে সামনে ও পিছনে “খ” লেখা প্রদর্শন করে নির্ধারিত এলাকায় চালানো বৈধ।

৭২. প্রশ্ন: ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: সাধারণত ইঞ্জিন হতে গাড়ির পেছনের দু-চাকায় পাওয়ার (ক্ষমতা) সরবরাহ হয়ে থাকে। বিশেষ প্রয়োজনে যে-গাড়ির চারটি চাকায় (সামনের ও পিছনের) পাওয়ার সরবরাহ করা হয়, তাকে ফোরহুইলড্রাইভ গাড়ি বলে।

৭৩. প্রশ্ন: ফোরহুইলড্রাইভ কখন প্রয়োগ করতে হয়?

উত্তর: ভালো রাস্তাতে চলার সময় শুধুমাত্র পেছনের দু-চাকাতে ড্রাইভ দেওয়া হয়। কিন্তু পিচ্ছিল, কর্দমাক্ত রাস্তায় চলার সময় চার চাকাতে ড্রাইভ দিতে হয়।

৭৪. প্রশ্ন: টুলবক্স কী?

উত্তর: টুলবক্স হচ্ছে যন্ত্রপাতির বাক্স, যা গাড়ির সঙ্গে রাখা হয়। মোটরযান জরুরি মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল টুলবক্সে রাখা হয়।

৭৫. প্রশ্ন: ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?

উত্তর: সর্বোচ্চ ৪ মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৩৮ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন।

৭৬. প্রশ্ন: গাড়িতে গাড়িতে নিষিদ্ধ হর্ন কিংবা উচ্চশব্দ উৎপাদনকারী যন্ত্র সংযোজন ও তা ব্যবহার করলে শাস্তি কী?

উত্তর: ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৩৯ ধারা)।

৭৭. প্রশ্ন: রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট ও রুটপারমিট ব্যতীত গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?

উত্তর: প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড অথবা ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড। দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী সময়ের জন্য সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড অথবা ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৫২ ধারা)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন।

৭৮. প্রশ্ন: মদ্যপ বা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কী?

উত্তর: সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড। পরবর্তী সময়ে প্রতিবারের জন্য সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড এবং নির্দিষ্ট মেয়াদে ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪৪ ধারা)।

৭৯. প্রশ্ন: নির্ধারিত গতির চেয়ে অধিক বা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালনার শাস্তি কী?

উত্তর: প্রথমবার অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ দিন কারাদণ্ড বা ৩০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড। পরবর্তীতে একই অপরাধ করলে সর্বোচ্চ ৩ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দণ্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা ১ মাসের জন্য স্থগিত (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪২ ধারা)।

৮০. প্রশ্ন: বেপরোয়া ও বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালনার শাস্তি কী?

উত্তর: সর্বোচ্চ ৬ মাস কারাদণ্ড বা ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং যে-কোনো মেয়াদের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্সের কার্যকারিতা স্থগিত (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ১৪৩ ধারা)।

৮১. প্রশ্ন: ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত গাড়ি চালনার শাস্তি কী?

উত্তর: ২০০ টাকা জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১৫০)।

৮২. প্রশ্ন: নির্ধারিত ওজন সীমার অধিক ওজন বহন করে গাড়ি চালালে বা চালানোর অনুমতি দিলে শাস্তি কী?

উত্তর: প্রথমবার ১,০০০ পর্যন্ত জরিমানা এবং পরবর্তী সময়ে ৬ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়দণ্ড (ধারা-১৫৪)। এই ক্ষেত্রে মালিক ও চালক উভয়েই দণ্ডিত হতে পারেন ।

৮৩. প্রশ্ন: ইনসিওরেন্স বিহীন অবস্থায় গাড়ি চালনার শাস্তি কী?

উত্তর: ২,০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১৫৫)।

৮৪. প্রশ্ন: প্রকাশ্য সড়কে অথবা প্রকাশ্য স্থানে মোটরযান রেখে মেরামত করলে বা কোনো যন্ত্রাংশ বা দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য সড়কে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে শাস্তি কী?

উত্তর: সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা জরিমানা। অনুরূপ মোটরযান অথবা খুচরা যন্ত্র বা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা যাবে (ধারা-১৫৭)।

৮৫. প্রশ্ন: ফুয়েল গেজের কাজ কী?

উত্তর: ফুয়েল বা জ্বালানি ট্যাংকে কী পরিমাণ জ্বালনি আছে তা ফুয়েল গেজের মাধ্যমে জানা যায়।ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চাচ্ছেন?

পরিশেষে বলা যায়, কেউ যদি মোটরসাইকেল এর লাইসেন্স ইস্যু করতে যায় এবং তাকে যদি কোন পরীক্ষার সম্মুখ্যীন করা হয় তাহলে তার পরীক্ষায় পাশ করা কোনো ব্যাপারই না যদি সে উপরের তথ্যগুলো জানে।

শুধু পরীক্ষার জন্য কিংবা লাইসেন্স ইস্যু’র জন্য নয় – একজন দক্ষ মোটর ড্রাইভার হিসেবে ব্যক্তি জীবনে এসব তথ্য অবশ্যই জানা প্রয়োজন। তথ্যগুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।

উৎস: ইন্টারনেট হতে সংগৃহিত।

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন সামান্য ব্যবহারেই গরম হয়ে যায়? সমাধান জেনে নিন।

Previous Article৪৩ পদে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (KDA) -তে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
Next Article রূপ চর্চায় বেসন ও লেবুর ফেইসপ্যাক ব্যবহার করুন – প্রাকৃতিকভাবে হয়ে উঠুন সুন্দরী

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত আইনগুলো জানুন

May 25, 2023

ভালোবাসার এই গল্পটি আপনাকে কাঁদতে বাধ্য করবে

May 25, 2023

লিনেজোলিড (Linezolid) ঔষধটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

May 21, 2023
Add A Comment

Leave A Reply Cancel Reply

You must be logged in to post a comment.

আপনার লিখা পাঠান

[email protected]

বিভাগসমূহ

সর্বাধিক পঠিত

কাতিলা গাম-এর আশ্চর্য সব উপকারিতা

April 27, 2022245

মেয়েদের স্তন কেন ঝুলে যায় – কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

June 7, 2022162

সহবাস এর ৭টি চরম উপকারিতা এবং সপ্তাহে কতবার সহবাস করা উচিত

September 17, 2022133

নোটারি পাবলিক করতে কত টাকা লাগে এবং কিভাবে করতে হয়?

August 24, 2022151
আর্কাইভস

সর্বশেষ প্রকাশিত

তথ্যপ্রযুক্তি
5K

হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার সঠিক উপায়

By ADMINMay 25, 20235K

হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার উপায় হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার উপায় আপনি একটু সচেতন হলে আপনার…

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বর্ণনা জেনে নিন

May 25, 2023

জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত আইনগুলো জানুন

May 25, 2023

যৌন সমস্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বিরাট সাফল্য

May 25, 2023
সোশ্যাল মিডিয়া
  • Facebook
  • Twitter
  • Pinterest
  • YouTube
  • WhatsApp
  • LinkedIn

ইমেইল সাবস্ক্রিপশন

দেশ ও বিদেশের প্রতি মূহুর্তের গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ পেতে করতোয়া সাবস্ক্রাইব করুন

করতোয়া সম্পর্কে

করতোয়া একটি অনলাইন বাংলা সংবাদ মাধ্যম বিষয়ক ওয়েবসাইট। করতোয়ার যাত্রা শুরু হয় ২০২১ ইং সনে। এখানে নিয়মিত দেশ বিদেশের খবর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, তথ্যপ্রযুক্তি, চাকরি, খেলা, বিনোদন, প্রবাস, মতামত, ধর্ম এবং আরো বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিটি তথ্য যথার্থ মাধ্যম হতে সংগ্রহ করা হয় এবং প্রকাশের পূর্বে একাধিকবার তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয়। করতোয়ার কর্ণধার হলেন মো. আজগর আলী। বর্তমানে করতোয়ায় কয়েকজন তরুণ সাংবাদিক কাজ করছে। তবে আমরা তথ্য প্রকাশের পরিধি দিনের দিন বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছি। করতোয়া রাজনৈতিক বিষয়ে খুব কমই তথ্য প্রকাশ করে। তথ্য দিয়ে সহযোগিতা এবং উপকার করাই হলো করতোয়ার মূখ্য উদ্দেশ্য। আপনিও করতোয়ায় লিখতে পারেন। সেই জন্য লগিন বা রেজিষ্ট্রেশন করুন। সময় ও তথ্যের সাথে নিজেকে আপডেট রাখতে সবসময় করতোয়ার সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ।

Facebook Twitter YouTube LinkedIn WhatsApp
সর্বাধিক আলোচিত

কাতিলা গাম-এর আশ্চর্য সব উপকারিতা

April 27, 2022

মেয়েদের স্তন কেন ঝুলে যায় – কারণ ও প্রতিকার জেনে নিন

June 7, 2022

সহবাস এর ৭টি চরম উপকারিতা এবং সপ্তাহে কতবার সহবাস করা উচিত

September 17, 2022

নোটারি পাবলিক করতে কত টাকা লাগে এবং কিভাবে করতে হয়?

August 24, 2022
সর্বশেষ প্রকাশিত

হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার সঠিক উপায়

May 25, 20235K

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বর্ণনা জেনে নিন

May 25, 202310K

জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত আইনগুলো জানুন

May 25, 2023903

যৌন সমস্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বিরাট সাফল্য

May 25, 2023725
স্বত্ব © ২০২৩ করতোয়া | সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আজগর আলী
  • আমাদের সম্পর্কে
  • যোগাযোগ
  • শর্তাবলী
  • প্রিভেসি পলিসি

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.