মার্কেটিং জবে পারফরম্যান্স ভালো করার জন্য অনেক পরামর্শই অনেকে দিয়ে থাকেন। তবে আমি যে কথাগুলো আজ বলবো তা হলো একদম বাস্তববাদী। আমি মার্কেটিং জবের সাথে জড়িত। আর তাই আমার দৃষ্টিকোণ থেকে যা আমি নিজ চোখে দেখেছি তা থেকেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
শুরুতেই বলতে চাই, মার্কেটিং জব সবাই করতে চায় না। আবার সবাই করতেও পারে না। আপনাকে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি মার্কেটিং জব করবেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার পরেই আপনার নামা উচিত। নচেৎ হোচট খেয়ে একসময় বের হয়ে যেতে হবে।
মার্কেটিং জবে বিভিন্ন ধরণের চ্যালেঞ্জিং ইস্যু থাকে। সেই ইস্যুগুলো আপনাকে বুঝতে হবে। ধীরে ধীরে সবার সাথে সম্পর্ক তৈরী করতে হবে। আগে বিভিন্ন ধরণের মানুষের চরিত্র আপনাকে বুঝতে হবে। যদি ঠিকঠাক চরিত্র বুঝতে পারেন আর সেই অনুযায়ী তার সাথে চলতে পারেন তাহলে ৫০০ টাকার কাজ ৫০ টাকাতেই হবে।
আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। পৃথিবীতে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম ছাড়া আপনি কোথাও সফল হতে পারবেন না। যারা এমপিও থেকে ম্যানেজার, আরএসএম, এএসএম হয় তাদের সংখ্যাটা কিন্তু নেহাতই কম। কিন্তু তারা অনেক বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আজকের এ স্থানে এসেছেন। তাদের গল্পগুলো জানলেই কেবল আপনি বুঝতে পারবেন যে, কতটুকু পরিশ্রমের ফসল তাদের এ পদটা। আসলে শুধু পদ বললে ভুল হবে, বলা উচিত সম্মানের জায়গাটা।
মার্কেটিং জবে আপনার নিশ্চয়ই প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবে। তাদের সাথে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখুন। তবে মনে মনে তাদের সাথে যুদ্ধ করুন। কারন, তারা আপনার প্রতিপক্ষ। একজন কাস্টমারের কাছে থেকে কিভাবে আপনারটা বেশি নিয়ে আসবেন সেই যুদ্ধে নিজেকে সব সময় নিয়োজিত রাখবেন কিন্তু কাউকে বুঝতে দেবেন না।
মার্কেটিং জবে আরেকটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটা হলো আপনার মেধা। হয়তো সরাসরি আপনার মেধা মূল্যায়ন করা হয় না কিন্তু পরোক্ষভাবে আপনার মেধা সবসময়ই মূল্যায়িত হয়। কারন, আপনি যখনই এক পদ থেকে আরেকটি পদে পদার্পণ করবেন বা যেতে চাইবেন বা সুযোগ আসবে তখনই আপনার মেধাকে মূল্যায়ন করা হবে।
সবসময় সততার সাথে কাজ করুন। নিজেকে অসৎ পথে পরিচালিত করবেন না। মনে রাখবেন, আপনার সততার পুরষ্কার একদিন আপনি ঠিকই পাবেন। তবে নিজেকে এতোটা সহজ করে রাখবেন না। একটু চালাক হবেন। তবে চালাকি করে কারও ক্ষতি করার চেষ্টা করবেন না।
আসলে এ ব্যাপারে আরও অনেক কথা বলার আছে। এই লিখার কলেবর আজ আর বৃদ্ধি করা হলো না। হয়তো আপডেট আসতে পারে। নিয়মিত চোখ রাখুন অনলাইন পত্রিকা করতোয়ায়।
আরও পড়ুন: আমরা মানুষ’রা উন্নত হওয়ার সাথে সাথে অসভ্যও হয়ে যাচ্ছি – কেন ও কিভাবে?