মস্তিষ্ক হলো মানুষের শরীরের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অঙ্গ। এ অঙ্গের ক্ষতি সাধন হলে আর সে মানুষটি স্বাভাবিক থাকতে পারে না। হয়তো পাগল হয়ে যায় নয়তো মরে যায়।
কিন্তু শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি হলে কোনভাবে বেঁচে থাকা যায়। যেহেতু মস্তিষ্ক অতীব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সুতরাং এর যত্নটাও খুব ভালো করে নেয়া উচিত।
বিশেষ করে মাথায় যাতে আঘাত না লাগে, কোন রোগ যাতে বাসা না বাধে, মাতারিক্ত টেনশন না করা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া সহ ইত্যাদি।
তবে আজ আমরা কেবল মস্তিষ্কের জন্য উপকারী খাদ্য নিয়ে আলোচনা করবো। কিছু খাবার আছে যা খেলে আমাদের মস্তিষ্ক সব দিক থেকে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠে। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
১. ডার্ক চকোলেট:
প্রতিদিন এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খেলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে। অল্প পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, বলছেন বিজ্ঞানীরা।
২. আখরোট:
আখরোটে অন্যান্য বাদামের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি মস্তিষ্ককে যেকোনো রোগ থেকে রক্ষা করে।
৩. টমেটো:
সহজলভ্য এই সবজিটি মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, কারণ এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কোষগুলোর ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। এ ছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে টমেটো।
৪. স্যামন ও সামুদ্রিক মাছ:
মানুষের মস্তিষ্কের ৬০ শতাংশ চর্বি দিয়ে তৈরি। তাই এটিকে সক্রিয় রাখতে প্রয়োজন ফ্যাটি অ্যাসিড। সামুদ্রিক মাছ যেমন- স্যামন, টুনা ও অন্য সামুদ্রিক মাছ মস্তিষ্কের খাবার হিসেবে বেশ উপকারী।
কারণ এই খাবারগুলোতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আলজইমার রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
৫. গ্রিন টি:
গবেষকরা বলছেন, গ্রিন টি মস্তিষ্কের সংযোগ ক্ষমতা বাড়ায়, সেই সাথে পারকিনসন্স ও স্মৃতিভ্রংশের হাত থেকে রক্ষা করে। চিনি ছাড়া দিনে তিন কাপ সবুজ চা আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভীষণ উপকারী।
৬. ব্লু বেরি:
বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা বাড়াতে ব্লু বেরির জুড়ি নেই। এতে আছে ফ্ল্যাভোনয়েডস। এ ছাড়া এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে এটি। পারকিনসনস আ আলজfইমার থেকেও রক্ষা করে ব্লু বেরি।
৭. পালংশাক:
পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা মস্তিষ্কের সংযোগ শক্তি বৃদ্ধি করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও রয়েছে, আছে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে, যা ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে।
পরিশেষে বলা যায়, উপরে যে খাবারগুলোর কথা বলা হলো সেগুলো আমাদের হাতের নাগালেই সব পাওয়া যায়। একটু মনে রেখে সপ্তাহে তিন চার দিন যদি এসব খাবার খাই তাহলে আমাদের মস্তিষ্কের অনেক উপকার হবে। তাই নিয়ম করে এই খাবারগুলো সবার খাওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: যৌন রোগ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কয়েকটি জটিল টিপস।