ভ্যাসেলিন আমাদের খুব পরিচিত। শীতের দিন ছাড়াও আমরা এটা ব্যবহার করি। এটা ঠিক মেরিলের মতোই। তবে ভ্যাসেলিনের ব্যতিক্রমী অনেক ব্যবহার রয়েছে।
হয়তো অনেকেই এই ব্যতিক্রম ধর্মী ব্যবহারগুলো সম্পর্কে জানে না। আজ আমরা মূলত ভ্যাসেলিনের এই ব্যতিক্রমধর্মী ব্যবহারগুলো সম্পর্কে জানবো। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
১. চুলের আগা ফেটে যাওয়া প্রতিরোধ:
দুই আঙ্গুলে কিছুটা ভেসলিন নিয়ে চুলের ডগায় লাগিয়ে রাখুন। তবে খেয়াল রাখতে হবে পরিমাণে যেন খুব বেশি না হয়।
২. দাঁতে লিপস্টিক লাগা প্রতিরোধে:
অনেক সময়ই দাঁতে লিপস্টিক লেগে যায়। তাই মেকআপের আগে সামান্য ভ্যাসেলিন দাঁতে লাগান। দাঁত দেখতে হবে সাদা এবং লিপস্টিকও আর লাগবেনা।
৩. নেইল পলিশের মুখ খুলতে:
অনেক সময় নেইল পলিশের মুখ শক্ত হয়ে আটকে যায় খোলা রীতিমত অসম্ভব। সামান্য ভ্যাসেলিন নেইল পলিশের ক্যাপের মুখের নিচে লাগিয়ে রাখুন। সহজে খুলে যাবে।
৪. চোখের পাপড়ির ঘনত্ব বাড়াতে:
রাতে ঘুমানোর আগে চোখের পাতায় সামান্য কিছুটা ভ্যাসেলিন লাগিয়ে নিন। কিছুদিন পর দেখুন চমক।
৫. পারফিউমের গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী করতে:
গলায়, ঘাড়ে, হাতে বা যেখানে সাধারণত পারফিউম দেয়া হয় সেখানে খুব সামান্য ভ্যাসেলিন মেখে নিয়ে পারফিউম স্প্রে করলে গন্ধটা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।
৬. পায়ের গোড়ালী ফাটা রোধ করে:
লোশন বা ক্রিমের বদলে অনেকেই ভ্যাসেলিন ব্যবহার করে থাকেন। তবে জানেন না যে গোড়ালি ফাটা দূর করতেও ভ্যাসেলিন দারুণ কাজে আসে।
পা ভালো করে ঘষে পরিস্কার করে নিয়মিত ভেসলিন মেখে মোজা পড়ে রাখলে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
৭. জুতার উজ্জলতা বৃদ্ধিতে:
জরুরি কোন কাজে পরিপাটি হতে হবে কিন্তু হাতের কাছে পলিশ নেই। কোন চিন্তা নেই! সামান্য ভ্যাসেলিন নিয়ে জুতা ভাল করে কাপড় দিয়ে মুছে নিন। নতুনের মত ঝকঝকে হয়ে যাবে।
৮. চুলের রঙের দাগ তুলতে:
অনেক সময় সাদা চুল কালো রঙ করতে গিয়ে কপালে, কানে এসব স্থানে লেগে যায়। সেই দাগ সহজে তোলাটাও কষ্টকর হয়ে যায়। তখন সামান্য কিছুটা ভেসলিন নিয়ে লেগে থাকা দাগের উপর লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। দাগ উঠে যাবে।
৯. শেভ করার পর ত্বকের আর্দ্রতা আনতে:
শেভ করার পর মুখে শুষ্ক ভাব চলে আসে। সেটা থেকে রেহাই পেতে সামান্য ভ্যাসেলিন মুখে মেখে নিন।
১০. ত্বকের মরা কোষ দূর করতে:
ভ্যাসেলিনের সাথে সামান্য সামুদ্রিক লবন মিশিয়ে পুরো শরীর স্ক্রাব করে গোসল করলে দেহের ত্বক হয়ে উঠবে সতেজ ও মসৃন।
পরিশেষে বলা যায়, ভ্যাসেলিনের ব্যতিক্রমধর্মী এই ব্যবহারগুলো আশা করি আপনার কাজে আসবে। ভ্যাসেলিন মূলত শুষ্কতা দূরীকরণের জন্য ব্যবহার হলেও আরও নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা যায়। তাই বাড়িতে অন্তত একটি ভ্যাসেলিন সবসময় রাখার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: যে পদ্ধতিতে যৌন মিলন করলে দ্রুত বীর্যপাত রোধ করা সম্ভব!