ভাইরাস শুধু মানুষের শরীরেই প্রবেশ করে না, ভাইরাস মোবাইলেও প্রবেশ করে। মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে নানারকম রোগ সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে, মোবাইল ফোনে প্রবেশ করলে মোবাইলের বিভিন্ন ফাংশন ঠিকভাবে কাজ করে না।
তাই ভাইরাস সম্পর্কে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। আমরা যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করি তাদের এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া উচিত। নইলে ফোনের মধ্যে থাকা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য (যদি থাকে- ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্টস ইত্যাদি) চুরি হয়ে যেতে পারে।
তো কি কি কাজ করলে আপনার মোবাইল ফোনে ভাইরাস আসতে পারবে না আজ আমরা তা জানবো। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
১. অপরিচিত অ্যাপ ইন্সটল করবেন না:
অপরিচিত কেউ কোন খাবার দিলে যেমন আপনি খান না, তেমনই অপরিচিত কোন অ্যাপ ইন্সটল করবেন না। বর্তমানে হ্যাকার’রা ইমেইল, ম্যাসেজ প্রভৃতির মাধ্যমে তাদের তৈরী অ্যাপ ইন্সটল করার জন্য ম্যাসেজ পাঠায়।
যেটি সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত না সেটি ইন্সটল করতে যাবেন না। এমনও হতে পারে ঐ অ্যাপ দ্বারাই আপনার সকল তথ্য হাতিয়ে নিয়ে যাবে হ্যাকার।
২. যাবতীয় অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করুন:
আপনি সাধারনত কোথা থেকে খাবার কিনবেন? ফুটপাথ থেকে নাকি ফ্রিজে রাখা নিরাপদ কোন দোকান থেকে?
অবশ্যই নিরাপদ দোকান থেকে। তেমনই অ্যাপ ডাউনলোড করুন গুগল প্লে স্টোর কিংবা নিরাপদ কোনো অ্যাপ স্টোর থেকে (অ্যামাজন অ্যাপ স্টোর, অ্যাপল অ্যাপ স্টোর ইত্যাদি)। এই অ্যাপ স্টোরগুলো প্রতিটা অ্যাপ আলাদা ভাবে চেক করে। তাই স্বভাবতই এ অ্যাপ স্টোরগুলো অনেক বেশি নিরাপদ।
৩. Install from unknown sources অফ রাখুন:
Install from unknown sources মানে ভেরিফাইড অ্যাপ স্টোর ব্যাতীত অন্য কোনো স্থান থেকে অ্যাপ ইন্সটল করা যাবে।
কিন্তু এতে অনেক সিকিউরিটি রিস্ক থাকে তাই Verify Apps-এ মার্ক করে রাখুন। এতে যেকোন অ্যাপ ইন্সটল করার আগে নেট থেকে অ্যাপ সম্পর্কে আপনার ডিভাইস নিশ্চিত হবে।
৪. অ্যাপ ইন্সটল করার আগে কি কি Persmission চায় তা দেখে নিন:
Unwanted অ্যাপ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায় এটি। Permissions-গুলো পড়লেই বুঝবেন এই অ্যাপটি আপনার ডিভাইস এর কি কি অ্যাক্সেস করতে পারবে।
যদি মনে করেন এটি এমন কিছুর অ্যাক্সেস চাইছে যার সাথে এর কাজের কোনো সামঞ্জস্য নেই, ঐ অ্যাপ ইন্সটল না করাই ভালো।
আর যদি আপনার ডিভাইস এর Contacts, Account Information অ্যাক্সেস করতে চাইছে তাহলে একবার ভেবে নিন ইন্সটল করবেন কিনা।
৫. Antivirus ব্যবহার করুন:
অনেকে মোবাইলে Antivirus ব্যবহার করে। অনেকে আবার করে না। আপনার কি করা উচিত? এ ব্যাপারে বলব আপনি যদি সব কিছু গুগল প্লে স্টোর বা ভেরিফাইড কোনো অ্যাপ স্টোর থেকে ইন্সটল করেন তাহলে আপনার কোন Antivirus ইন্সটল করা লাগবে না।
গুগল প্লে প্রতিটি অ্যাপ নিখুতভাবে স্ক্যান করে। তবুও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য Antivirus ইন্সটল করতে পারেন। কাসপার্সকি, নরটন, ইসেট এগুলো অত্যন্ত ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস।
পরিশেষে বলা যায়, সাধারন ব্যবহারকারীদের জন্য মোবাইলের ভাইরাস নিয়ে তেমন চিন্তিত হবার কারন নেই। কিন্তু যারা মোবাইলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রাখেন তাদের অবশ্যই সিকিউরিটির দিক থেকে নিরাপদ থাকা উচিত।
শুধু তথ্য চুরি নয় – আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সেটি দিয়ে ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে এবং সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আপনাকে ফাসাতে পারে।
তাই শুধু ভাইরাস নয় – অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সব কিছুই সুরক্ষিত রাখা দরকার। সবাই ভালো থাকবেন। আরও কোনো জানার থাকলে আপনার মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না যেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন ইনকাম – এই ৬টি কাজ থেকে বাছাই করে নিন নিজের পছন্দের কাজটি।