আজমেরি হক বাঁধন – যিনি সবার প্রিয় এবং পরিচিত একটি মুখ। সম্প্রতি তিনি আবারও আলোচনায় এসেছেন তার দেয়া বক্তব্যের জেরে।
তিনি বলেছেন, বিয়ের পরে তার স্বামী নাকি তার সাথে জোর পূর্বক শারিরীক সম্পর্ক করতেন। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমকে তিনি এমনই এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
বাঁধন মিডিয়াতে যেভাবে বলেন, “আমার প্রাক্তন শশুরবাড়ির লোকজন পড়াশোনা করতে দিতেন না। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ পুরো ছিন্ন করে দিতে বাধ্য করেন। আমি এসব মেনে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, এভাবেই হয়তো থাকতে হয়। অনেকেই উপদেশ দিয়েছিলেন যে, সব সমস্যার সমাধান হলো বাচ্চা। কিন্তু কাউকে বোঝাতে পারিনি যে, আমি বৈবাহিক ধর্ষণের শিকার।”
অন্যদিকে, ২০১০ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর হুট করেই ব্যবসায়ী মাশুরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন বাঁধন। জানা যায়, পারিবারিকভাবেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তারপর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন কেবল সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারনে।
প্রকৃত অর্থে, সংসার জীবনে বাঁধন সুখী ছিলেন না। আর তাই ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে ঐ বছরের ২৬ নভেম্বর মাশরুর সিদ্দিকীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বাঁধনের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু ডিভোর্সের সার্টিফিকেটে ডিভোর্সের তারিখ হিসেবে ১০ই আগষ্ট ধরা হয়েছে।
বিবাহ বিচ্ছেদের পরে আবার অভিনয়ে ফেরেন বাঁধন। তার অভিনীত “রেহানা মরিয়ম নূর” সিনেমাটি ৭৪তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের আঁ সার্তে রিগা বিভাগে প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়। আজমেরী হক বাঁধন সেসময় খুবই আনন্দিত হন এবং উল্লাস প্রকাশ করেন।
তারপর আজমেরি হক বাঁধন টলিউড এর ওয়েব সিরিজ “রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি”- তে অভিনয়ের সুযোগ পান। তারপর পা রাখেন বলিউডে। এরপর অভিনয় করেছেন ’খুফিয়া’ শিরোনামের ছবিতে।
উল্লেখ্য যে, আজমেরি হক বাঁধন ২৮ অক্টোবর, ১৯৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী ও মডেল।
তিনি ২০০৬ সালে অনুষ্ঠিত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার রানার-আপ হওয়ার মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি রেহানা মরিয়ম নুর নামক ছবিতে অভিনয় করে খুবই প্রশংসিত হন।
শিক্ষা জীবনে তিনি একজন বিডিএস ডিগ্রীধারী অর্থাৎ দন্ত চিকিৎসক। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করেন। আজমেরি হক বাঁধনের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, প্রতিটি মানুষের জীবনেই বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। সেগুলো প্রকাশ করার ধরনটা একেক জনের একেকরকম। আজমেরি হক বাঁধনের জীবনটাও ঠিক এরকমই। বর্তমানে তার বক্তব্যের জেরে আলোচিত বিষয়টি তার জীবনেরই অংশ।
আরও পড়ুন: ২০১০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সফল সিনেমাগুলো আপনি কি দেখেছেন?