নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এর মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় আজ তারা জামিন পেয়েছেন।
তবে এই দুজনকেই কেবল ৬ মাসের জন্য জামিন দেয়া হয়েছে। হাইকোর্ট থেকে এ জামিন দেয়া হয়েছে। আজ বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন মঞ্জুর করেন।
জেষ্ঠ্য আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন। এই আইনজীবীর সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ.বি.এম গোলাম মোস্তফা। পুরো প্রক্রিয়াটি খুবই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। জামিন হওয়ার পরে বিএনপি নেতাগণ সরাসরি বের হয়ে আসেন। গত সোমবার জামিন চেয়ে এই দুই নেতা আবেদন করেন। এর আগে নিম্ন আদালতে তিন দফা তাদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ৭ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে দলটির নেতা-কর্মীর সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং আরও অনেকে আহত হন। সংঘর্ষের পরে পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় এবং রিজভীসহ প্রায় চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করে।
ঘটনার পরের দিন পল্টন, রমনা, মতিঝিল ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক ৪টি মামলা করে পুলিশ। এই মামলাগুলোতে মোট ২ হাজার ৯৭৫ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তবে এদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয় ৭২৫ জনের। তবে এসব উল্লেখিত নামের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিলো না।
অন্যদিকে, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে গভীর রাতে বাসায় অভিযান চালিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: টাকার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না প্রিয়া রানী