রাজধানী ঢাকার বঙ্গবাজার (গুলিস্তান মার্কেট)-এ আজ (০৪/০৪/২০২৩ খ্রি.) সকাল ৬.০০ ঘটিকার সময় ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই আগুনে পুরো বঙ্গবাজার পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অবশিষ্ট বলতে আর কিছুই নেই। আশেপাশের ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বঙ্গবাজারের পাশেই অবশ্য ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিটও আগুন দ্রুত থামাতে পারেনি। ফায়ার সার্ভিসের সাথে সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীও কাজ করেছে। পরিশেষে, ৬ ঘন্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু বঙ্গবাজার পুরে ছারখার হয়ে গেছে।
বিভিন্ন পত্রিকার ভিডিও প্রতিবেদন ও ফেসবুকে প্রচারিত বিভিন্ন ভিডিও থেকে দেখা যায় যে, আগুন এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে মনে হচ্ছে সেখানে পারমানবিক বোমা ফেলা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা কান্নায় ভেঙে পড়ছে।
এমন অনেক ব্যবসায়ী আছেন যাদের কেবল বঙ্গবাজারে থাকা দোকানটিই শেষ সম্বল হিসেবে ছিল। তারা বর্তমানে খুব অসহায়ত্ব বোধ করছেন। অনেকেই প্রচন্ড কান্নাকাটি করছেন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেছেন, ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার বঙ্গবাজার ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছিল যে, এই মার্কেটটি ঝুকিপূর্ণ। এখানে সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু তারা শোনেনি।
অন্যদিকে, আগুন দ্রুত না থামাতে পারায় ক্ষুব্ধ জনতা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে আক্রমণ চালায় এবং ভাঙচুর করে। এতে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
ঈদকে সামনে রেখে বহু ব্যবসায়ী টাকা ঋণ-ধার করে নতুন মালামাল দোকানে উঠিয়েছিল। অনেকেই আবার তাদের প্রতিদিনের বেচা-কেনার টাকা দোকানেই রেখে যেতেন। সবার সব কিছুই পুড়ে গেছে।
এখন সব ব্যবসায়ী আরেকটি বিষয় নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন। আর তা হলো, তারা আবার আগের জায়গায় দোকান ফেরৎ পাবেন কিনা তা নিয়ে। কেননা, দোকানের কোনো চিহৃ এখন আর নেই। আর ইতিপূর্বে আগুন লেগে সব চিহৃ মুছে যাওয়ার পরে অনেকেই আর তাদের আগের দোকান ফেরৎ পাননি – এমন নজির রয়েছে।
আগুন লাগার কারন এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখার পরে জানা যাবে আসলে আগুন কিভাবে লেগেছিল।
বঙ্গবাজারের আগুন লাগার ঘটনার আপাতত ঘটনা এ পর্যন্তই। আরও কোনো আপডেট আসলে আমরা দ্রুত করতোয়ায় প্রকাশ করবো। দেশ বিদেশের খবরাখবর জানতে চোখ রাখুন করতোয়ায়।
আরও পড়ুন: সুলতান’স ডাইনে অভিযান পরিচালনা করে যা তথ্য পেল ভোক্তা অধিদপ্তর