ফারজানা ব্রাউনিয়া – নেট দুনিয়ার সবচেয়ে ভাইরাল টপিক বর্তমানে এটি। হঠাৎ করেই মিডিয়া জগত যেন তাকে নিয়ে তোলপাড় শুরু করেছে। বেশিরভাগ মানুষ আসলে তার কথার মায়ার প্রেমে পড়েছে।
ইদানীং ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ফারজানা ব্রাউনিয়া-কে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে তিনি অনেকটা খোলামেলা করেই সব কথা বলেছেন। কিন্তু অনেক সুন্দরভাবেই বলেছেন এবং তিনি অনেকটা মিষ্টি ভাষী।
নেট দুনিয়ার এই ভাইরাল মানুষটিকে নিয়ে বিভিন্ন কথা লেখা হচ্ছে। বিভিন্ন মিডিয়া বিভিন্নভাবে নানারকম তথ্য প্রকাশ করেছে। কেউ তাকে দেখছে ভালো মানুষ হিসেবে আবার কেউ দেখছে খারাপ হিসেবে।
আজ আমরা ফারজানা ব্রাউনিয়া-কে নিয়ে যতোটুকু সম্ভব সত্য কথাগুলো তুলে ধরবো। বর্তমানে নেট দুনিয়ায় ফারজানা ব্রাউনিয়া-কে নিয়ে যতোটা কুরূচিপূর্ণ কথা তুলে ধরা হচ্ছে সেগুলো আসলে কতোটা সত্য?
আরও জানতে পারবেন ফারজানা ব্রাউনিয়া-র ব্যক্তিগত জীবন, পারিবাবিরক জীবন, পড়াশোনা এবং অন্যান্য সব তথ্য। আমরা যা সত্য তাই প্রকাশ করার চেষ্টা করবো। তো চলুন শুরু করি:
ফারজানা ব্রাউনিয়া এক সময় টেলিভিশনে উপস্থাপিকার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গোপনে একটি নয়, দুটি নয় মোট চারটি বিয়ে করেন। এ জন্য তিনি সর্বমহলে সমালোচিত। মুখে সবসময় ধর্মীয় কথা বললেও কাজ-কর্মে ধর্মীয় রীতি মানার কোনো বালাই নেই।
তিনি জীবনে কোনদিন এক পুরুষে সন্তুষ্ট ছিলেন না। আর তাই তিনি বহুবিবাহ নামক খেলায় মেতে ওঠে ধর্মীয় রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন। তাই এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, ফারজানা ব্রাউনিয়া খুব উচ্ছৃঙ্খলতার পরিচয় দিয়েছেন জীবনে। তিনি তার বাপ-চাচার বয়সী মানুষের সাথেও বিয়ে করতে কখনো দ্বিধাবোধ করেন নি। তিনি মূলত বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
জানা গেছে, ২০০০ সালের দিকে মিডিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে দ্রুত খ্যাতি পাওয়ার আশায় অনেকটা খোলামেলা পোশাকে উপস্থাপনার নামে শরীর প্রদর্শন শুরু করেন। সেই সময় থেকেই একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সবসময় টার্গেট করতেন বিত্তশালীদের। তবে রুচির ক্ষেত্রে সকল ধাপ অতিক্রম করেছেন তিনি।
তিনি তার চেয়ে বয়সে দ্বিগুণ ব্যক্তিকেও বিয়ে করেছেন যিনি ছিলেন বিতর্কিত ও অবাঞ্চিত একজন মানুষ। যার নাম হলো লে.জে. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী। তিনি নারী লিপ্সু, যৌনাচারী ও পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন বলেও জানা যায়।
ফারজানা ব্রাউনিয়ার ১ম স্বামীর ঘরে একটি সন্তান আছে। মিডিয়া ও গণমাধ্যমের বিভিন্ন তথ্যানুযায়ী, তিনি আরো ৪টি বিয়ে করেছেন। একে একে সবগুলো সংসারও ভেঙে গেছে। হয়তো এসব সম্পর্কের পেছনে শারিরীক চাহিদা ও অর্থের লিপ্সা ছিলো।
তিনি ২য় বিয়ে করেছিলেন লন্ডন প্রবাসী সিলেটের মিনহাজ কিবরিয়াকে। মিনহাজের সঙ্গেও ফারজানা ব্রাউনিয়া কেবল তিন বছর সংসার করেছিলেন। তাদের সেই সংসারে একটি ছেলে সন্তান আছে।
এরপর তিনি ৩য় বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা ও অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহিদুল আলম সাচ্চুকে। ফারজানা ব্রাউনিয়ার এ সংসার টিকেছিল মাত্র ২ বছর। এ সংসারে তার কোনো সন্তান ছিলো না।
সর্বশেষ তিনি বিয়ে করেছিলেন হাসান সারওয়ার্দীকে যার কথা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা যায়, হাসান সারওয়ার্দী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চক্রান্তও করেছিলেন। আরও জানা যায়, ফারজানা ব্রাউনিয়া বিয়ের আগেই তার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
পুরো বিষয়টি জানাজানি হলে সারওয়ার্দীর ১ম স্ত্রীর সাথে বড় ঝামেলা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত তিনি ১ম স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হন এবং তারপর ফারজানা ব্রাউনিয়াকে বিয়ে করেন।
কিছু কিছু তথ্যসূত্র বলছে, ফারজানা ব্রাউনিয়ার এখনো পরকীয়ার নেশা কাটেনি। হয়তো আবারও বিয়ে করার জন্য তিনি ফন্দি আটছেন।
আমরা সবাই তো চ্যানেল আই এর উপস্থাপক শাইখ সিরাজকে চিনি। শোনা যাচ্ছে, উনার সাথে ফারজানা ব্রাউনিয়ার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তবে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়।
পরিশেষে বলা যায়, ফারজানা ব্রাউনিয়া বর্তমানে ইলেকট্রনিক মাধ্যমে বেশ সাড়া জাগানো একজন মানুষ। তার বক্তব্য দেশে ভাইরাল হয়েছে।
ব্যক্তিজীবনে হয়তো তার অনেক ইতিহাস থাকতে পারে। সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু বিভিন্ন সমাবেশে তার দেওয়া বক্তব্যগুলোকে মানুষ ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
আরও পড়ুন: বাল্য বিয়ে নাহিদার জীবনটা যেভাবে শেষ করে দিলো।
নেট দুনিয়ায় আরেকটি কথা নিয়ে তোলপাড় চলছে। ফারজানা ব্রাউনিয়ার সেক্স ভিডিও নাকি বের হয়েছে। আসলে হয়তো এটি একটি গুজব। আপনি ইন্টারনেটে সার্চ করলে এরকম কোনো ভিডিও পাবেন না।
আমাদের ফেইসবুক পেইজ লাইক করুন |
1 Comment
Kotha sotto.