বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের মধ্যে বিদ্যুৎ সংরক্ষণের জন্য সরকার জিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করার এবং সপ্তাহে একদিন জ্বালানি কেন্দ্র (পেট্রোল পাম্প) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
অন্য যে পদক্ষেপগুলি বিবেচনা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে অফিসের সময় কমানো এবং দূরবর্তী কাজের উপর জোর দেওয়া।
এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং সময়সূচী প্রবর্তন এবং এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা। তাহলে হয়তো বিদ্যুৎ অনেকটা সাশ্রয় হবে।
তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী (প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা) সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “আমাদের আলোচনার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিকটি ছিল টেকসই পর্যায়ে খরচ কমিয়ে আনার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো।
আমরা আপাতত ডিজেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে প্রচুর অর্থ সাশ্রয় হবে।
আমরা আগামীকাল থেকে সপ্তাহে একবার পেট্রোল পাম্প বন্ধ করার পরিকল্পনা করছি।”
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বেড়েছে এবং এতে করে বাংলাদেশ বিদ্যুতের সংকটে ভুগছে।
প্রতিমন্ত্রী এর আগে বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে বর্তমানে পেট্রোল পাম্প বন্ধের সিদ্ধান্তটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিদ্যুতের ব্যবহারে কঠোরতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন কারণ ক্রমবর্ধমান ব্যয় বিদ্যুৎ উৎপাদনে রোলব্যাক করতে বাধ্য হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুয়েট-এ চান্স পেয়েছে ঠাকুরগাঁও এর মেহেদী হাসান।