আমরা অনেকেই পায়ে কড়া নিয়ে জানি। কিন্তু কেন পায়ে কড়া পড়ে তা আমরা জানি না অনেকেই। মনে রাখতে হবে যে, আমাদের পা দিয়ে আমরা সারাদিন অনেক কাজ করি।
অনেক ঝড়-ঝটকা আমাদের পায়ের উপর দিয়ে যায়। হাঁটা-চলা, দীর্ঘক্ষণ একভাবে পা ঝুলিয়ে বসে থাকা, বিভিন্ন স্টাইলিশ জুতা পড়া, হাই হিল পড়ে হাঁটা এ সবকিছুই আমাদের পায়ের উপর চাপ তৈরী করে।
উপরে উল্লেখিত কারনগুলোর মাধ্যমে পায়ের যে অংশটিতে বেশি চাপ পড়ছে সেখানে মরা চামড়া জমে জমে কড়া তৈরী হয়। তাই সবসময় নরম জুতা পড়া উচিত।
কিন্তু যারা ইতিমধ্যেই পায়ে কড়া পড়ার সমস্যায় ভুগছেন তাদের আসলে কি হবে? তাদের জন্য করণীয় কি? অনেক মানুষই আছে যারা ব্যথা ঠেকাতে কড়া কেটে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে জখমও হতে পারে। তবে কেটে ফেলার চেয়ে বিভিন্ন ঘরোয়া সমাধান রয়েছে যা খুবই সহজ। তো চলুন এখন আমরা সেই ঘরোয়া সমাধানগুলো জেনে নেই।
১. গরম জলে পা ডোবান: প্রতিদিন রাতে অন্তত মিনিট ২০ ঈষদুষ্ণ জলে পা ডুবিয়ে রাখা উচিত। এর মধ্যে সামান্য নরম সাবান বা বেকিং সোডাও মেশানো যায়।
তাতে কড়া পড়া জায়গাটা নরম হয়ে আসবে ক্রমশঃ। তারপর পা তুলে নিয়ে শুকনো করে মুছুন। এবার কড়ার জায়গাটা হাত দিয়ে ঘষলেই দেখবেন মরা চামড়া উঠে আসছে ক্রমশ।
প্রথম দিনেই যদি তা নাও হয়, দুই একদিন বাদ থেকে হতে বাধ্য। এই অবস্থায় পামিস স্টোন, ফুট ফাইল বা এমারি বোর্ড দিয়ে ঘষলেও কাজ হবে।
শেষে পা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে পছন্দের ময়েশ্চরাইজ়ার লাগিয়ে নিন। যদি দেখেন পরিস্থিতি খুব খারাপ, তা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং তাঁর বাতলে দেওয়া ক্রিম ব্যবহার করুন। কড়া সারতে বেশিদিন সময় লাগবে না।
২. জুতো কেনার সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন: প্রতিবার পা মাপ করিয়ে তবেই নতুন জুতো কিনুন। বিশেষ করে নতুন কোনও স্টাইল ট্রাই করার আগে তো আপনাকে বাড়তি সতর্কতা নিতেই হবে। সব সময় এমন জুতো কিনুন যা পরে কমফর্টেবল লাগছে।
৩. পা সর্বক্ষণ শুকনো রাখুন: প্রতিবার পায়ে জল লাগার পর তা শুকনো করে মুছে ফেলা আবশ্যক। সেই সঙ্গে সাবান-জল ব্যবহার করার পর পায়ে ক্রিম লাগাতেই হবে। পা যত আর্দ্র থাকবে, কড়া পড়ার আশঙ্কা তত কমবে। কখনওই ভেজা জুতো বা মোজা পরবেন না।
৪. নিয়মিত পেডিকিওর করান: পায়ের যত্নের জন্য নিয়ম করে পেডিকিওর করানো জরুরি। একান্তই যদি তা না সম্ভব হয়, তা হলে বাড়িতে অবশ্যই পায়ের যত্ন নিন।
পরিশেষে বলতে চাই, পায়ের কড়া অনেক সময় চরম বিরক্তির কারন হয়ে যায়। অনেক সময় খুব ব্যথাও হয়। কখনোই পায়ের কড়া ব্লেড কিংবা অন্য কিছু দিয়ে কাটা যাবে না। উপরে উল্লিখিত ঘরোয়া উপায়ে সমাধান না হলে নিকটস্থ ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: আর্টিকেরিয়া হলে করণীয় ও চিকিৎসা