যৌন মিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত হয়, এমন পুরুষের সংখ্যা কম নয়। শারীরিক সম্পর্কে চরম তৃপ্তি পাওয়ার আগেই শুক্রাণু বেরিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় তাদের।
বিষয়টি রোধে নানা ধরনের জেল, স্প্রের ব্যবহার করেন কেউ কেউ। কিন্তু এগুলো নিয়মিত ব্যবহারে দেখা দিতে পারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সহজ কিছু সমাধান দিয়েছে যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান জাভামেড। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা যায়, ব্রিটিশ পুরুষরা নানা ধরনের প্রাকৃতিক কৌশল ব্যবহার করে দীর্ঘক্ষণ শারীরিক সম্পর্ক করে থাকেন। যেমন-
১. অবস্থান বদল:
মিশনারি পজিশন অনুসরণ করে যৌনমিলন করলে বীর্যপাত তাড়াতাড়ি হয়। যৌন মিলনের সময় একজন নারীর পা ছড়িয়ে চিৎ হয়ে শোয়াকে মিশনারি পজিশন বলে।
এই পদ্ধতিতে পুরুষ তার সঙ্গীর ওপর শুয়ে যৌন মিলন করেন। এতে করে দ্রুত বীর্যপাত ঠেকানো সম্ভব না-ও হতে পারে।
এ ক্ষেত্রে একটি সমাধান হতে পারে কাউ গার্ল পজিশন। এই পদ্ধতিতে পুরুষ চিৎ হয়ে শুয়ে থাকেন। নারী তার ওপর বসে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
দ্রুত বীর্যপাত ঠেকানোর আরও দুটি পদ্ধতি হলো ফেস অফ ও স্পুন। ফেস অফ পজিশনে পুরুষ চেয়ারে বা বিছানার কাছে সোজা হয়ে বসে থাকে।
নারী পুরুষের কোলের ওপর মুখোমুখি বসে যৌন মিলন করেন। স্পুন পজিশনে নারী কাত হয়ে শুয়ে থাকেন। পুরুষ পেছন থেকে শুয়ে যৌন মিলন করেন।
২. স্ট্রোক নিয়ন্ত্রণ:
যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করানোকে স্ট্রোক বলে। কয়েকটা স্ট্রোকের পরই যখন মনে হবে বীর্য বেরিয়ে যেতে পারে, তখন আর প্রবেশ করা যাবে না। কিছুক্ষণ বিরতি দিতে হবে।
৩. হস্তমৈথুন:
দীর্ঘদিন পর যৌন মিলন করতে গেলে তাড়াতাড়ি বীর্যপাত হয়। এর কারণ হলো, বীর্যে ভরা থাকে অণ্ডকোষ। এর ফলে কয়েকটা স্ট্রোক করলেই বীর্য বেরিয়ে যায়।
ব্যাপারটা অনেকটা কানায় কানায় ভরা পানির গ্লাসের মতো। একটু নড়লেই দ্রুত উপচে পড়ে। তাই মিলনের কিছুক্ষণ আগে হস্তমৈথুন করে বীর্য বের করা যেতে পারে।
৪. কনডম ব্যবহার:
যোনিতে পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করে স্ট্রোক দিতে থাকলে ঘর্ষণ হয়। এতে যোনির ভেতরের অংশ গরম হয়ে ওঠে। ঘর্ষণ ও গরমে তাড়াতাড়ি বীর্য বেরিয়ে যায়। কনডম ব্যবহারে এটা দীর্ঘায়িত করা যেতে পারে।
কনডমের গায়ে লুব্রিক্যান্ট থাকায় ঘর্ষণ কম হয়। এতে তাপও কম উৎপন্ন হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বেশি পাতলা কনডম ব্যবহার করে লাভ হবে না। একটু মোটা ধরনের কনডম কার্যকর হতে পারে।
৫. স্কুইজ পদ্ধতি:
হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কার্যকর। যৌনাঙ্গের অগ্রভাগের নিচের দিকে যেখানে চামড়া জোড়া থাকে, সেই জায়গায় বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে।
তারপর বুড়ো আঙুলের মাথা দিয়ে ওই জায়গায় বাম থেকে ডানে অথবা ডান থেকে বামে মোচড় দিতে হবে। যৌনাঙ্গ উত্থিত থাকার সময়ই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব।
৬. কার্যকর চিন্তা:
শারীরিক সম্পর্কের সময় অনেকে পর্নোগ্রাফি নিয়ে ভাবেন। কেউ কেউ আবার রাস্তাঘাটে, বাসে-ট্রেনে দেখা কোনো নারীর শরীর কল্পনা করতে শুরু করেন।
এ ধরনের চিন্তায় দ্রুত বীর্যপাত হয়। তাই যৌনমিলনের সময় অন্য কোনো নারীর বিষয়ে ভাবনা বাদ দিতে হবে। স্ট্রোক দেওয়ার সময় গণিতের জটিল ফর্মুলা, সাহিত্যের বিষয়, প্রাকৃতিক দৃশ্য কল্পনা করা যেতে পারে।
জাভামেডের দাবি, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্রিটিশ পুরুষরা শারীরিক সম্পর্কের সময় যৌনতার বাইরের বিষয় কল্পনা করে উপকার পেয়েছেন।
পরিশেষে বলা যায়, যৌনতা আসলে সবার নিজের কাছে। কিন্তু বিদেশী সংস্থার গবেষনার উপরোক্ত বিষয়গুলো ফেলে দেয়ার মতো নয়।
আপনার যদি সত্যিই যৌন মিলন করতে গিয়ে খুব দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় তবে অবশ্যই উপরের পদ্ধতিগুলোর যেকোন একটি আপনি গ্রহণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: লিঙ্গ উথ্যান জনিত সমস্যায় ভুগছেন? জেনে নিন কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন।