পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়ি থেকে চারটি মানুষের মাথার খুলি ও কঙ্কালের অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার লোহার ব্রিজের উত্তর পশ্চিম দিকে রিয়াজুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।
এ সময় কঙ্কাল চুরির মূল হোতা রিয়াজুল ইসলাম (৫০) ও রাজু ওরফে মেজক (৪০) পালিয়ে যায়। তবে রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী কমলা বানু পুতুল (৩৮) ও রাজুর স্ত্রী নাসিমাকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ।
পলিথিনে মোড়ানো ৪টি মাথার খুলি, ৪টি দাঁতের প্যাড, বিভিন্ন অংশের ১৪টি হাড়, হাত ও পায়ের ৪২টি হাড়, বুক ও ক্ল্যাভিকলের ৭৯টি হাড়, মেরুদণ্ডের ৯০টি হাড়, ৬০টি আঙুল ও বিভিন্ন অংশের হাড়সহ মোট ২৯৩টি হাড়। অভিযানে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। কঙ্কাল উদ্ধারসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা।
পুলিশ জানায়, গত কয়েক মাসে পঞ্চগড়ের বোদা ও আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ কঙ্কাল চোর চক্রকে ধরতে পুলিশ কাজ করছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রিয়াজুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালায়। পরে তল্লাশির একপর্যায়ে এসব হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় পঞ্চগড় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বাদী হয়ে রিয়াজুল, রাজু, কমলা বানু, নাসিমাসহ ৪/৫ জনকে আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক লিপন কুমার বসাক বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
ঘটনার দিন আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল হোসেন জানান, কঙ্কাল উদ্ধারসহ দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি থানায় মামলা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, কঙ্কালগুলো বিভিন্ন চিকিৎসা গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন সময় চক্রটি এসব কঙ্কাল কালোবাজারে বিক্রি করে।
আকার ভেদে এর দাম প্রায় ১৬ থেকে ২০ হাজার ডলার। আগামীতে অভিযান ও তদন্ত করে মূল হোতাদের গ্রেফতারে কাজ করবে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১ দিনে ৯০০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি – রেকর্ড।