ত্বকের ঘা খুব কমন একটি সমস্যা। এটি যেকোন বয়সেই হতে পারে। ত্বকের মধ্যে যেকোন ধরণের ঘা বা অন্য কোন সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। নিচে কিছু প্রচলিত ওষুধের বিবরণ দেয়া হলো। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এসব ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।
১. এফান – Afun
উপাদান: প্রতি গ্রাম ক্রীমে আছে ক্লোট্রিমাজল ১০ মি.গ্রা.।
নির্দেশনা :
ট্রাইকোফাইটন প্রজাতি দ্বারা সৃষ্ট সব ডার্মাটোমাইকোসিস, মোল্ডস্ ও অন্যান্য ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট ডার্মাটোমাইকোসিস এবং ত্বকের রোগসমূহ যেগুলোতে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ সমূহ দেখা যায়। উপরে উল্লেখিত ডার্মাটোমাইকোসিস গুলোর মধ্যে আছে ইন্টারডিজিটাল মাইকোসিস প্যারোনাইকিয়াস, ক্যানডিডা ভালভাইটিস, ক্যানডিডা ব্যালানিটিস, পিটাইরিয়াসিস ভারসিকালার।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি: দৈনিক ২ থেকে ৩ বার আক্রান্ত স্থানে।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না: ক্লোট্রিমাজলের প্রতি অতি সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে ।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: খুবই কম ক্ষেত্রে প্রয়োগস্থানে চুলকানি বা জ্বালা পোড়া হতে পারে।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া: এখন পর্যন্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার : চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে গর্ভকালীন সময়ে ব্যবহারের জন্য নির্দেশনা দিতে পারেন।
সরবরাহ: এফান ক্রীম – ১০ গ্রাম।
২. ব্যাকট্রোসিন- Bactrocin
উপাদান: প্রতি গ্রাম অয়েন্টমেন্টে আছে মিউপিরোসিন ২০ মি.গ্রা.।
নির্দেশনা: ব্যাক্ট্রোসিন অয়েন্টমেন্ট ইমপেটিগোর ত্বকীয় চিকিৎসায় নির্দেশিত।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি: আক্রান্ত স্থানে দিনে ৩ বার করে ১০ দিন।
সতর্কতা ও যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না: মিউপিরোসিন অথবা এই প্রিপারেশনের অন্যান্য উপাদানের প্রতি অতি সংবেদনশীলতা আছে এমন ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:
স্থানীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সমূহ নিম্নরূপ: জ্বালা-পোড়া, স্টিংগিং অথবা ব্যথা, চুলকানি, বমি বমি ভাব, ইরাইথেমা, শুষ্ক ত্বক, টেন্ডারনেস, সোয়েলিং, কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস এবং এক্সুডেট-এর বৃদ্ধি।
অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া: অন্যান্য ওষুধের সাথে মিউপিরোসিন-এর ব্যবহারের ফলাফল পরীক্ষা করা হয়নি।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার: প্রেগন্যান্সি ক্যাটাগরী ‘বি’। স্তন্যদানরত মায়েদের ক্ষেত্রে ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ।
সরবরাহ: ব্যাক্ট্রোসিন অয়েন্টমেন্ট – ১০ গ্রাম।
৩. ডি – র্যাশ – De-rash
উপাদান: প্রতি গ্রাম অয়েন্টমেন্টে আছে জিংক অক্সাইড ৪০০ গ্রাম।
নির্দেশনা: শিশুদের ডায়পার ব্যবহার এর কারনে সৃষ্ট ফুসকুড়ির চিকিৎসা ও প্রতিরোধের জন্য ডি-র্যাশ® উপযোগী। এটি চামড়ায় চুলকানি বা জ্বালাপোড়ার হাত থেকে বাঁচার জন্য প্রতিরোধক বেষ্টনি গড়ে তোলে। ডি-র্যাশ® খুব সহজে লাগানো ও মুছে ফেলা যায় এবং শিশুদের ত্বকে কোন প্রকার ক্ষতি করে না।
মাত্রা ও ব্যবহার বিধি: ভেজা ও নোংরা ডায়পার দ্রুত খুলে ফেলুন। শিশুকে পরিষ্কার করে ডায়পার পরানোর জায়গা টুকু শুকিয়ে নিন। ডি- র্যাশ অয়েন্টমেন্ট যতবার প্রয়োজন ব্যবহার করা যায়। প্রতিকার ডায়পার পরিবর্তনের সময়, ঘুমানোর সময় এবং লম্বা সময় ধরে ডায়পার ব্যবহার এর পূর্বে ডি-র্যাশ® ব্যবহার করা ভাল।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: ডি-র্যাশ ব্যবহারের কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
সর্তকতা ও যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না: ইহা শুধুমাত্র বাইরে ব্যবহারের জন্য চোখের সংস্পর্শে যেন না আসে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ৭ দিন ওষুধটি ব্যবহারের পরও কোন উন্নতি না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কেননা এটি অন্য কোন রোগের লক্ষনও হতে পারে। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। কোন শিশু এটি খেয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সরবরাহ : ডি-র্যাশ অয়েন্টমেন্ট – ২৫ গ্রাম।
আরও পড়ুন: বুকের জমাট বাঁধা ঘন কফ দূর করার উপায়