ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর (বিএমডি)।
এতে বলা হয়েছে, “রাজশাহী ও সিলেট বিভাগ এবং ঢাকা, টাঙ্গাইল, রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।”
এছাড়া ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ইতিমধ্যে, ভারতীয় রাজ্য ওড়িশা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উপর সু-চিহ্নিত নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি অংশ যুক্ত খাদ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমী বায়ু রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, নিম্নাঞ্চলের কেন্দ্র, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসাম হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, মেট অফিস বুলেটিন যোগ করেছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে 38.2°C এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নোয়াখালীর হাতিয়ায় 25°C রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ ঘরের মধ্যেই অবস্থান করছে।
এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে। স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার সিলেটে সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে এবং তা আরও বাড়তে পারে।
সিলেট ওয়েদার অবজারভেটরি সেন্টারের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সৈয়দ আহমেদ বলেন, ঈদের দিন রোববার থেকে জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে এবং শুধুমাত্র বৃষ্টিই স্বস্তি আনতে পারে।
তিনি আরও বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং শনিবার থেকে তাপমাত্রা কমতে পারে। শনিবার নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পরিশেষে বলা যায় যে, প্রতি বছরই এ সময় পৃথিবীতে তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলোতে পরিস্থিতি এখনকার মতোই হয়।
কোনো সময় ঘুর্ণিঝড় এবং বজ্রসহ বৃষ্টির চরম সম্ভাবনা দেখা যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরণের ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকে। তাই সাগর তীরবর্তী মানুষজনকে সবসময়ই নিরাপদে থাকতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: উত্তরাধিকার সম্পত্তি না দিতে চাইলে যেভাবে আদায় করবেন।