ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ি হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় গিয়ে শেষ হবে এই প্রকল্প।
রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য এটিই হচ্ছে সরকার কর্তৃক গৃহীত সবচেয়ে বড় প্রকল্প। সংযোগ সড়ক সহ এটির দৈর্ঘ্য হবে ৪৬.৭৩ কিলোমিটার এবং ব্যয় হবে ৳১২২ বিলিয়ন টাকা।
বহু প্রতীক্ষিত এই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে (ঢাকা উড়াল সড়ক) যান চলাচল শুরু হয়েছে আজ। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় যান চলাচল। তখন বেশ যানবাহন সেখানে লক্ষ্য করা গেছে।
বিমানবন্দর এর কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাওয়া যাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। প্রথম দিনে এক্সপ্রেসওয়েটি রয়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির দখলে। এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলরত বেশিরভাগ যানবাহনই দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ি।
আজ সকাল সাড়ে ৮ থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কয়েকটি বাসকে উড়াল সড়কটি ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যার মধ্যে একটি বিআরটিসির যাত্রীবাহী বাস, আর দুটি সরকারি অফিস কর্মচারীদের বহনকারী বাস। এছাড়া বেশ কিছু কাভার্ডভ্যানও ব্যবহার করেছে উড়াল সড়কটি।
দুর্ঘটনা কমাতে উড়াল পথটিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশা। তবে একাধিক সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলকে উড়াল সড়কে উঠার চেষ্টা চালায়। স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের কারণে র্যাম্প পার হতে পারেনি এসব যান।
স্বেচ্ছাসেবক নুর হোসেন বলেন, সকাল থেকে মাত্র ২-৩টি বাস উঠেছে। প্রায় সবগুলোই সরকারি বাস। অন্য বাস উঠেনি। সিএনজি ও মোটরসাইকেল উঠার চেষ্টা করছে। তবে আমরা তাদের নামিয়ে দিচ্ছি। তারা হয়তো জানেনা, ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
মোটরসাইকেল চালক রিয়াদুল বলেন, আমাদের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এ পথে মোটরসাইকেল না উঠানোর যুক্তি হাস্যকর। কেননা গাড়িও তো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারবে। আমাদের খারাপ লাগছে।
তিনি আরও বলেন, যে গতি আছে সেই গতি আমরা মেইনটেইন করবো। দু’চারটা খারাপ চালকের জন্য আমরা বঞ্চিত হলাম।
বেসরকারি অফিসের কর্মচারী রাকিব হাসান বলেন, মাত্র ৬ মিনিটে এয়ারপোর্টে থেকে বনানী পৌঁছেছি। অন্য সময় এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগতো।
মূলত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে ঢাকাবাসীর জন্য অনেক বড় একটি সুবিধা। ১০ মিনিটের রাস্তা যখন ১ ঘন্টায় পার হতে লাগে তখনই বোঝা যায় সময়ের কি মূল্য।
বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে (নিচের রাস্তা দিয়ে) কোন কোন সময় ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগে। আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে লাগবে মাত্র ১০ মিনিট বা তার কম।
আপাতত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের ৫০% শেষ হয়েছে। বাকি কাজও খুব দ্রুতই শেষ হবে। তখন বৃহৎ ঢাকার যান চলাচলের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। যানজট কমে আসবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর – কারন, লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার জেনে নিন