ডেঙ্গু জ্বর বর্তমানে একটি ভাইরাল টপিক। সারা দেশের মানুষই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে পরিমাণটা ঢাকায় বেশি। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার সর্বোচ্চ হারে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
ডেঙ্গু রোগ হলে মূলত জ্বর হয়। জ্বর ছাড়া অন্যান্য কিছু লক্ষণও রয়েছে। সাধারন মানুষ এসব ভালো মতো জানে না। তাই ডেঙ্গু রোগ হওয়া স্বত্বেও তারা অনেক সময় সাধারন জ্বর ভেবে চিকিৎসা নিচ্ছে না।
আর তাই আজ ডেঙ্গু রোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। অনলাইনের বিভিন্ন নামকরা ওয়েবসাইট এবং ইউটিউবের বিভিন্ন নামকরা চ্যানেল থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে।
আশা করি, তথ্যগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায় যেখানে ডেঙ্গু রোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১. ডেঙ্গু জ্বর যেসব কারনে হয়:
প্রথমে আমাদের জানা প্রয়োজন, এডিস মশা কামড়ালেই কি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় কিনা? চিকিৎসকরা কিন্তু ঠিক তেমনটা বলছেন না।
বরং তারা বলছেন, পরিবেশে উপস্থিত কোনো ভাইরাস যদি কোনো এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয়, শুধুমাত্র তখনই ওই মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
স্ত্রী এডিস মশা ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে। সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে সুস্থ ব্যক্তিতে এরা এই ভাইরাস ছড়াতে থাকে।
হালকা ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্রচণ্ড জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। ডেঙ্গু ভাইরাস সাধারণত চার প্রকার। তবে যারা আগে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের পরবর্তীতে এ রোগ দেখা দিলে প্রাণঘাতী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২. ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো কি কি?
তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে ভাইরাস বহনকারী এডিস মশার কামড়ে যে কারোরই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ কারণে ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো সবারই ভালোভাবে জানা উচিত। এই উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে-
- জ্বর ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে,
- মাথাব্যথা,
- বমি,
- চোখের পেছনে ব্যথা,
- চামড়ায় লালচে দাগ (র্যাশ),
- শরীরে শীতলতা অনুভব করা,
- ক্ষুধা কমে যাওয়া,
- কোষ্ঠকাঠিন্য,
- স্বাদের পরিবর্তন,
- হৃদস্পন্দনের হার ও রক্তচাপ কমে যাওয়া এবং
- পেশিতে ও গাঁটে ব্যথা হওয়া।
৩. ডেঙ্গু রোগের বিভিন্ন ধরণ:
চিকিৎসকদের মতে, মানুষের সাধারণত দুই ধরনের ডেঙ্গু জ্বর হয়- ক্ল্যাসিকাল এবং হেমোরেজিক। ক্ল্যাসিকালে জ্বর সাধারণত দুই থেকে সাত দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। বিপদ ঘটে হেমোরেজিকের ক্ষেত্রে। এই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থা পাঁচ থেকে সাত দিন পর মারাত্মক সংকটাপন্ন হতে পারে।
হেমোরেজিকের ক্ষেত্রে রোগীর রক্তপাত হয়, রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমা কমে যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার দেখা দেয় ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এতে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে হ্রাস পায়। কিছু সময় আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ, দাঁতের মাড়ি এবং নাক থেকে রক্তপাত ঘটে। মলের সঙ্গেও মাঝে মাঝে রক্ত বের হতে পারে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত নারীর ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময়ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এমনকি কারো কারো রক্তের প্লাটিলেট বা অণুচক্রিকা কমে গিয়ে শরীরের চামড়ার নিচে ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়। পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে যখন রোগীর হাত-পা দ্রুত ঠান্ডা হওয়া শুরু করে এবং রক্তচাপ কমে যায়।
আক্রান্ত ব্যক্তি এ সময় মাত্রাতিরিক্ত ঘামা শুরু করে। এতে তার মধ্যে এক ধরনের ছটফটানিও আরম্ভ হয়। কেউ কেউ বমি করে বা তাদের বমি বমি ভাব হয়।
এই সময়টায় কোনো কোনো রোগীর হোয়াইট ব্লাড সেল স্বল্পতা, ইলেক্ট্রোলাইটের অসমতা, লিভারে সমস্যা, অথবা ব্রেনে রক্তক্ষরণের মতো ঘটনা ঘটে। এতে তাদের শকে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। দুঃখজনক হলো, এর ফলে অনেক রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
৪. ডেঙ্গু প্রতিরোধে পদক্ষেপ ও সতর্কতা:
যেহেতু এডিস মশা দিনে কামড়ায়, তাই দিনের বেলায় ঘুমাতে গেলে ঘরে মশারি অথবা কয়েল ব্যবহার করুন। ঘরের আনাচে-কানাচে অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গায় মশার ওষুধ বা স্প্রে দিতে পারেন। সুরক্ষিত থাকতে দিনে যথাসম্ভব লম্বা পোশাক পরাই ভালো।
এডিস মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে বংশ বিস্তার করে। এ কারণে অফিস, ঘর এবং এর আশেপাশে যেন পানি না জমে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কোথাও পানি জমা থাকলে ২-৩ দিন পর পর তা পরিবর্তন করুন। অনেক সময় ফুলের টবে, এসি বা ফ্রিজের নিচের মতো স্থানে পানি জমে থাকে, ডেঙ্গুর মৌসুমে এসব স্থান পরিষ্কার রাখুন।
ডেঙ্গু হলেই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকা উচিত। কিছু বিপদ সংকেত জানা থাকলে সতর্ক হতে সুবিধা হবে। অস্বাভাবিক দুর্বলতা, অসংলগ্ন কথা বলা, অনবরত বমি, তীব্র পেটে ব্যথা, গায়ে লাল ছোপ ছোপ দাগ, শ্বাসকষ্ট, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া অথবা রোগীর মুখ, নাক, দাঁতের মাড়ি, পায়ুপথে রক্তক্ষরণ, পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, রক্তবমি হলে- দেরি না করে, সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. কারা বেশি ঝুঁকিতে থাকে?
ডেঙ্গুতে সাধারণত বেশি ঝুঁকিতে থাকেন ১ বছরের কম এবং ৬৫ বছরের উপরে যাদের বয়স। এছাড়া গর্ভবতী নারী, যাদের ওজন বেশি, যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, যারা হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত কিংবা যাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হয়, তাদেরকে ডেঙ্গু সংক্রমণের শুরু থেকেই হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
এছাড়া ডেঙ্গু থেকে সতর্ক থাকতে এ সময়ে জ্বরে আক্রান্ত হলেই প্রথমে একজন অভিজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ঘরে বসেই ভিডিও কলে এই পরামর্শ নিতে পারেন বিভিন্ন অ্যাপে। ডকটাইম অ্যাপ এগুলোর মধ্যে অন্যতম।
যেকোনো সময়, যেকোনো মুহূর্তে ভিডিও কলের মাধ্যমে ডাক্তারকে জানাতে পারেন আপনার সমস্যার কথা। প্রাথমিক অবস্থাতেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চললে, জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
সাধারণত জ্বরের শুরুতেই প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু NS1 টেস্ট করার কথা পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এর সঙ্গে আরো থাকে CBC, SGPT, SGOT টেস্ট করার পরামর্শ।
এই সবগুলো টেস্টই আপনি ডকটাইম সহ বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে ঘরে বসে করতে পারবেন। দক্ষ ল্যাব টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে আপনার ঘর থেকেই টেস্টের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্টও পৌঁছে দেওয়া হবে আপনার ঠিকানায়।
৬. ডেঙ্গু হলে করণীয়:
যেকোনো রোগে বা রোগের উপসর্গ দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের নির্দেশনা ছাড়া ঔষধ গ্রহণ করলে অথবা নিজে থেকে কোনো পদক্ষেপ নিতে গেলে অনেক সময় মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়।
নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় প্রাথমিক পরিচর্যা ও চিকিৎসা শুরু করা ভালো। ডেঙ্গু জ্বরের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। জেনে নিন ডেঙ্গুর প্রতিকারে যা যা করা প্রয়োজন:
ক. জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল বা এ জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন।
খ. জ্বরের মাত্রার উপর নির্ভর করে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর পর এই ঔষধ ব্যবহার করতে হবে।
গ. ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৪টি ঔষধ নিতে পারবেন। এর বেশি নিলে লিভারের সমস্যাসহ নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে।
ঘ. ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে জ্বর কমাতে গিয়ে অ্যাসপিরিন অথবা ব্যথানাশক এনএসএআইডি গ্রুপের ঔষধ ব্যবহার না করার প্রতি কড়াভাবে নিষেধ করেন ডাক্তাররা।
ঙ. জ্বর কমানোর জন্য গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছতে পারেন অথবা গোসল করাটাও এক্ষেত্রে কার্যকরী।
চ. যেহেতু ডেঙ্গু রোগীরা অধিকাংশ সময়ই ক্লান্ত থাকেন, তাদের পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া জরুরি।
ছ. লক্ষণ দেখা দেওয়ার ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত কোনো ভারী কাজ অথবা মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম করা যাবে না। তবে তাই বলে শুধু শুয়ে-বসে থাকাটাও ঠিক নয়। স্বাভাবিক হাঁটাচলা বা দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
জ. এ সময় বাসার বাইরে না যাওয়াই ভালো।
৭. ডেঙ্গু রোগীর খাবার:
এ সময় ডেঙ্গু রোগীকে প্রচুর প্রোটিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানি, স্যালাইন, স্যুপ, ডাবের পানি, ফলের রস, এবং দুধ জাতীয় তরল পানীয় পান করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর থেকে সেরে উঠার সময় প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।। এ সময় শরীর যেন পানিশূন্যতায় না ভোগে, সেজন্য আড়াই থেকে তিন লিটার পানি প্রতিদিন পান করতে হবে।
পানির পাশাপাশি স্যালাইন, স্যুপ, ডাবের পানি, ফলের রস এবং দুধ জাতীয় তরল পানীয় প্রচুর পরিমাণে পান করা উচিত।
এছাড়া খেতে হবে প্রচুর প্রোটিন ও আয়রনসমৃদ্ধ খাবার। মাছ, মুরগির মাংস, চর্বিহীন লাল মাংস, ডিম, দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্যে প্রোটিন বেশি থাকে বলে এ সময় এসব খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, এ খাবারগুলো সাহায্য করে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায় হচ্ছে সচেতনতা। এডিস মশা যেন বংশবৃদ্ধি না করতে পারে, কিংবা দিনেরবেলা যেন মশার কামড় এড়ানো যায়, সে বিষয়ে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সচেতনতার মাধ্যমেই ডেঙ্গু জ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
৮. ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে সচরাচর প্রশ্ন:
ক. কোন মশা কামড়ালে ডেঙ্গু রোগ হয়?
এডিস মশা। এই মশা সাধারণত পরিষ্কার পানিতে বংশ বিস্তার করে। ফুলের টব, এসি বা ফ্রিজের নিচের মতো স্থানে জমা পানি থেকে ডেঙ্গু মশার উৎপত্তি।
খ. এডিস মশা কীভাবে চিনবেন?
একটু লক্ষ্য করলেই যে কেউ ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশাকে খালি চোখেই চিনতে পারবেন। মাঝারি আকারের সাদা-কালো ডোরাকাটা এই মশার শুঁড় থাকে লোমযুক্ত। এদের মাথার পেছনের উপরের দিকেও একটি সাদা দাগ থাকে, তাই সাধারণ মশা থেকে খুব সহজেই আলাদা করা যায়।
গ. এডিস মশা কখন কামড়ায়?
জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এডিস মশার বিস্তার ঘটে বলে এ সময়টাতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এডিস মশা যে শুধু দিনেরবেলাতেই কামড়ায়, এটাও কম-বেশি এখন সবাই-ই জানে।
তবে দিন বলতে শুধু সকালবেলা নয়; সকাল-থেকে সন্ধ্যা, সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়কেই এডিস মশার কামড়ের সময় বোঝানো হয়ে থাকে। আরেকটু নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, সাধারণত সকালের প্রথম দিকে এবং সন্ধ্যার ঠিক কিছুটা আগে এডিস মশা তৎপর থাকে।
চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী, রাতের অন্ধকারে এরা কামড়ায় না। অনেকেরই দুপুরে খাবারের পর হালকা ঘুমানোর অভ্যাস আছে। এ সময় ঘুমানোর সময়ও সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষত, শিশুদের ব্যাপারে একদমই অবহেলা করা যাবে না।
ঘ. এডিস মশা কোথায় কামড়ায়?
অনেকেই আবার ভাবেন, এডিস মশা বোধহয় শুধু পায়েই কামড়ায়। এটাও এক ধরনের ভুল ধারণা। পায়ের অংশ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় উন্মুক্ত থাকে বলে, ওই জায়গাকেই এরা কামড়ানোর জন্য বেছে নেয়। তবে সুযোগ পেলে, শরীরের যেকোনো অংশতেই কামড়ে দিতে পারে এই ভয়ংকর মশা! এই মৌসুমে কোনো জ্বরকেই তাই সাধারণ জ্বর হিসেবে এড়িয়ে যাওয়া হবে নিছকই বোকামি!
ঙ. মশা কামড়ানোর কতদিন পর ডেঙ্গু হয়?
এডিস মশা কামড়ানোর তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেয়।
চ. এডিস মশা কামড়ালেই কি ডেঙ্গু হয়?
না। পরিবেশে উপস্থিত কোনো ভাইরাস যদি কোনো এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয়, শুধুমাত্র তখনই ওই মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ছ. ডেঙ্গু কি ছোঁয়াচে রোগ?
ডেঙ্গু ছোঁয়াচে নয়। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে স্পর্শ করলে অথবা এক বিছানায় ঘুমালে কিংবা তার ব্যবহৃত কিছু ব্যবহার করলে, অন্য কারো এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে, ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় কোনো বাধা নেই, কিংবা তাকে আলাদা রাখার কোনো প্রয়োজনও নেই।
পরিশেষে বলা যায়, আমাদের সবাইকে সচেতন হবে। রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বর তখনই নিয়ন্ত্রণে আসবে যখন এখানকার মানুষগুলো সচেতন হবে।
কারণ, যতো মানুষ আর পরিবেশের যে অবস্থা তাতে স্প্রে করে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আর সরকারকে আরও জরুরি পদক্ষেপ নেয়া উচিত। আর ডেঙ্গু জ্বরের সাথে মিলে যায় এমন লক্ষণ দেখা দিলে ঘরে বসে ডকটাইম থেকে সেবা নিতে পারবেন। প্রয়োজনে কাছাকাছি হাসপাতালে যেতে হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর হলে ভয় নয় – জেনে নিন ঘরোয়া সমাধান
[মূল লেখাটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন]