ডিলেট হয়ে যাওয়া মেসেজ যদি পড়া যায় তাহলে কতোই না ভালো হয়! কারণ, ভুলক্রমে আমরা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ ডিলেট করে ফেলি। তখন আর পেছনে ফিরে গিয়ে মেসেজগুলো পাইনা।
কিন্তু খুশির খবর যে, সাম্প্রতিক সময়ে হোয়াটসঅ্যাপ এই সুবিধাটি উন্মোচন করেছে। যা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য সত্যিই খুব ভালো একটি খবর। হোয়াটসঅ্যাপ এর কোনো নিজস্ব ফিচার এটি নয়। একটি থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি এই সুবিধাটি ভোগ করতে পারবেন।
আমরা জানি, ইন্সট্যান্ট মেসেজিং করার জন্য বিশ্বের মধ্যে যতগুলো অ্যাপ রয়েছে তন্মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ অন্যতম। কোটি কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকে। মানুষের কাছে সহজবোধ্য করার জন্য প্রতিনিয়ত মেটা কোম্পানী হোয়াটসঅ্যাপ এর আপডেট করে চলেছে।
হোয়াটসঅ্যাপ এর বর্তমানে যে আপডেট করা হয়েছে তা সবার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে। ব্যবহারকারীরা নতুন সুবিধা পেতে যাচ্ছে।
এখন থেকে ডিলেট করা মেসেজও ব্যবহারকারী দেখতে পাবে। আগে থেকেই সেন্ড করা মেসেজ ডিলেট করা যেত। কারও কাছে ভুলক্রমে কোনো ভুল মেসেজ চলে গেলে তা তাৎক্ষণিক ডিলেট করা যায়।
এখন থেকে আপনাকে কেউ ভুল বার্তা বা মেসেজ দিলে আপনি তা ইচ্ছে করলে দেখতে পারবেন। এই জন্য আপনাকে থার্ড পার্টি অ্যাপ হিসেবে আরেকটি অ্যাপ ইন্সটল করতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপের নিজস্ব কোনো ফিচার নেই যারা মাধ্যমে ডিলেট হয়ে যাওয়া মেসেজ আপনি পড়তে পারেন।
কাজটি কিভাবে করবেন চলুন জেনে নিই। প্রথমে আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গেট ডিলেটেড মেসেজ (Get Deleted Message) নামক অ্যাপটি ইন্সটল করুন।
তারপর অ্যাপটি ওপেন করলে কিছু পারমিশন চাইবে। আপনি হোয়াটসঅ্যাপ এর পারমিশনটি দিয়ে দিন। এরপর থেকে আপনি ডিলেট হয়ে যাওয়া মেসেজগুলো দেখতে পারবেন।
সহজ কথায়, আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে কেউ একটা মেসেজ পাঠালো। আপনি সেটা পড়ার আগেই অর্থাৎ কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আবার ডিলেটও করে দিলো। কিন্তু তারপরেও আপনি সেই মেসেজ পড়তে পারবেন শুধুমাত্র Get Deleted Message অ্যাপটি ব্যবহার করার মাধ্যমে।
তবে তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কিছু ব্যক্তি মনে করেন, এই অ্যাপ আসলে কোনো মেসেজ পড়তে পারে না। শুধুমাত্র নোটিফিকেশন বার থেকে মেসেজ ট্র্যাক করতে পারে।
থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো ব্যবহার করার সময় অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করবেন। কারণ, থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো আপনার মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাক্সেস নিয়ে ঝামেলা তৈরী করতে পারে।
অনেক সময় আপনার গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যেতে পারে। তাই কোনো অ্যাপ ইন্সটল করার পর কি কি ধরণের পারমিশন চায় তা দেখবেন। পারমিশনগুলো কেন চায় সেটাও কিন্তু বিবেচ্য বিষয়।
আরও পড়ুন: মোবাইল কেনার আগে যে বিষয়গুলোতে নজর দেয়া উচিত।
আপনি যদি আপনার ফোনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করেন যেমন- ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন ইত্যাদি তবে থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো ব্যবহারের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ওই অ্যাপগুলো ব্যবহার না করাই উত্তম।