ডা. কেস একজন স্বনামধন্য হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। তিনি তার ব্যক্তি জীবনের পুরো সময়টাই হোমিও চিকিৎসার পেছনে ব্যয় করেছেন। তিনি আজীবন মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
ডা. কেস কখনো হোমিওপ্যাথির বিরুদ্ধাচরণ করেননি। হোমিওপ্যাথির মূলনীতি তিনি কখনো ভুলে যাননি। ওষুধের ভুল প্রয়োগ কখনো ডা. কেস করেননি।
আজ আমরা এই ডা. কেস এর জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু চিকিৎসা বিষয়ক মর্মবানী জানবো। ছাত্রছাত্রী এবং হোমিও প্রাকটিস যারা করছেন তাদের খুব কাজে লাগবে।
সাধারন পাঠক যারা আছেন তারা অনুগ্রহ করে সরাসরি ওষুধ প্রয়োগ করবেন না। এতে ক্ষতি হতে পারে। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি ডা. কেস এর হোমিওপ্যাথি মর্মবানীতে।
ডা. কেস এর মর্মবানী:
আর্নিকা মন্ট: পাগলা কুকুরের কামড়ে বা অন্য কোনো জন্তুর দংশনে কখনোই আর্নিকা মন্ট ব্যবহার করা উচিত নয়।
আর্টিকা ইউরেন্স: সন্তান পর্যাপ্ত পরিমাণে দুধ না পেলে বা স্তনে দুধ কম থাকলে আর্টিকা ইউরেন্স বেশ ভালো কাজ করে।
এন্টিম ক্রুড: রোগীর টক বা অম্ল জাতীয় খাদ্য খেতে খুব ইচ্ছে থাকে কিন্তু এই ধরণের খাদ্য খেলে রোগীর রোগ বৃদ্ধি পায় লক্ষণে এন্টিম ক্রুড বিশেষ ফলপ্রদ।
এন্টিম ক্রুড: কোনো শিশু পছন্দ করে না যে কেউ তাকে স্পর্শ করে কিংবা তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকুক লক্ষণে এন্টিম ক্রুড ভালো ফল দেয়।
এন্টিম টার্ট: বুকে প্রচুর শ্লেষ্মা জমা থাকলেও খুব সামান্য পরিমাণে গয়ের ওঠে অর্থাৎ কাশিয়ে গয়ের ওঠা লক্ষণে এন্টিম টার্ট ভালো ফল দেয়।
এপিস মেল: এপিস মেল এর সব রোগীতেই মূত্রকষ্ট লক্ষ্য করা যায়।
এরালিয়া রেসিমোসা: রোগী ঘুম থেকে উঠে জেগে ওঠে এবং ভীষণ কাশতে থাকে, আর ঘুমাতে পারে না এমন লক্ষণে এরালিয়া রেসিমোসা খুব ভালো ফল দেয়।
এলুমিনা: রোগী মনে করে যে তার ত্বকের উপর দিয়ে কোনো পিঁপড়া হেটে যাচ্ছে লক্ষণে এলুমিনা বিশেষ উপকারী।
ক্যান্থারিস: প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া লক্ষণে ক্যান্থারিস ৩০ শক্তি ১ ঘন্টা পরপর ব্যবহার করলে খুব ভালো ফল দর্শে।
ক্যান্থারিস: রক্ত প্রস্রাবের সাথে জ্বালাপোড়া থাকলে ক্যান্থারিস ৩ এক ঘন্টা পরপর সেবনে সুন্দর কাজ করে।
ক্যালকেরিয়া কার্ব: গণ্ডমালাগ্রস্ত শিশুদের সর্বাঙ্গীন দৌর্বল্য দূর করার ক্ষেত্রে ক্যালকেরিয়া কার্ব বিশেষ উপকারী।
গোলোন্ড্রিনা: গোলোন্ড্রিনা হলো সর্প বিষের প্রতিরোধক। এর ক্রিয়ায় দেহে সাপের বিষের প্রভাব নষ্ট হয়ে যায়।
বেলেডোনা: বেলেডোনা বার বার প্রয়োগ করা অনুচিত। উচ্চ শক্তির বেলেডোনা বার বার প্রয়োগ করা হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
বেলেডোনা: মস্তকে প্রবল রক্তসঞ্চয়বশতঃ প্রলাপ বা মস্তিষ্কের ক্রিয়া বিকার, শিরোঃপীড়া ও আক্ষেপ উপসর্গ নিবারণে বেলেডোনা বিশেষ উপকারী।
বেলেডোনা: বেলেডোনা পুনঃ পুনঃ প্রয়োগ সহ্য করতে পারে না। যদি উচ্চক্রমে পুনঃ প্রয়োগ করা হয় তবে অতি সহজেই তা রোগীকে বধ করে।
ল্যাকেসিস: রোগী নিজেকে অতীন্দ্রিয় কোনো শক্তির নিয়ন্ত্রণে আছে বলে মনে করে এবং সে ধারণা করে কোনো অলৌকিক শক্তি দিয়ে সে পরিচালিত হচ্ছে। যেমন- রোগী ধর্মচর্চা করছে বেশি, বা রোগী খাওয়া-দাওয়া এই বলে ছেড়ে দেয় যে কে বা কারা তাকে না খাইয়ে এখান থেকে চলে যেতে বলছে লক্ষণে ল্যাকেসিস ব্যবস্থেয়।
সাইলিশিয়া: পায়ের ঘাম বন্ধ হয়ে কোনো রোগ হলে সাইলিশিয়া ১এম শক্তি সপ্তাহে ১ বার সেবন করলে উপকার দর্শে।
হিপার সালফ: গণ্ডমালাগ্রস্ত ও পারদ সেবনবশতঃ বিকৃত ধাতুবিশিষ্ট ব্যক্তিদের পক্ষেই হিপার সালফ বেশি উপকারী।
ডা. কেস এর মর্মবানী এখানেই শেষ হলো। আমরা কোনো আপডেট পেলে অবশ্যই এই পোস্টে তা যুক্ত করবো। সবাই ভালো থাকবেন। যেকোন সমস্যায় অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের সেবা নিন – সুস্থ্য থাকুন।
আরও পড়ুন: ডা. আকবর ক্যাননার এর হোমিওপ্যাথি বিষয়ক মর্মবানী।