ডা. আকবর ক্যাননার এর হোমিওপ্যাথি বিষয়ক বানী আমরা জানবো। ডা. আকবর ক্যাননার তার চিকিৎসা জীবনে যখনই যে বিষয়ে সফল হয়েছেন তার কিয়দংশ এখানে তুলে ধরা হলো।
যারা বর্তমানে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তাদের ডা. আকবর ক্যাননার এর এই হোমিওপ্যাথি বিষয়ক মর্মবানীগুলো খুব কাজে লাগবে। যারা হোমিওপ্যাথির ছাত্র কিংবা ছাত্রী অর্থাৎ যারা ডাক্তারী পড়াশোনা করছেন তাদেরও খুব কাজে লাগবে।
তবে সাধারন পাঠক যারা আছেন তারা দয়া করে এগুলো সরাসরি প্রয়োগ করতে যাবেন না। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। যেকোন সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করুন। তাহলে আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
ডা. আকবর ক্যাননার এর হোমিওপ্যাথি বিষয়ক মর্মবানী:
আর্টিকা ইউরেন্স: বৃদ্ধ বয়সে আর্টিকা ইউরেন্স ব্যবহার করলে তা শক্তি দিতে পারে, কিন্তু যৌবন ফিরিয়ে আনতে পারে না।
আর্সেনিক এল্ব: আইসক্রিম খাওয়ার পর পেটে ব্যথা হলে আর্সেনিক এল্ব উপকার দেয়।
এনজেলিকা: মদজাতীয় তরল নেশাকারক দ্রব্যের প্রতি বিতৃষ্ণা সৃষ্টির জন্য এনজেলিকা ১৫ ফোঁটা জলে মিশিয়ে সেবন করালে ঈপ্সিত ফল পাওয়া যায়।
এনাকার্ডিয়াম ওরি: এনাকার্ডিয়াম ওরি ১এম মাত্রায় প্রয়োগে শিশুদের নিষ্ঠুরতা বা হিংস্রতা দূর করতে পারে।
এরিনজিয়াম: এরিনজিয়াম মাদার টিংচার প্লাসেন্টা প্রিভিয়া সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে।
ককুলাস: যানবাহনে ভ্রমনে ককুলাস নির্ধারিত ওষুধ।
কুপ্রাম আর্স: তীব্র হিক্কাতে কুপ্রাম আর্স ৩০ শক্তি ব্যবহারে বিশেষ উপকার পাওয়া যায়।
ক্যাম্ফর: তীব্র হিস্টিরিয়াতে সামান্য মিল্ক অব সুগারে এক ফোঁটা ক্যাম্ফর মিশিয়ে প্রতি ৫ থেকে ১০ মিনিট পর পর প্রয়োগ করা হলে অভাবনীয় ফল পাওয়া যায়।
ক্যালকেরিয়া কার্ব: কোনো রোগের তরুন অবস্থায় ব্যবস্থেয় হলে সেই রোগের পুরানো অবস্থায় ক্যালকেরিয়া কার্ব দিলে ভালো ফল দর্শে ।
ক্যালকেরিয়া ফস: রিকেট রোগের জন্য ক্যালকেরিয়া ফস বিশেষ উপকারী।
ক্যালি আয়োড: ঠান্ডা ও ইনফ্লুয়েঞ্জার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য ক্যালি আয়োড ৬ প্রয়োগে ভালো ফল পাওয়া যায়।
কলিনসোনিয়া ক্যান: তীব্র কোষ্ঠকাঠিন্যে কলিনসোনিয়া ক্যান মাদার টিংচার প্রয়োগে দ্রুত নিরাময় হয়।
কার্বো এনিমেলিস: বায়ু যুক্ত অজীর্ণ রোগে রাতে শোবার সময় কার্বো এনিমেলিস সেবন করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
ট্যাবেকাম: গর্ভাবস্থায় বমি হলে ট্যাবেকাম ১এম মাত্রা প্রয়োগে তা হ্রাস পায়।
ড্রসেরা: যক্ষ্মা রোগের ইতিহাস আছে এমন রোগীতে হাঁপানী হলে ড্রসেরা উপকারী ।
নাক্স মাস্কেটা: ফুটানো দুধ পান করার কারণে ডায়রিয়া হলে নাক্স মস্কেটা বিশেষ উপকার দেয়।
নিউমোকক্সিন: নিউমোনিয়ার যাবতীয় সমস্যা দুর করার জন্য নিউমোকক্সিন বিশেষ উপকারী।
পাইরোজেনাম: টাইফয়েড রোগের আরোগ্যের জন্য পাইরোজেনাম ৬ নিশ্চিত ফল দিতে পারে।
বোভিস্টা: ক্রনিক আর্টিকেরিয়ার ক্ষেত্রে বোভিস্টা ৩০ বিশেষ উপকার দেয়।
ভেসিকেরিয়া: অ্যালবুমিনুরিয়া রোগে ৫ থেকে ১০ ফোঁটা ভেসিকেরিয়া সি মাদার টিংচার প্রয়োগে রোগী আরোগ্য লাভ করে।
ভেসিকেরিয়া: ক্রনিক সিস্টাইটিস রোগে ভেসিকেরিয়া মাদার প্রয়োগে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়।
স্টিকটা পালমোনারিয়া: একিউট বাতে স্টিকটা পালমোনারিয়ার মাদার টিংচার থেকে ২ শক্তির ওষুধ ভালো কাজ করে।
সালফার: আলোকের তীব্রতাজনিত কারণে ত্বকে রাশ সৃষ্টি হলে বা ত্বকের সমস্যা দেখা দিলে সালফার বিশেষ উপকারী।
সিকুটা ভিরোসা: চক, কাঠকয়লা ইত্যাদি খাওয়ার স্বভাব থাকলে রোগীকে সিকুটা ভিরোসা প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
সিসিজিয়াম জ্যাম্বো: সিসিজিয়াম জ্যাম্বো মাদার টিংচার পাউডারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ঘামাচির যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
সোরিনাম: গর্ভাবস্থায় সোরিনাম ১এম প্রয়োগ করা হলে শিশুর জন্মের পর প্রসূতির সাধারণ স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
হেলোনিয়াস: জরায়ুর স্থানচ্যুতি বা গর্ভাশয়ভ্রংশ হলে হেলোনিয়াস মাদার টিংচার প্রয়োগে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
পরিশেষে বলা যায়, ডা. আকবর ক্যাননার ব্যক্তি জীবনে একজন স্বনামধন্য হোমিও চিকিৎসক ছিলেন। তিনি তার সবটুকু জ্ঞানই রোগীদের জন্য উজাড় করে দিতেন।
হাজার হাজার রোগী তার কাছে গিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন। হোমিওপ্যাথির উন্নতিকল্পে তার অবদান অসামান্য। ডা. আকবর ক্যাননার এর আরো কোনো তথ্য পেলে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট করতোয়া’তে আপডেট করার চেষ্টা করবো।
আরও পড়ুন: হোমিও চিকিৎসা হিসেবে ডা. অপরেশ কুমার এর মর্মবানী।