ডাবের পানি খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গরমের সময় আমরা যখন হাঁপিয়ে উঠি তখন ডাবের পানি হয় আমাদের নিত্য সঙ্গী।
যদিও গ্রামে মূলত ঠান্ডা পানির প্রচলনটাই বেশি। কারণ, চাইলেই সেখানে ডাব পাওয়া যায় না। আর শহরে তো এখানে সেখানে খুঁজলেই পাওয়া যায়।
ডাবের পানির হরেক রকমের উপকারিতা রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণ করতে ডাবের পানির জুড়ি নেই।
আজ আমরা ডাবের পানির উপকারিতা বিষয়ে জানবো। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
১. গরমে হাইড্রেশনের সমস্যায় ডাবের পানির কার্যকারী ভূমিকা রয়েছে।
২. ডাবের পানি কলেরা প্রতিরোধ বা উপশমে কাজ করে।
৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।
৪. ব্যায়ামের পর ডাবের পানির সাথে সামান্য চিনি মিশিয়ে পান করলে শরীরের ফ্লুইডের ভারসাম্য বজায় থাকে।
৫. ঘামাচি, ত্বক পুড়ে গেলে বা র্যাশের সমস্যায় ডাবের পানি লাগালে আরাম পাবেন।
৬. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে।
৭. ব্লাড সার্কুলেশন ভালো করতে ডাবের পানি উপকারী।
৮. ডাবের পানির বিভিন্ন ভিটামিন গ্রোথ বাড়াতে সাহায্য করে।
৯. বদহজম দূর করে।
১০. কোলাইটিস, গ্যাসট্রিক, আলসার, ডিসেন্ট্রি ও পাইলসের সমস্যায় কাজে দেয়।
১১. ঘন ঘন বমি হলে ডাবের পানি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
১২. ডাবের পানিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
১৩. কিডনীতে পাথর সমস্যা দূর করতে ডাবের পানি ঔষুধ হিসেবে কাজ করে।
পরিশেষে বলা যায়, ডাবের পানির উপকারিতা নিয়ে উপরে মাত্র ১৩টি পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও আরো অনেক ধরণের উপকারিতা রয়েছে।
আপনি যদি আপনার শরীরের মেদ কমাতে চান তবে নিয়মিত সকালে ডাবের পানি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। শরীরের ত্বক সবসময় উজ্জ্বল রাখতে চাইলেও ডাবের পানির জুড়ি নেই।
বাচ্চাদের উঠতি বয়সে নিয়মিত ডাবের পানির সাথে সাথে টনিক জাতীয় ফল খাওয়ানো উচিত। তাহলে তাদের বেড়ে উঠার দিকটা খুব ভালো হয়। শরীরের সব ধরণের খনিজ উপাদান পরিপূর্ণরূপে থাকে।
বাড়িতে যদি ফাঁকা জায়গা থাকে তবে নারিকেল গাছ লাগিয়ে রাখুন। এ গাছের তেমন যত্ন নিতে হয় না। তাহলে দুই তিন বছর পর হতেই আপনি ডাব খেতে পারবেন।
অনেকেই বলে যে, যে নারিকেল গাছ লাগায় সে নাকি খেতে পারে না। এগুলো আসলে কুসংস্কার। এটা যদি সত্যি হতো তাহলে কেউ আর নারিকেল গাছ লাগাতো না। নারিকেল গাছ লাগানোর জন্য মানুষ ভাড়া করা লাগতো।
শহরে একটি ভালো ডাবের দাম প্রায় স্থান ভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ’রা কিনে খেতে পারে না বললেই চলে। তাই গ্রামে যদি সুযোগ থাকে তবে নারিকেল গাছ বেশি করে লাগিয়ে রাখুন।
আরও পড়ুন: জিনসেং ঔষধটির গুণাগুণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন।