জীবন ও জীবনের কিছু চরম বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে হাজির হয়েছি। প্রতিটি মানুষের জীবনেরই কিছু বিশেষত্ব আছে। কারও জীবনে সেগুলো ফুটে ওঠে আবার কারও জীবনে তার কোনো মূল্যই থাকে না।
আমরা মানুষ’রা সবসময়ই সুখে থাকতে চাই। অথচ, পরিবেশের চারপাশের কিছু মানুষ সর্বদাই আপনার আমার অমঙ্গল করার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তারা আসলে চায় না আমরা একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে সুখে থাকি।
জীবনে সুখে থাকার জন্য যতগুলো উপাদান প্রয়োজন তন্মধ্যে একজন ভালো, সৎ এবং মনের মতো মানুষ পাওয়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আপনি জীবনের প্রতিটি স্তরেই একজন ভালো সঙ্গীর প্রত্যাশায় থাকেন আসলে।
সবাই তার মনের কথাগুলো চাইলেই বলতে পারে না, প্রকাশ করতে পারে না। প্রকাশ করলেও সবাই সেগুলো বুঝতে চায় না। কেউ কেউ বুঝলেও আপনাকে হয়তো ভুল বুঝবে।
মনের মতো নয় এমন সঙ্গীর মাধ্যমে আপনি হয়তো জীবন কাটাতে পারবেন কিন্তু ভালো থাকতে পারবেন না। কিছু মানুষ আছে দেখবেন আপনাকে শুধু তার মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে। তার কাছে এটিই ভালোবাসা। আপনি যদি তার কথামতো চলেন তবেই আপনি তাকে ভালোবাসেন, নচেৎ না।
আমার দৃষ্টিতে এরা আসলে একধরণের পাগল। এদের জ্ঞাণের পরিধি খুবই কম। সম্পর্কের উন্নতি অবনতি সম্পর্কে এরা বেশি কিছু জ্ঞান রাখে না। মাঝে মাঝ আপনাকে এরা ভয়ও দেখাবে যে, তুমি ছেড়ে গেলে আমি কিন্তু আত্মহত্যা করবো।
কেউ যদি কাউকে ছাড়া না বাঁচতে চায় তবে সেটা আলাদা ব্যাপার। সেটা প্রকাশ করার অনেক রকম কথা আছে। কিন্তু আত্মহত্যা কোনো কথা হতে পারে না।
আমি এটিকে বলবো ভয় দেখিয়ে ভালোবাসা আদায় করার চেষ্টা। যে আমায় ভালোবাসবে তার সাথে সারাদিন কথা না বললেও ভালোবাসবে। আর যে ভালোবাসবে না তাকে আত্মহত্যা কেন আরও কিছু বললেও কাজ হবে না।
জানি, প্রতিটি পুরুষের জীবনেই একজন নারী সুখে থাকার জন্যই আসে। কিন্তু যুগলের আচরণ কেমন, তাদের সাংসারিক জীবনে সেগুলোর প্রভাব কেমন পড়বে এবং ফলাফল কেমন হবে তা বোঝা যায় ছয় মাস কিংবা এক বছর পর।
প্রতিদিন যতগুলো সম্পর্ক ভেঙে যায় বা বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এগুলো যদি পর্যালোচনা যদি করেন তবে দেখবেন যে, এদের বেশিরভাগ সংসারের বয়স মাত্র ২ থেকে ৩ বছর।
মনের সাথে মনের অমিল থাকার পরেও অনেকেই সংসার করতে চায়। কিন্তু যে সংসার করতে চায় তার মনটাই যদি কলুষিত হয় তবে তো সংসার করা খুবই কঠিন ব্যাপার। কারণ, তার জীবনে থাকলে আপনাকে শুধু পুড়তে হবে।
ভেতরে ভেতরে কিছু কিছু পুরুষ কিংবা কিছু কিছু নারী এতোটাই কাদে যে, তাদের কান্নায় তাদের বালিশ ঠিকই ভিজে যায় কিন্তু কেউ টের পায় না। জন্ম মৃত্যু আর বিয়ে এই তিন নাকি বিধাতা নিয়ে।
যদি তাই-ই হয় তবে আপনার সুখে থাকার ব্যাপারটাকে ঐচ্ছিক মনে করুন। হতেও পারে আপনার সুখ আবার নাও হতে পারে। তবে প্রতিটি মানুষই সুখ কামনা করে শুধু তাদের মতের মিল না থাকায় সুখগুলো আর জায়গা করে নিতে পারে না।
অন্যদিকে, পরিবারের কাছে অনেক সন্তান জিম্মি হিসেবে থাকে। যখন থেকে সে খানিকটা রোজগার করা শুরু করে তখন থেকেই পরিবার তার উপর চাপ প্রয়োগ করা শুরু করে। হিসাব করা শুরু করে।
আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতাল – চিকিৎসা, মৃত্যু, অভিজ্ঞতা ও মতামত।
যদিও আমরা ভাবি যে, আমাদের দুখের সময় শেষ হয়ে এলো – আমরা এখন ইনকাম করি। কিন্তু পারিবারিক চাপ নামক বাস্তবতার বেড়াজালে পড়ে আমরা আমাদের ছোট ছোট স্বপ্নগুলোও পূরণ করতে পারি না।
সবার ক্ষেত্রে এমনটা কখনোই ঘটে না। তবে অনেকের জীবন এই এমনটা ঘটে বিশেষ করে যারা মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্ত পরিবারের হয়ে থাকে।