জিনসেং নামটির সাথে অনেকেই পরিচিত। এটি টনিকের মতো কাজ করে। শারীরিক বিভিন্ন দূর্বলতার ক্ষেত্রে এটি সেবন করা যায়।
জিনসেং বিভিন্ন অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানীও তৈরী করে থাকে। আজ আমরা এই ঔষধটি নিয়ে বিস্তারিত জানবো। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
চীন দেশে দুই হাজার বছরের অধিক সময় ধরে জিনসেং ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, জিনসেনোসাইড হল জিনসেং এর মূল উপাদান। এ জটিল রাসায়নিক পদার্থটির কার্যকারিতা ব্যাপক ও প্রসারিত।
জিনসেং এর কার্যকারিতা:
★ এন্টিঅক্সিডেন্ট এর ন্যায় কাজ করে
★ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
★ রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে
★ অবসন্নতা ও স্নায়ুবিক চাপ কমায়
★ জীবনি শক্তি বৃদ্ধি করে
★ যৌন আকাঙ্খা বৃদ্ধি করে
★ শরীরের সহিষ্ণুতা বৃদ্ধি করে
★ সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা প্রতিরোধ করে
★ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অন্যান্য ঔষধের সহায়ক হিসেবে কাজ করে
★ সাধারণ শক্তিবর্ধক
★ লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যার ও অক্ষমতার জন্য কাজ করে
★ দ্রুত বীর্যপাত প্রতিরোধ করে
★ যৌন দুর্বলতা দূর করে
★ স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে
★ পুরুষ মহিলা উভয়ের জন্য নিরাপদ
★ মেনোপজের লক্ষণ সমূহে কাজ করে
★ শ্বাস যন্ত্রের সংক্রমণে এন্টিবায়োটিক এর সহযোগী হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।
এক কথায় বলা যায়- শারীরিক, মানসিক এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে জিনসেং খুব ভালো কাজ করে। আজ পর্যন্ত জিনসেং সেবন করে কেউ বলেনি যে কোনো উপকার পায়নি।
জিনসেং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:
বহু বছর ব্যবহারে জিনসেং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অন্য ঔষধ এর সাথে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হয়নি।
তবে দীর্ঘদিন এক নাগাড়ে ব্যবহার করলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। লিভারের মারাত্মক সমস্যার ক্ষেত্রে এবং কিডনি বিকল হলে এটি ব্যবহার করা যাবে না।
গর্ভাবস্থায় এটা ব্যবহার করা যাবে কিনা?
জার্মান কমিশন ই এবং আমেরিকান হারবাল প্রোডাক্ট অ্যাসোসিয়েশনের সূত্র মতে, গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে জিনসেং ব্যবহারে কোন প্রতিবন্ধকতা নেই অর্থাৎ ব্যবহার করা যাবে।
চাইনিজ ট্রেডিশনাল মেডিসিনে জিনসেং মূল গর্ভাবস্থায় সন্তান জন্মদান কালে ও জন্ম পরবর্তীকালে নির্দেশনায় কোন প্রকার বিরুদ্ধ নির্দেশনা পাওয়া যায় না।
সেবন বিধি:
৫০০ মিলিগ্রাম এর একটি ক্যাপসুল সকালে একটা এবং রাতে খাওয়ার পর একটা সেবনের পরামর্শ হিসেবে দেওয়া হয়। তবে সকল ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
সতর্কতা:
বাজারে জিনসেং নামের অনেক সিরাপ, ক্যাপসুল অথবা ট্যাবলেট আছে যার বেশির ভাগ ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তাই ভালো ফলাফলের জন্য ও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে বিশ্বস্ত কোম্পানির জিনসেং ক্রয় করতে হবে।
সাধারণত নিম্নলিখিত কোম্পানির জিনসেং সম্পূর্ণ নিরাপদ। এই এই কোম্পানীগুলোর জিনসেং আপনি নির্দ্বিধায় সেবন করতে পারেন।
★ ইবনে সিনা
★ স্কয়ার
★ একমি
★ রেডিয়েন্ট
★ ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল
তবে আরো কয়েকটি বিশ্বস্ত কোম্পানী রয়েছে। সেগুলো আপনি নিজের মতো নির্বাচন করবেন। তবে সব ধরণের ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: টনিক, ভিটামিন, শক্তিবর্ধক ও বল বর্ধক হোমিওপ্যাথি ঔষধ।