জাস্টিন ট্রুডো নামটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। কানাডার প্রধানমন্ত্রী হলেন জাস্টিন ট্রুডো। শান্তিময় এই দেশের বিভিন্ন উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাস্টিন ট্রুডোর রয়েছে অসামান্য অবদান।
সম্প্রতি জাস্টিন ট্রুডো (৫১) ও তার স্ত্রী সোফি (৪৮) বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টগ্রামের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এই খবরের মাধ্যমে ট্রডো-সোফি দম্পতির ১৮ বছরের সংসার জীবনের অবসান ঘটতে যাচ্ছে। অথচ ১ম সাক্ষাতের বেলায় তারা সারাজীবন একই সাথে থাকার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।
জাস্টিন ট্রুডো তার ইনস্টগ্রাম পোস্টে লিখেন, “অনেক অর্থপূর্ণ ও কঠিন কথোপকথনের পরে আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের ভালোবাসা ও একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখানোসহ যা আমরা করেছি তা সর্বদা চলমান থাকবে।”
ইনস্টগ্রামের এই পোস্টের পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে যেখানে ট্রুডো- সোফি দম্পতি যে বিচ্ছেদপত্রে সই করেছেন তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০০৫ সালের মে মাসের শেষের দিকে বিয়ে করেন জাস্টিন ট্রুডো ও সোফি দম্পতি। তাদের বর্তমানে তিন সন্তান রয়েছে।
জাস্টিন ট্রুডোর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু কথা:
জাস্টিন পিয়ের জেমস ট্রুডো জন্মগ্রহণ করেছেন ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। তিনি একজন কানাডীয় রাজনীতিবিদ। তিনি কানাডার লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে ২০১৫ সালে দেশটির ২৩তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
জো ক্লার্কের পর তিনি কানাডার দ্বিতীয় কমবয়সী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার পিতা পিয়ের ট্রুডোও কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অটোয়াতে জন্ম নেওয়া ট্রুডো কলেজ জঁ-দ্য-ব্রেবফে পড়ালেখা করেন। ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৪ সালে এবং ১৯৯৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে দেয়া একটি বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি সবার প্রথম জনসমক্ষে নিজের স্বীয় ব্যক্তিত্ব তুলে ধরেন।স্নাতক শেষ করে ট্রুডো ভ্যানকুভারের ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে চাকরি ছাড়ার আগে তিনি মন্ট্রিলের ইকোল পলিটেকনিক থেকে এক বছরের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম শেষ করেন।
২০০৫ সালে জাস্টিন ট্রুডো ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশগত ভূগোলে স্নাতকোত্তর শুরু করলেও এক বছর পরেই তা থেকে অব্যাহতি নেন। “দ্যা গ্রেট ওয়ার” নামক একটি টিভি মিনিসিরিজে তিনি নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগান।
বাবার মৃত্যুর আট বছর পর ট্রুডো রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন।২০০৮ সালের ফেডারেল ইলেকশনে তিনি হাউজ অব কমন্সে নির্বাচিত হয়ে লিবারেল পার্টির যুব ও সংস্কৃতি বিভাগের একজন সমালোচক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
পরবর্তী বছর তিনি নাগরিক ও ইমিগ্রেশন বিভাগের সমালোচকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে সেকেন্ডারি শিক্ষা এবং যুব ও শৌখিন খেলাধুলা বিভাগের সমালোচকের দায়িত্ব পান।
২০১৩ সালের এপ্রিলে ট্রুডো লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব পান। ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বে ১৮৪ এর মধ্যে ৩৬ টি আসন পেয়ে কানাডার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন নিয়ে লিবারেল পার্টি সরকার গঠন করে।
আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতন এর ভিডিও ভাইরাল