জানা অজানা অনেক প্রশ্নের বিষয়েই আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। হয়তো ভাবি, এটা ঠিক কিনা? এটা মানা যাবে কিনা? এর আরও কোন উত্তর আছে কিনা?
তো সব মিলে এখানে এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা সংযোজন করবো যার কারণে আপনার জ্ঞান শক্তি বাড়বে ইনশাআল্লাহ এবং আপনি অবশ্যই নতুন কিছু শিখতে পারবেন। তো আর কথা নয়, চলুন জেনে নিই জানা-অজানা প্রশ্নের উত্তরগুলো।
১. বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা কোন কোন বিষয়ের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলি এবং কী কী দেখতে পাই?
উত্তর: বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাই। অনেক বিষয়ের সাথেই নিজেকে জড়িয়ে ফেলি। অনেক পরিবর্তন দেখতে পাই। যেমন, যোগাযোগ না থাকলে সবাই আপনাকে ভুলে যাবে। আমাদের কোন বন্ধু-বান্ধবই আমাদের জন্য চিরস্থায়ী নয়। নিজের ভালো সবসময় নিজেকেই বুঝতে হবে। প্রতিষ্ঠিত হতে না পারলে কোন দাম থাকে না। আপনার পিছনে আপনার গীবত করবেই কিছু মানুষ – আপনি যতোই ভালো কাজ করেন না কেন। শিক্ষিত বেকার হওয়া আসলে বোকামী ছাড়া আর কিছুই না। সবাইকে সবকিছু বলা যাবে না। নিজের দুঃখগুলো নিজের মধ্যেই পুষে রাখতে হবে। কোনদিন আপনিও অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাবেন কারও কাছে। নিজেকে কখনোই অযোগ্য মনে করবেন না।
২. স্বামীকে কিভাবে উত্তেজিত করা যায়?
উত্তর: যৌন উদ্দেশ্যে বুকের দুধ পান করা একটি সাধারণ অভ্যাস নয় এবং এটি লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ যে, বুকের দুধ প্রাথমিকভাবে শিশুদের পুষ্টির উদ্দেশ্যে তৈরী। এটিতে গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি এবং অ্যান্টিবডি রয়েছে যা একটি শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য উপকারী।
যদিও বুকের দুধ সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের অল্প পরিমাণে খাওয়ার জন্য নিরাপদ, তবে এটি যৌন ব্যবহারের জন্য নয়। জড়িত ব্যক্তিদের সম্মতি এবং চুক্তি ছাড়া যৌন পরিতৃপ্তির জন্য বুকের দুধের সাথে জড়িত কার্যকলাপে জড়িত হওয়া ব্যক্তিগত সীমানা এবং নৈতিক বিবেচনার লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
যৌন ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে আপনার যদি নির্দিষ্ট ইচ্ছা বা আগ্রহ থাকে তবে আপনার সঙ্গীর সাথে খোলামেলা এবং সৎ যোগাযোগ থাকা অপরিহার্য। যেকোনো যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্মতি, সম্মান এবং বোঝাপড়া গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে একেবারেই নিষিদ্ধ।
৪. এমন কোন জিনিস আছে যা ছাড়া আপনার বাঁচার ইচ্ছাটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে?
উত্তর: অবশ্যই আছে। একেক জনের কাছে একেকরকম হতে পারে। তবে সর্বোপরি যে কথাটিতে সবাই একমত পোষণ করবেন তা হলো ‘মানসিক প্রশান্তি’। এই মানসিক শান্তি বা প্রশান্তি ছাড়া মানুষ বাঁচতে চায় না। কতো ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরা আত্মহত্যা করে। কেবল তাদের মধ্যে মানসিক শান্তি থাকে না বলেই এই অবস্থা। তাই মানসিক শান্তি নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করুন। আপনার মানসিক শান্তি কাউকে কেড়ে নিতে দিবেন না। নতুন কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাওয়ার আগে ভাবুন – এতে আপনার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে কিনা?
৫. জীবনে কোন বিষয়গুলো বর্জন করে চলা উচিত?
উত্তর: জীবনে অ্যাভোয়েট বা বর্জন করে চলার মতো অনেক বিষয় রয়েছে। তন্মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরা হলো। আশা করি, উপকারে আসবে।
(ক) ভুলেও পর্ণগ্রাফিতে আসক্ত হবেন না। কারণ, এই জিনিসটা আপনার মন-মানসিকতা মুহুর্তে পরিবর্তন করে দিবে। এমনকি আপনার মনে লেসবিয়ান (যদি মেয়ে হোন) বা গে (যদি ছেলে হোন) এর মত কাজ করার ইচ্ছা জাগবে। তাছাড়া মেয়েদেরকে বা ছেলেদের নিয়ে কল্পনায় অনেক কিছু ভেবে ফেলবেন, যা বাস্তব জীবনে হবে না।
(খ) বন্ধু সিলেক্ট করতে সর্বোচ্চ সতর্ক হোন। ভালো বন্ধু আপনাকে ভালো আউটপুট দিবে আর খারাপ বন্ধু আপনাকে যমের গর্তে নিয়ে যাবে। বন্ধুর এইসব ক্রিয়া আপনি বুঝে উঠতে পারবেন না। কিন্তু ধীরে ধীরে আপনাকে ভালো বা খারাপের দিকে নিয়ে যাবে।
(গ) আবেগ সামলিয়ে রাখবেন। আবেগে পড়ে জীবন ধ্বংস করবেন না। যদি আবেগে পড়ে কিছু করে বসেন, তাহলে সাময়িক আনন্দ পাবেন কিন্তু সারাজীবন কাঁদতে হতে পারে।
(ঘ) কখনো পৃথিবীর সবাইকে খুশি করার মন-মানসিকতা রাখবেন না। যেখানে অসংখ্য মানুষ সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে সেখানে আমি আর আপনি তো সাধারণ মানুষ।
(ঙ) কঠিন সময়ে যে আপনাকে সাহায্য করেছে এবং যে আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে তাদেরকে কখনো ভুলবেন না, কখনো না।
(চ) নেশা জাতীয় জিনিস ভুলেও টেস্ট করতে যাবেন না। কারণ, নেশা মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃস্ব করে ফেলে।
(ছ) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বা মাজারে সওয়াবের আশায় কখনো টাকা পয়সা দিবেন না। আপনি যদি ভালভাবে খোঁজ নেন তাহলে দেখবেন এরাও ব্যবসা করে।
(জ) মা-বাবার সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবেন না। এতে বিয়ে করার পর হোক আর আগে হোক। মনে রাখবেন, মা-বাবা কখনো সন্তানের খারাপ চান না। তাদের কাজের পদ্ধতি খারাপ হতে পারে কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য খারাপ হতে পারে না।
(ঝ) কারো ভক্ত হলেও অন্ধভক্ত হতে যাবেন না।
(ঞ) সোশ্যাল মিডিয়ার কাউকে ফলো করতে যাবেন না। নায়ক, গায়ক, নায়িকা, গায়িক-টায়িকা কারো না। এদের অভিনয় জীবন আর বাস্তব জীবনে অনেক পার্থক্য আছে।
(ট) আপনি এলাকার বা দেশের বাইরে গেলেও আপনার আপন নীড়ের কথা ভুলে যাবেন না।
(ঠ) সিনিয়রদের পরামর্শ ভালোভাবে শুনবেন। তাদের কথার উপর কথা বলার ট্রাই করবেন না। সবসমনে রাখবেন, তারা আপনার বয়স পার করে এসেছে।
(ড) শুধু ইমাম আর মাওলানাকে সালাম না করে রিকশাওয়ালাকেও করতে পারেন। মানে- সমাজের সবাইকে করতে করবেন।
(ঢ) মহিলাদের সম্মান করতে ভুলবেন না। রাস্তায় মেয়ে হেটে গেলে পিছন থেকে তাদের নিয়ে ‘মাল’ বলে কখনো মন্তব্য করবেন না। মনে রাখবেন, আপনার একটা বোন আছে বা বা মেয়েটি হতে পারে আপনার বউ।
(ণ) নতুন কিছু জানার আগ্রহ কমাবেন না। এর জন্য বিভিন্ন বই, পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা ওয়েবসাইট এ পড়তে পারেন। এই যে, ইন্টারনেটে আছেন কতকিছু শিখছেন আর বিভিন্নভাবে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে অন্যের উপকার করছেন – এগুলোই তো ভালো কাজের মধ্যে পড়ে।
(ত) কখনো কারো কষ্টের বা ভালো কাজের কৃতজ্ঞতা দিতে ভুলবেন না। কৃতজ্ঞতা জানালে সেই ব্যক্তিটা তার কষ্টের কথা ভুলে গিয়ে খুশি হয়ে যায়।
পরিশেষে বলবো, জানা অজানা হাজারো বিষয় রয়েছে যা আমাদের জীবনের সাথে জড়িত। ১ম পর্বে অল্প কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো। জানা অজানা বিভাগের ২য় পর্বে আশা করি, আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর পাবেন। সবাই ভালো থাকুন এবং করতোয়ার সাথেই থাকুন – ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন: সুস্থ থাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় সম্পর্কে জানুন