জানা অজানা অনেক প্রশ্নের বিষয়েই আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়। হয়তো ভাবি, এটা ঠিক কিনা? এটা মানা যাবে কিনা? এর আরও কোন উত্তর আছে কিনা?
তো সব মিলে এখানে এমন কিছু প্রশ্নের উত্তর আমরা সংযোজন করবো যার কারণে আপনার জ্ঞান শক্তি বাড়বে ইনশাআল্লাহ এবং আপনি অবশ্যই নতুন কিছু শিখতে পারবেন। তো আর কথা নয়, চলুন জেনে নিই জানা-অজানা প্রশ্নের উত্তরগুলো।
১. উন্নত বিশ্বের বিচার ব্যবস্থা কেমন? উন্নত বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের একটু তুলনা জেনে নিন।
উত্তর: ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসরঘর সাজিয়ে প্রতিরাতে একজন ছাত্রীকে ধর্ষন করা হতো, এভাবে একশত ধর্ষন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি বিতরণ করে উল্লাস করেছিলো ক্ষমতাসীন দলের সোনার ছেলে “জসিমউদদীন মানিক” এরও একটা বিচার হয়েছিলো, তবে ফাঁসি হয়নি।
দিবালোকে রামদা দিয়ে রাস্তায় প্রকাশ্যে খাদিজাকে কুপিয়ে তার মাথা কয়েকভাগ করে সিলেটের বদরুল। খাজিদার ভাগ্য ভালো মরতে মরতে বেঁচে গেছে। বদরুলেরও একটা বিচার হয়েছে তবে খুব বেশি কিছু হয়নি।
২০১৮ সালে বগুড়ার বানারিপাড়ায় মা-মেয়েকে একসাথে ধর্ষন করে মাথা নেড়ি করে দেয় প্রভাবশালী তুফান। তুফানেরও একটা বিচার হয়েছে, তবে ফাঁসি হয়নি।
সংরক্ষিত এলাকা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এর ভিতরে তনুকে ধর্ষন করার পর হত্যা করা হয়। কে বা কারা জড়িত তা কিন্তু গোয়েন্দা বাহিনী ভালো করেই জানে, কিন্তু তনুর ধর্ষনকারী কেউ গ্রেফতার হয়নি আজ পর্যন্ত। .
৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দিনের বেলায় যুবতি মেয়ের সামনে তার মাকে দল বেঁধে ধর্ষণ করার পর প্রহার করা হয়।১৮ কোটি মানুষ এর সাক্ষী। ধর্ষক রুহুল আমীনের ফাঁসির দাবি উঠলেও ফাঁসি কিন্তু হয়নি।
কিছুদিন আগে ঢাকার এক আবাসিক এলাকায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। ধর্ষক আটক হয়েছে তবে তারও কিন্তু এখনও ফাঁসি হয়নি।
গত কয়েক বছর আগে দেখলাম, ৩ বছরের শিশুর যৌনাঙ্গ ব্লেড দিয়ে কেটে ধর্ষন করে হত্যা করা হলো। সেই ধর্ষকও গ্রেফতার হয়েছে তবে ফাঁসি কিন্তু হয়নি।
এভাবে আরো কতো ধর্ষণ হচ্ছে মা বোনেরা – তার হিসাব রাখে কে? ধর্ষকরা জেলে যায় ঠিকই কিন্তু ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে আবার বেরিয়ে আসে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি আর হয়না।
আমরা ধর্ষকের ফাঁসি চাই সবাই, কিন্তু দেশে কি সেই আইন আছে? ধর্ষকের শাস্তি জনসম্মুখে মৃত্যুদন্ড মাত্র তিন চারটা দিয়ে দেখুন, ধর্ষনতো দূরের কথা, কোনো মায়ের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস পাবে না কোন কুলাঙ্গার।
এবার বিভিন্ন দেশে ধর্ষণের সাজা সম্পর্কে জেনে নিই:
ক. আমেরিকা: ধর্ষিতার বয়স ও ধর্ষনের মাত্রা দেখে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড।
খ. রাশিয়া: ২০ বছর সশ্রম কারাদন্ড।
গ. চীন: কোনো ট্রায়াল নেই, মেডিকেল পরীক্ষার পর মৃত্যুদন্ড।
ঘ. পোল্যান্ড: হিংস্র বুনো শুয়োরের খাঁচায় ফেলে মৃত্যুদন্ড।
ঙ. মধ্যপ্রাচ্য আরব দুনিয়া: শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত পাথর ছুড়ে মৃত্যু। ফাঁসি, হাত-পা কাটা অথবা যৌনাঙ্গ কেটে অতি দ্রুততার সাথে মৃত্যুদন্ড দেওয়া।
চ. সৌদি আরব: শুক্রবার জুম্মা শেষে জনসম্মুখে শিরচ্ছেদ।
ছ. দক্ষিন আফ্রিকা: ২০ বছরের কারাদন্ড।
জ. মঙ্গোলিয়া: ধর্ষিতার পরিবারের হাত দিয়ে মৃত্যুদন্ড দিয়ে প্রতিশোধ পূরণ।
ঝ. নেদারল্যান্ড: ভিন্ন ভিন্ন সাজা।
ঞ. আফগানিস্তান: ৪ দিনের ভিতর গুলি করে হত্যা।
চ. মালয়শিয়া: মৃত্যুদন্ড;
আমাদের বাংলাদেশে আইন আছে কিন্তু বর্তমানে যা হয় (মূলত আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই):
প্রতিবাদ, ধর্না, তদন্ত, কয়েকসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন, সমঝোতার চেষ্টা, ঘুষ দেওয়া, প্রভাবশালীদের লোক, ধমক-চমক, মেয়েটির চরিত্র নিয়ে গবেষণা, বোরকা পরে ছিলো কি না, সংবাদমাধ্যমে আলোচনার আসর, রাজনীতি করন, জাতি নির্ধারণ, জামিন, ফের ধর্ষণ এবং সবশেষে কোন কোন সময় মেয়েটির আত্মহত্যা।
আসলে এমনটা আমাদের কাম্য নয়। ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি হোক আমরা সবাই চাই। দেশে ধর্ষণের শাস্তি ঠিকঠাক এবং দ্রুত হলে ধর্ষণ অবশ্যই কমে যাবে। সমাজ আর কলুষিত হবে না। (কুয়োরা থেকে নেয়া)
২. আবেগ কমানোর কিছু উপায়ের কথা বলুন।
উত্তর: আবেগ আসলে ভেতর থেকে তৈরী হয়। এটা ইচ্ছে করলেই শেষ করা যায় না। তারপরেও কিছু পয়েন্ট তুলে ধরা হলো যেগুলো আপনার আবেগ কমাতে কাজে লাগতে পারে।
ক. নিজেকে বেশি বেশি ভালোবাসতে হবে।
খ. আপনার জীবনের গোল বা লক্ষ্য কি তা নির্ধারণ করতে হবে।
গ. সবসময় প্রোডাক্টিভ থাকার চিন্তা-চেতনা থাকতে হবে।
ঘ. আপনার নিজের জীবন সম্পর্কে সর্বদা সচেতন থাকুন।
ঙ. নিজের গোপনীয়তা সবসময় প্রকাশ করে ফেলবেন না।
চ. জীবন মান উন্নত করার জন্য সম্পদ অর্জন করুন। কোন কোন সময় সম্পদ ছাড়া ইবাদতেও ত্রুটি ঘটে।
ছ. আপনার পরিবারকে যতোটা সম্ভব ভালোবাসুন।
জ. আবেগ দিয়ে শুধু হারানো যায়, জীবনে কিছু অর্জন করা যায় না – এই কথা নিজে বুঝতে শিখুন।
ঝ. সবসময় অ্যাট্রাকশন থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।
ঞ. আবেগ নয় – বিবেক দিয়ে চিন্তা করতে শিখুন।
আপডেট হবে…
আরও পড়ুন: জানা অজানা কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে নিই – পর্ব ০১