আমরা জানি, আইপিএল এর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল হলো চেন্নাই সুপার কিংস। যতগুলো আসর হয়েছে তাতে তারা সব মিলিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে রয়েছে। ধারাবাহিকতায় তারাই সবচেয়ে এগিয়ে।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন দলটিই এবার চার ম্যাচের সব কটিতে হেরে গেছে। সবাই অবাক তাদের এ পরিস্থিতি দেখে।
টানা চতুর্থ বার হেরে যাওয়ার পরে তাদের সফল কোচ স্টিভেন ফ্লেমিং খুব হতাশ হয়ে বলেছেন যে, তাদের উন্নতি করতে হবে সব জায়গায় অর্থাৎ ব্যাটিংয়ে, বোলিংয়ে এবং ফিল্ডিংয়ে।
এবার যখন তারা খেলতে নামে তখন একটি বেশ বড় পরিবর্তন এসেছিল চেন্নাই দলে। হয়তো সে পরিবর্তনটি দলটি ধরে রাখতে পারেনি। যিনি এই দলের শুরু থেকেই নেতৃত্বে ছিলেন অর্থাৎ মহেন্দ্র সিং ধোনি তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজার হাতে।
কিন্তু ধোনির অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেয়ার সাথে সাথে যেন চলে যায় চেন্নাই দলের যাদুর পরশও। কেননা, চারবারের চ্যাম্পিয়ন দলটি ও পাঁচবারের রানার্স আপ দলটি যেন ভুলেই গেছে কিভাবে জিততে হয়।
চেন্নাই দলটি বলেছে যে, এবারের মতো বাজেভাবে শুরু ইতিপূর্বে কখনো হয়নি। পূর্বে কখনোই এক সাথে এতগুলো ম্যাচ তারা হারেননি। এবার এমনভাবে হেরেছে যা অকল্পনীয়। খেলা যারা দেখেছেন তারা কোনো ভরসাই পাননি চেন্নাই দলের জেতার বিষয়ে।
অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দারাবাদের কাছে শনিবার ৮ উইকেটে হেরে যাওয়ার পরে কোচ ফ্লেমিং বলেছেন যে, তাদের কোন কিছুই যেন ঠিক নেই।
তিনি আরও বলেছেন যে, কেন এটি পরিষ্কার হচ্ছে না যে আমাদের সমস্যা কোথায়। বেশি বেশি ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে কাজ করতে হবে আমাদের এবং সামনের দিনগুলোতে অবশ্যই ভালো করতে হবে। তাহলেই আমরা আর হেরে যাবো না। চেন্নাই সুপার কিংস কে আবার আগের জায়গায় ফিরে আসতে হবে।
এই টুর্নামেন্ট শুরুর পূর্বেই চেন্নাই দলটি ধাক্কা খায় কেবল দিপক চাহারকে হারনোর কারণে। নিলাম হয়েছে এবং নিলামে প্রবল লড়াই হয়েছে যেখানে ১৪ কোটি রুপিতে দলে নেয়া পেসার চোট নিয়ে ছিটকে যান টুর্নামেন্ট থেকে। এটা বড়ই দুঃখের কারণ হয়ে দাড়ায় দলটির জন্য। আর প্রথম ম্যাচের পর থেকেই চোট নিয়ে বাইরে আছেন নিউজিল্যাণ্ডের ফাস্ট বোলার অ্যাডাম মিল্ন।
এছাড়াও দল যাদের ওপর ভরসা করে, তাদের পারফরম্যান্স এখনও পর্যন্ত ছন্নছাড়া। ফ্লেমিং বললেন, ফেরার পথ খুঁজছেন তারা। কিন্তু ভবিষ্যতে কি হবে সে সম্পর্কে আগেই বলা যাচ্ছে না কিছু। তবে তারা আশা ছাড়েননি।
জাদেজা ফ্লেমিং বলেন, “সম্ভবত খেলার প্রতিটি বিভাগই দুর্ভাবনার জায়গা, কোনো একটি জায়গা না হলে সবগুলোই। আজকে আমরা স্রেফ পাত্তাই পাইনি। বলতে পারেন, এখনও শিখতে হচ্ছে আমাদের। খেলোয়াড়দের পাওয়া নিয়ে কিছু ঝামেলায় পড়তে হয়েছে আমাদের, কিছু জায়গায় শক্তির ঘাটতি আছে।”
তিনি আরো বলেন, “এমন কিছু আমরা পাইনি, যেখান থেকে আত্মবিশ্বাসের রসদ মিলতে পারে। কোনো ম্যাচ জিততে পারছি না। জয়ের কাছাকাছিও যেতে পারছি না। তখন মনের মধ্যে সংশয় কাজ করে এবং ক্রিকেটাররাও একটু দ্বিধায় থাকে। আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি এবং চেষ্টা করছি, ছন্দে ফিরে দ্রুত টুর্নামেন্টে ঘুরে দাঁড়াতে।”
আরও পড়ুন: লাইভ ভিডিও করলেন ছাত্রলীগ নেতা পরীক্ষার হলে নিজেই।
বস্তুত যেভাবে চেন্নাই দলটি হেরে গেছে তা মেনে নেয়ার মতো নয়। কোচ কোনো ভুল করেনি। কিন্তু হঠাৎই দলের পারফরম্যান্স কেন জানি কমে গেছে। দলের সবাই কোচ এর কাছে হার না মানার গল্প শুনতে রাজি যাতে করে তারা ভবিষ্যতে এই বদনাম রটাতে পারে। চেন্নাই সুপার কিংস যাতে আবার সুপার হয়ে ফিরে আসতে পারে।