মাত্র এক সপ্তাহ আগেও ডিমের ডজন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের ক্ষেত্রেও এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। চাল ও ডিম এর দামে আবারও আগুন লেগেছে।
ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গিয়েছে যে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে ২ টাকা হারে। কেউ যদি এক বস্তা চাল কিনতে চায় তবে তাকে ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হবে।
বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিকগণ ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখেছেন যে, বাড্ডা, রামপুরা ও মহাখালী এলাকার বাজারে ৫২ টাকায় বিক্রি হওয়া মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকায়।
এটা অবশ্য কেজি প্রতি হিসাব। চালের ব্রাণ্ডগুলো হলো স্বর্ণা ও লতা। অন্যদিকে, কয়েকদিন আগে মিনিকেট চাল ৭৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭৬ টাকা দরে। আবার কোথাও কোথাও ৭৮ টাকাও হয়ে গেছে।
বাজারে চালের দাম এমন হওয়ায় ক্ষুব্ধ জনতা। সরেজমিনে একজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, “প্রতি সপ্তাহে দাম বাড়ে। অন্য কিছুর দাম বাড়লে সামলানো যায় কিন্তু চালের দাম বাড়লে কখনোই সামলানো যায় না। তাহলে তো না খেয়ে থাকতে হবে।”
বাজারে চালের দাম কেন এত উর্দ্ধমুখী তা জানতে চাইলে উত্তর বাড্ডার “বরিশাল রাইস এজেন্সির” মালিক শওকত হোসেন বলেন, ভারত চালের ওপরে ২০ শতাংশ ট্যাক্স বসাইছে। এতে কইরা আমদানি খরচ বাড়ছে। অন্যদিকে, বন্যায় এবার ফলন এমনিতেই কম হইছে। বাজারে চাল আসেই কম, দাম তো একটু বেশিই থাকবো।
আরেক চাল ব্যবসায়ী আকবর আলী খান বলেন, মোকামে প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা করে। বাড়তি টাকা দিয়েও চাহিদা মতো বাজারে চাল পাওয়া যাচ্ছে না। মোকামে দাম না বাড়লে আমরা তো দাম বাড়াই না।
অন্যদিকে, চালের পাশাপাশি ডিমেরও দাম বেড়েছে। বাজার থেকে শুরু মুদির দোকানগুলোতে ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। ডিমের দাম হঠাৎ করে এতো বেড়ে যাওয়ায় সাধারন মানুষ বিপাকে পড়েছে।
ডিমের বাড়তি দাম প্রসঙ্গে উত্তর বাড্ডার এক দোকানদার বলেন যে, পাইকাররা একেক দিন একেক রেট দেয় টানা চার দিন ধরেই এমন দাম বাড়তেছে। আমাদের করার কিছুই নেই।
স্কুল শিক্ষিকা মুমতাহিনী নওশীন বলেন, ঠিক করেছি ১৫ দিন ডিম খাবো না। আমরা সাধারন মানুষ’রা যদি ডিম না কিনি তবে ডিমের দাম এমনিতেই কমে যাবে। আর ডিম তো আর মাসের পর মাস মজুত রাখার বস্তু নয়।
পরিশেষে বলা যায়, চাল ও ডিম দুটোই নিত্য প্রয়োজনীয়। মানুষ প্রতিনিয়ত এগুলো কিনে খায়। সরকারের উচিত ডিম আর চালের দাম হাতের নাগালে রাখা। তাহলে সাধারন মানুষ দুবেলা ভাত খাওয়ার সাথে সাথে পুষ্টির চাহিদাও খানিকটা পূরণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন সামান্য ব্যবহারেই গরম হয়ে যায়? সমাধান জেনে নিন।