ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর নাগাদ এটি উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানবে।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ মমিনুর রহমান আজ (২৪ অক্টোবর, ২০২২) বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে এগিয়ে আসার পর থেকে ৫২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া উদ্বাস্তুদের জন্য আটটি মুজিব দুর্গ (আশ্রয়কেন্দ্র) প্রস্তুত করা হয়েছে যেখানে বহু মানুষ তাদের জীবন বাঁচানোর স্বার্থে আশ্রয় নিতে পারবে।
সতর্ক সংকেত জারি হওয়ায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই সব মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে আশাবাদী সেখানকার স্থানীয় প্রতিনিধি’রা – বিভিন্ন পত্রিকায় এমনটাই উঠে এসেছে।
সিপিপির রেড ক্রিসেন্টের ৮,০০০ এরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক লাউডস্পিকারের মাধ্যমে স্থানীয়দের অবহিত করছে এবং লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করবে, ডিসি বলেছেন।
এছাড়াও, কর্ণফুলী সেতুর কাছে সাগর ও নদীতে লাইটারেজ জাহাজ সরানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
যেসব বিদেশি ওই এলাকায় কাজ করছে, তাদেরও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত জেলেদের মধ্যে কয়েকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ভূমিধসের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন, “বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বেচ্ছাসেবকরা মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত।” পরিস্থিতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরনগরীতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং অগ্রসর হয়ে কোন দিকে যাচ্ছে? সর্বশেষ তথ্য জানুন।