কোকা কলা আমাদের জন্য খুব পরিচিত একটি বিষয়। অনেকেই বলে কোকা কোলাতে শুকরের চর্বি ব্যবহার করা হয়। সত্যিকার অর্থে কি আজ তা জানতে পারবেন।
কোকা কোলা ছাড়াও আরো কিছু বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। সঠিক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আশা করছি, প্রতিটি তথ্যই আপনাদের ভালো লাগবে। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
১. মহিলাদের জন্য সেরা পরামর্শটি কী হতে পারে?
ক্যামস্ক্যাম থেকে সাবধান থাকুন। চেঞ্জিং রুমে ঢোকার আগে কোথাও কোনও লুকানো ক্যামেরা আছে কিনা তা একবার পরীক্ষা করে দেখে নিন।
আপনার কয়েকটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তই আপনার গোপনীয়তা সুরক্ষিত করতে পারে। আপনারা হামেশাই শুনে থাকবেন কী রকম করে কিছু ঘৃণ্য মানসিকতার লোকেরা উঁকি ঝুঁকি মেরে মেয়েদের গোপনীয়তা নষ্ট করে। তাই এই ব্যাপারটি সবসময় গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করুন।
২. কারও ফাঁসি হলে ফাঁসির আগে জল্লাদ আসামীর কানে ফিস ফিস করে কি বলে?
জানা গেছে, ফাঁসির দিন অপরাধীকে খুব ভোরে ঘুম থেকে তোলা হয়। এরপর তাকে পছন্দের খাবার খাওয়ানো হয়। তারপর তাকে গোসল করানো হয়।
এরপর ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। ফাঁসি কার্যকরের সময় আসামির সবচেয়ে কাছে থাকে জল্লাদ। জল্লাদ প্রথমে আসামির কানের কাছে গিয়ে মুসলিম হলে সালাম দেয় আর হিন্দু হলে রাম রাম বলে।
এরপর জল্লাদ আসামির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। আসামিকে কর্তব্যের কাছে তিনি বাঁধা বলেও জানিয়ে দেন। এরপর আসামির ফাঁসি কার্যকর করেন।
৩. কোকা কোলা সম্পর্কে সত্য কিছু তথ্য:
ক) সত্যিই কি শুকরের রক্ত/মাংস/চর্বি কি ব্যবহার হয়?
এটা যদিও হাস্যকর তবুও বলি কোকাকোলার ফ্যাক্টরিতে কোন শুকরের রক্ত/মাংস/চর্বি প্রসেসিং করার মত কোন অংশ নেই। সুতরাং শুকরের রক্ত/চর্বি যোগ করার কোন প্রশ্নই আসে না।
প্রতিদিন কোকাকোলা ১.৮ বিলিয়নের বেশি কোকের বোতল বিক্রি করে। পৃথিবীতে মানুষ আছে ৭.৫ বিলিয়ন। তারা যদি শূকরের রক্ত/চর্বি যোগ করতোই তাহলে সেটা পূরণ করার জন্য প্রচুর শূকরের প্রয়োজন হতো। এটা গোপন রাখা খুবই কঠিন হবে।
খ) তাহলে কোকাকোলা কিভাবে বানায়?
কোকাকোলা বানানোর প্রসেস অনেকটা অন্যান্য বেভারেজ ফ্যাক্টরির মতই। তবে কোকাকোলা কোয়ালিটি ম্যান্টেইন করার ব্যাপারে কোন ছাড় দেয় না।
কোকাকোলা কোন উপাদান, কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎপাদন করে সেটা তাদের ট্রেড সিক্রেট। এটা বাইরে প্রকাশ করা অন-ইথিকাল এবং আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
আর আমরা বাইরে কিছু প্রকাশ করবো না, এমন শর্তেই ফ্যাক্টরি ভিজিট করেছিলাম। তাই তাদের উপাদান এবং উৎপাদন প্রসেস সম্পর্কে বলতে পারলাম না।
কোকাকোলা উৎপাদন নিয়ে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির একটা ডকুমেন্টারি আছে, সেটা দেখলেই ধারনা পেয়ে যাবেন।
গ) কোকাকোলার কালো রং কিভাবে আসে?
কোকাকোলার কালো রং আনার জন্য কোনো ধরনের কালার ব্যবহার করা হয়না। চিনিকে (সুগার) হিট দিয়ে প্রসেসিং করার কারনে কালো রং আসে, যা সম্পূর্ন ন্যাচারাল।
ইন্টারন্যাশেনাল বেভারেজ লিমিটেড সম্পূর্ন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে। এখানে শ্রমিক নেই বললেই চলে। কোক ছাড়াও স্প্রাইট এবং ফান্টা একই ফ্যাক্টরিতে একই যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে বানানো হয়।
৪. বাংলাদেশের কোকাকোলার ব্যাপারে কিছু তথ্য:
ক) কোকাকোলার প্লাস্টিকের বোতল সাপ্লাই করে “প্রাণ”।
খ) বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশুদ্ধ পানি কোকাকোলা উৎপাদনের জন্য বানানো হয়, IBL ১২টি ধাপে পানিকে বিশুদ্ধ করে। যা দেশের অন্য কোন ফ্যাক্টরিতে করে না।
গ) কোকাকোলার বোতল উৎপাদনের জন্য ভার্জিন প্লাস্টিক (আগে কখনো ব্যবহার হয়নি এমন প্লাস্টিক) ব্যবহার করা হয়।
বিশ্বে প্লাস্টিক দূষনে এরা এজন্য এগিয়ে আছে। কোকাকোলা ফ্যাট জাতীয় খাবার, আপনার স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে কোমলপানীয় এড়িয়ে চলা উচিৎ।
যদি ন্যাচারাল ফ্লেভার নিয়ে খুতখুতে থাকেন, তাহলেও কোক এড়িয়ে চলতে পারেন। তবে কোকাকোলা সবচেয়ে বিশুদ্ধ উপায়ে কোক যাতে আপনাদের হাতে পৌছে দিতে পারে সেই চেষ্টা করে। তাই নিশ্চিন্তে কোকাকোলা খেতে পারেন।
উৎস: ইন্টারনেট
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি আসলে কি? আমাদের দেশ কোথায় যাচ্ছে?