বিভিন্ন কারণে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। যেমন- বাতাসের চাপের তারতম্য, তরল পদার্থের চাপ, কঠিন বস্তুর আঘাত ইত্যাদি।
বায়ুচাপের কারণে কানের পর্দা ছিঁড়ে যাওয়ার পেছনে কারন হিসেবে থাকতে পারে- কানের ওপর ঘুষি বা থাপড়ের আঘাত, বোমা বা পটকার বিস্ফোরণ ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে পর্দার সামনের এবং নিচের দিকের অংশে ক্ষত সৃষ্টি হয়।
ক. তরলজনিত পারফোরেশনের কারণেও এমন হতে পারে। যেমন-
১. সিরিঞ্জিং:
ক্যালরিক টেস্ট কঠিন বস্তুর কারণে পর্দা ছিন্ন হতে পারে, যদি বাইরে থেকে কোনো কিছু কানে ঢুকে যায় অথবা সেই ঢুকে পড়া বস্তুকে যদি অপসারণের প্রয়াস না নেওয়া হয় তবে এমন হতে পারে।
চিকিৎসা: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কানের পর্দা এমনি এমনি জোড়া লেগে যায়। চিকিৎসার তেমন কোনো কিছু প্রয়োজন হয় না।
চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, যদি টিস্যু নষ্ট হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে সংক্রমণ সৃষ্টি হয়। তখন অপারেশনের মাধ্যমে কানের পর্দা জোড়া লাগানো যায়।
খ. পারফোরেশন ছাড়া কানে আঘাত থেকেও এমন সৃষ্টি হতে পারে। যেমন-
হাড়ের বিচ্যুতি অন্তঃকর্ণের ক্ষতি, শোঁ শোঁ শব্দ, ফেসিয়াল নার্ভের ক্ষতি ইত্যাদি। চিকিৎসক’কে নিজে থেকেও ছুরি চালাতে হয় কানের পর্দায়, যখন তিনি মাইরিংগোটমি অপারেশন করেন।
মধ্যকর্ণের প্রদাহ এবং পানি জমে গিয়ে শ্রুতি-স্বল্পতা প্রতিরোধের জন্য ওই চিকিৎসা তো করাই হয়। সেই ছিদ্রকে নির্দিষ্ট সময়কাল সচল রাখার জন্য গ্রমেট নামের ছোট বায়ু-বোতাম বসিয়ে দেন অটোলজিস্টরা। কিন্তু যেমন তেমন কারণে কানের পর্দা ফেটে গেলে আমরা পরিতাপ না করে পারি না।
পর্দার ক্ষত ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে জোড়া লাগে না এবং আর পাঁচজন কান পাকা রোগীর মতো ভাগ্য বরণ করতে হয়। সামাজিক অস্থিরতার কারণে, অসচেতনতার কারণে শারীরিক শাস্তি দেওয়ার যে প্রবণতা আমাদের চারপাশে, পরিবারে ও সমাজে এসবেরই ফলস্বরূপ কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সংখ্যা খুব বেশি।
পরিশেষে বলা যায়, কান শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। কান নষ্ট হয়ে গেলে পৃথিবীতে খুব কষ্ট করে চলতে হয়।
তাই কান চুলকালে যেমন তেমন কোন কিছু দিয়ে চুলকাবেন না। কটন বাড ব্যবহারেও সাবধানতা অবলম্বন করবেন। গোসলের সময় যাতে কানে পানি না ঢুকে সেদিকটাও নজর রাখবেন।
আর কানে যদি কোন সমস্যা হয়েই যায় তবে অনুগ্রহ করে বিভিন্ন কুসংস্কার ন্যায় চিকিৎসা না নিয়ে ভালো কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভালো ও অভিজ্ঞ চিকিৎসক বলতে এখানে একজন নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বোঝানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেটের ফাঁটা দাগ বা স্ট্রেচ মার্ক দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন।