করোনা ভাইরাস:
কোভিড-১৯ যা করোনা ভাইরাস নামে পরিচিত বর্তমানে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোর প্রধান শিরোনামে পরিণত হয়েছে। এশিয়া সহ বিশ্বের সকল উপমহাদেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে সাধারণ কিছু সতর্কতা (মাস্ক পড়া) অবলম্বন করে আপনি কিছুটা স্বস্তি পেতে পারেন। নিজেকে একটু নিরাপদ রাখতে পারেন। এতে করে আপনার উপর করোনা ভাইরাসটির আক্রান্ত করার ঝুঁকি কমতে পারে।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত করলে খুব সাধারণ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। সাধারণত শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হয়। তবে সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এবং হালকা জ্বর সহ আরো কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
তবে কিছু মানুষের জন্য এই ভাইরাস অতি বিপদজনক হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অর্গান বিপর্যয়ের মতো ঘটনাগুলোও ঘটতে পারে। তবে খুব বেশি মানুষকে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত করে না এই ভাইরাস।
সাধারণত বয়স্ক এবং আগে থেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই ভাইরাসটি অতি সহজেই আক্রান্ত করতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে অসুস্থ্য হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি। সুতরাং বয়স্ক এবং আগে থেকে অসুস্থ্য ব্যক্তিদের খুব সাবধানে থাকা উচিত।
তো এখন আমরা জানবো করোনা ভাইরাসের যেসব লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে অবশ্যই যেতে হবে:
১। শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যা: বুকে ব্যথা হওয়া এবং তার সাথে শ্বাস কষ্ট হওয়া করোনা’র মারাত্মক লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়। করোনা ভাইরাস সাধারণত সুস্থ্য কোষগুলোকে আক্রান্ত করে। আপনার যদি শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হয় তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২। অক্সিজেনের মাত্রা ওঠানামা করা: নিজের সুবিধার জন্য একটি উন্নত মানের পালস অক্সিমিটার সাথে রাখতে পারেন। করোনাকালে এটি খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। করোনার লক্ষণ থাকলে আপনার নিউমোনিয়া হতে পারে এবং এরপর ফুসফুসে সংক্রমণ হতে পারে। আপনি পালস অক্সিমিটার দিয়ে অক্সিজেনের মাত্রা চেক করুন। প্রায় সময়ই যদি তা ওঠানামা করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩। বিভ্রান্ত হয়ে পড়া: করোনা শুধু ফুসফুসেই নয়, আপনার মস্তিষ্ক ও স্নায়ুগুলোর উপরও প্রভাব ফেলে তথা আক্রমণ করে। ঘুমের পরিমাণ কমে যাওয়া, বিভ্রান্তি অনুভব করা, ভুল বলা, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া ইত্যাদি হলো করোনার তীব্রতর লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই দ্রুত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪। বুকে ব্যথা হওয়া: বুকে ব্যথা নানা কারণেই হয়ে থাকে। করোনাকালে যেকোন ধরণের বুকের ব্যথাকেই স্বাভাবিক হিসেবে নেয়া উচিত নয়। করোনা ভাইরাস সাধারনত ফুসফুসের মিউকোসাল লাইনিংগুলোকে আক্রমণ করে থাকে। তখন এই বিষয়টিই বুকে ব্যথার কারণ হয়। তাই আপনার বুকে ব্যথা খুব তীব্রতর হয় তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫। ঠোঁট নীল হয়ে যাওয়া: আপনার শরীরে যদি অক্সিজেনের স্যাচুরেশন কমে যায় তবে মুখ আর ঠোঁটের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। করোনার এটি একটি ভয়াবহ লক্ষণ। এরকম লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: শরীর ও মন ভালো রাখতে করণীয় কি তা জানুন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্ত করলে আপনার শরীরে আরও কিছু সাধারন লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে। যেমন- গলা ব্যথা, খুশখুশে কাশি, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া, স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া সহ ইত্যাদি। তাই এসব লক্ষণ যদি দেখা দেয় তবে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন বাড়িতেই চিকিৎসা করাবেন নাকি হাসপাতালে যাবেন। কারন, দেরি করলেই মহাবিপদ হতে পারে।