পাকিস্তানের ন্যাশনাল একাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) সম্প্রতি পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বেগমকে তলব করেছে।
আল-কাদির নামক ট্রাস্ট মামলার তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবারই তাদের জরুরী ভিত্তিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। জানা যায়, এনএবি টিমের দুই জন সদস্য ইমরান খানের বাড়িতে এ চিঠি দিয়ে যায়।
তবে পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা এতে সাড়া দেবেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ইমরান খানের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্যও করা হয়নি।
সম্প্রতি ডন এ নিয়ে এক পিটিআই নেতার সাথে কথা বলেছে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, এনএবি প্রসিডিংসে অংশ নেবেন কিনা তা এখনও সিদ্ধান্তের বাইরে। তিনি সিদ্ধান্ত নিলে আমরা জানাতে পারবো।
তবে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট থেকে ইমরান খানকে যখন দুই সপ্তাহের জামিন দেয়া হয়েছিল তখন আদালত তাকে এনএবি তদন্তে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছিল।
সেদিন আদালত এভাবে বলে দিয়েছিল যে, “যখন এনএবি তলব করবে তখনই ইমরান খানকে হাজির হতে হবে। নইলে তার জামিন বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়”।
আরেক সুত্র অর্থাৎ জিও টিভির মাধ্যমে জানা যায়, ইমরান খান হয়তো সত্যিই এনএবি’র তলবে সাড়া দেবেন না। তিনি তার বাসভবনেই থাকবেন এবং লিখিতভাবে তাদের প্রশ্নের উত্তর পাঠাবেন। ইমরানের যে আইনি দল রয়েছে তাদের পরামর্শেই হয়তো এমনটা করবেন বলে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দূর্নীতি মামলা সংক্রান্ত ২০টি প্রশ্নের লিখিত জবাব তিনি পাঠিয়ে দেবেন বলে বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে। হয়তো দুই এক দিনের ভেতরে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
অন্যদিকে, এনএবি পিটিআই চেয়ারম্যান খান’কে এনসিএ তদন্ত এবং আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত সকল নথি নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে যদি খান সাহেব দ্বিমত পোষণ করে তবে দূর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমরাহ পালনকালে স্ত্রীর মৃত্যুতে স্বামীর আবেগঘন পোস্ট