আলসেমি কম বেশি প্রায় মানুষের মধ্যেই থাকে। এটা কখনো জীবনের জন্য কল্যাণ বয়ে আয়ে না। বরং আলসেমি করলে শরীর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে।
আজ আমরা আলসেমি দূর করার কিছু উপায় সম্পর্কে জানবো। আশা করি, তথ্যগুলো আপনাদের দারুন কাজে লাগবে। তো আর কথা নয় – সরাসরি যাচ্ছি মূল আলোচনায়।
ক্লান্তি দূর করতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চা বা কফি পান করা হয়। তবে এই পানীয়গুলোর ক্যাফেইন সাময়িকভাবে শরীর চাঙ্গা রাখলেও কিছুক্ষণ পর তা আরও ক্লান্ত করে তুলতে পারে।
লাইফ স্টাইল বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ক্লান্তি দূর করার কিছু সহজ এবং উপকারী পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে মূলত ঐ পয়েন্টগুলোই তুলে ধরা হলো।
বডি ম্যাসাজ: হাত, পা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ‘প্রেশার পয়েন্ট’ রয়েছে। যেখানে মালিশ করার মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের ফলে তা ক্লান্তি দূর করে শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
পায়ের পাতার উপরের মাঝামাঝি অংশে হাতের আঙুলের সাহায্যে চাপ প্রয়োগ করে কয়েক সেকেন্ড মালিশ করা হলে অবসাদ দূর হয়। তবে অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছে এই মালিশ করানো উচিত।
গান শুনুন এবং তাল মেলান: রাস্তায় যানজটে বসে থাকার সময় এবং অতিরিক্ত কাজের চাপে নিজের পছন্দের গান শোনা যেতে পারে বা গুনগুন করে গাইতে পারেন।
মনোবিজ্ঞানিরা গবেষণায় দেখছেন, যখন প্রাণ খুলে গান গাওয়া হয় বা পছন্দের গানের সঙ্গে তাল মেলানো হয় তখন শরীরে সুখের হরমোন নিঃসরণের পরিমান বৃদ্ধি পায়। তবে এক্ষেত্রে শুধু শুনলেই চলবে না, ভালো ফল পেতে চাইলে তাল মেলাতে হবে।
চুইংগাম চাবান: গবেষণায় দেখা গেছে চুইংগাম চাবালে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় এবং মন ভালো থাকে। তাছাড়া এতে হৃদপিণ্ডের গতিও বৃদ্ধি পায়। এবং শরীরে শক্তি সঞ্চারিত হয়।
হাঁটাহাঁটি করুন: শরীরের ক্লান্তি দূর করে চাঙ্গা হয়ে উঠতে ব্যায়াম বেশ উপযোগী। এক্ষেত্রে সকালে ২০ মিনিট হাঁটলে শক্তি বৃদ্ধি পায়, কারণ এতে করে শরীরে রক্ত সঞ্চালন হয় দ্রুত।
সূর্য স্নান: গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ঘরের বাইরে খুব অল্প সময় কাটান এবং বেশিরভাগ সময় চার দেয়ালের মধ্যেই থাকেন তাদের মধ্যে অবসন্নতা বেশি কাজ করে।
শরীরের জন্য সূর্যের আলো এবং খোলা বাতাস অত্যন্ত জরুরি। তাই দিনে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট বাইরে সময় কাটানো উচিত।
সবুজ শাকসবজি খান: ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর সবুজ শাকসবজি শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে শক্তি সরবরাহ করে। নিয়মিত সালাদ ও সবজি খেলে ক্লান্তির অনুভূতি কম হয়।
সঠিকভাবে বসুন: শরীরের জন্য সঠিত রক্ত সঞ্চালন অত্যন্ত জরুরি। মস্তিষ্কের কোনো অংশে যদি রক্ত সঞ্চালন না হয় তবে ঝিমুনিভাব বা অবসাদ অনুভূত হতে পারে।
তাই সোজা হয়ে বসা এবং হাঁটার সময় পিঠ সোজা করে হাঁটতে হবে। এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালণ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকবে।
মনোযোগী হওয়া: যতোটা সম্ভব নিজের কাজে মনোযোগী হোন। কারণ, নিজের কাজের প্রতি আপনি যখন মনোযোগী হবেন তখন আপনার মধ্যে আর আলসেমি থাকবে না। মন সবসময় চাঙা থাকবে।
পরিশেষে বলা যায়, যদি জীবনে উন্নতি করতে চান তবে কখনোই আলসেমি করবেন না। ছোট ছোট আলসেমিগুলোও করবেন না। আলসেমির কোনো উপকারিতা নেই। মনে রাখবেন, অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা।
আরও পড়ুন: চিত্রনায়িকা বুবলি তাহলে শাকিব খানের দ্বিতীয় স্ত্রী – যা জানা গেল শেষমেশ।