অর্শ রোগ
অর্শ রোগের নাম প্রায় সবাই শুনেছেন। এটি যৌন রোগের মধ্যেই পড়ে। অর্শ রোগ হলে খুব অস্বস্তি লাগে। কারও সাথে তেমন বলাও যায় না। এ রোগের কারণ হিসেবে বলা যায়- মলদ্বারের ভিতরে ও বাইরের শিরাগুলো স্ফীত হয়ে ও বড় হয়ে মোটরের মতো বলি বের হয়।
কোন কোন সময় তা একটি থাকে এবং কোন কোন সময় শাখা প্রশাখা বের হয়। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য যদি বহুদিন থেকে চলতেই থাকে, যকৃতের দোষ, মাদক সেবন, অতিরিক্ত মশলাযুক্ত খাবার খাওয়াসহ নানাবিধ কারণে এই হয়ে থাকে। রোগের লক্ষণ খুব স্বাভাবিক। মলদ্বারে কুট কুট করে কামড়ায়, মলদ্বারে জ্বালা হয় এবং রক্তস্রাব হয়।
রোগের চিকিৎসা খুব কঠিন নয়। তবে কাউকে না বলা ও চিকিৎসকের কাছে না যাওয়ার কারণে রোগ বেড়ে যেতে পারে। তাই কখনোই অবহেলা করবেন না। এখানে ভেষজ চিকিৎসা নিয়ে বলা হবে।
গাঁদাল পাতা, দূর্বা ঘাসের রস, কাঁচা হলুদের রস এবং হরিতকি চূর্নের প্রতিটির ৪ চামচ করে মিশিয়ে রোজ সকাল বেলা ও সন্ধ্যা বেলায় ২ চামচ করে সেবন করতে হবে।
কিছু অন্যান্য বিধি-নিষেধ রয়েছে। সাধারনত পেঁপে, ওল, আখের রস, ডুমুর, কচু, পুরণো চালের ভাত এবং মাখন খাবেন। এগুলো আপনার জন্য উপকারি। কিন্তু টক, মিষ্টি, ঝাল ও গুরুপাক (অতিরিক্ত মশা দিয়ে তৈরী রান্না) খাবেন না।
ভগন্দর রোগ
ভগন্দর রোগটা ফোঁড়ার মতো। প্রথমে মলদ্বারের চারপাশে ফুসকুড়ির মতো হয়। তারপর তা বেশ বড় হয়, ফুলে যায়, কয়েকদিন পর তাতে পুঁজ জন্মায়, খুব যন্ত্রণা হয় কিন্তু পূঁজ বের হবার মতো কোনো মুখ থাকে না।
রোগের চিকিৎসা হিসেবে ভেষজ চিকিৎসার কথা বলা হবে। নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে ঐ জায়গায় প্রতিদিন ধৌত করতে হবে। তাহলে উপকার পাবেন। এছাড়াও কিছু ঔষধ সেবন করার প্রয়োজন হতে পারে।
মাছ, মাংস, ডিম এবং সর্ব প্রকার গুরুপাক দ্রব্য খাওয়া পরিত্যাগ করতে হবে। এরকম খাবার ভুল করেও খাওয়া যাবে না। হালকা এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। হতে পারে সবুজ শাক-সবজি, ময়দার রুটি, ডালসহ ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায়, অর্শ এবং ভগন্দর রোগ দুটো কেবল পুরুষের হয় এমন নয়। এগুলোর পুরুষ মহিলা উভয়েরই হয়। তাই যত্নশীল সবারই হওয়া উচিত। রোগ লক্ষণ দেখা দিলে দেরী না করে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং ভেষজ চিকিৎসার পাশাপাশি প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ঘাড় ব্যথা হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা জেনে নিন