কয়েকদিন আগে অভিনেতা আবদুন নুর সজল তার ফেসবুকে অভিনেত্রী পূর্ণিমার সঙ্গে তোলা একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেটি নেট দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছে।
ছবিটি তিনি ফ্যান পেজ থেকে ছেড়েছেন এবং সাথে লাভ রিয়েক্ট দিয়েছেন নিজেই। ক্যাপশনে বা উপরে আর কিছুই লেখা ছিলো না।
ছবিটি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সজল বলেছেন যে, এটা অনেক আগের একটা ছবি। আমি পূর্ণিমাকে অনেক পছন্দ করি। হঠাৎ তার কথা মনে পড়ায় ছবিটি পোস্ট করেছি।
প্রায় ১ যুগেরও বেশি সময় আগে সজল ও পূর্ণিমার প্রথম পরিচয় হয়েছিলো। দুজন একসঙ্গে বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হলো- কুইন, অন্ধজনে অন্ধক্ষণে, নন্দিনী, অসমাপ্ত সহ ইত্যাদি।
তখন থেকেই তারা খুব ভালো বন্ধু হিসেবে পরিচিত। সজল বলেন, পূর্ণিমার সঙ্গে আমার ভালোবাসার সম্পর্কটা অনেক বেশি। আমি পূর্ণিমাকে অনেক আগে থেকেই পছন্দ করি। আসলে সেই মানুষটা পছন্দ করার মতো।
শুটিংয়ে একসঙ্গে আমরা অনেক মজা করতাম। একবার শুটিং করতে গিয়ে কাঁদার মধ্যে পড়ে যাই। তখন গায়ে কাঁদা লেগে গেল। সবাই আমার কষ্ট দেখে বেশ চিন্তিত। কিন্তু পূর্ণিমা হাসছিল।
সে সবসময় মজা করতে পছন্দ করতো। মূলত কাজের জায়গা থেকেই আমাদের সম্পর্ক। আমরা খুব ভালো বন্ধু। আর তাই হঠাৎ ওর কথা মনে হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর তাই দর্শকদের সাথে মনের মধ্যে ভেসে ওঠা সুখটা একটু খানি শেয়ার করার জন্যই ছবিটি পোস্ট করেছি।
আরো কি কারণ রয়েছে পূর্ণিমাকে এতোটা পছন্দ করার এমন প্রশ্নের জবাবে সজল বলেন, শুটিং সেটে ওর মতো প্রাণবন্ত মানুষ খুব একটা দেখা যায় না। পূর্ণিমা সবসময়ই একজন বেস্ট পারফর্মার এবং এন্টারটেইনার।
কখনো যদি কারও মন খারাপ থাকে তখন পূর্ণিমা তার মন ভালো করে দেবে এটাই স্বাভাবিক। আর এমনটা সবসময়ই ও করেছে। তাই সবাই ওকে খুব বেশি ভালোবাসে।
সহকর্মী হিসেবে পূর্ণিমার মতো মানুষ পাওয়া কঠিন ব্যাপার। সহকর্মী হিসেবে ও যেমন ভালো তেমনি ব্যক্তিগত জীবনেও খুব ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত।
একবার পূর্ণিমার একটি শো’তে গিয়েছিলাম। তখন ও আমায় প্রশ্ন করে বসে যে, ঢালিউডে আমার পছন্দের অভিনেত্রী কে? পূর্ণিমা জানতো, সেই-ই কেবল আমার পছন্দের অভিনেত্রী। কিন্তু আমি পছন্দ করতাম শাবনুরকে।
তখন এটা শুনে ও বলতেছিল যে, এর পরে আমার নাম আর বলিস না। আমাদের দুজনের মধ্যে বোঝাপড়া খুব ভালো আর তাই সে আমার সব বিষয়গুলোকে যথেষ্ট সম্মান করে।
সজল প্রতি ঈদে বহুসংখ্যক নাটকে অভিনয় করেন। কিন্তু এবারই প্রথম তার ক্যারিয়ারে কম সংখ্যক নাটকে অভিনয় করছেন। মাত্র চার থেকে পাঁচটি নাটকে সজলকে এবার দেখা যাবে।
পরিচালকরা তাকে অনেক কাজের অফার দিয়েছে। কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছেন। সজল বলেন, ফেরদৌস হাসান রানা ভাইয়ের একটি নাটক ও মাবরুর রশিদ বান্নার দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাতে কেবল কাজ করবো।
গল্প দেখে এবার কাজ করছি। কারণ, যেমন-তেমন গল্পে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ারে বিস্ফোরক মন্তব্য আনতে পারবো না। আমি নিজে শিল্পীর জায়গা থেকে কতোটা মনে রাখার মতো কাজ করছি সেটাই ভাবছি।
যে গল্পগুলোতে সামাজিক বার্তা আছে সেগুলোতে বেশি মনোযোগী হচ্ছি এবং ঐ কাজগুলোই করার চেষ্টা করছি। কারণ, সামাজিক বার্তা আছে এমন নাটকগুলো মানুষ মনে রাখে।
এছাড়াও সামনের দিনগুলোতে আমার ব্যস্ততা বেড়ে যাবে। গতানুগতিক কাজ নিয়ে আর পড়ে থাকতে চাইছি না। খুব সাম্প্রতিক সময়ে সজল ও প্রভা অভিনীত ‘টাকা আমার লাভ কি’ নামক নাটকটি আরটিভির ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল কেনার আগে যে বিষয়গুলোতে নজর দেয়া উচিত।
সবশেষ সজল জানালেন, ভারতের একটি বিশেষ চলচ্চিত্র উৎসব থেকে কাগজের মানুষ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরষ্কার পেয়েছেন।
সজল আরো বলেন, আমি খুবই মিশুক প্রকৃতির। কেউ যদি আমার সাথে একবার সৌজন্যতা দেখায় আমি তার জন্য সারা জীবন আমার মনের দুয়ার খোলা রাখি। আমায় যারা মনে রাখে আমি তাদের সবসময়ই মনে করি। জীবন শুধু আবেগের নয়, ভালোবাসারও।