অনলাইনে পড়াশোনা করার কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ। এখন আর বাচ্চাদের ইচ্ছে করলেও আধুনিকতা থেকে ফেরানো যাবে না।
করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশের প্রায় সব ধরণের স্কুলেই অনলাইনে পড়াশোনা কার্যক্রম চালু ছিল। করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব যদিও কিছুটা কমেছে কিন্তু অনলাইনে পড়াশোনা কিন্তু কমেনি বরং বেড়েছে।
সবার হাতে এখন স্মার্ট ফোন। স্মার্ট ফোনের দামের সহজলভ্যতার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। দেশে রয়েছে বিস্তৃত ফোরজি নেটওয়ার্ক। তাই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের সাহায্যে খুব সহজেই বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছে।
ইউটিউবের নাম আপনার সবাই শুনেছেন। এটা এমন একটা মাধ্যম যেখান থেকে আপনি প্রায় সব কিছুই শিখতে পারবেন। শুধু কাজ হলো যে বিষয়টি আপনি শিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয়টি ঠিকভাবে সার্চ করে বের করে আনা। আর কয়েকদিন প্রাকটিস করলে এটা কোনো বিষয়ই না।
পৃথিবীতে যতগুলো শেখার মাধ্যম রয়েছে তন্মধ্যে ইউটিউবের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। এখানে অনলাইনে শেখার মাধ্যমগুলোর মধ্যে তুলনা করে ইউটিউবের কথা বলা হলো।
কেউ যদি আধুনিকতার স্পর্শ বাদ দিয়ে সেই ১০-১৫ বছর আগের গতানুগতিক পদ্ধতিতে পড়াশোনা করতে চায় তবে অবশ্যই সে পিছিয়ে পড়বে। যারা ভালো করছে তারা অবশ্যই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে।
দৈনন্দিন যতো কাজ আমরা করি তার অধিকাংশ কাজই এখন ইন্টারনেটের সাথে জড়িত। আর পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে খাতা কলমের ব্যবহার কমিয়ে ফেলা হয়েছে। পড়াশোনাটাও হচ্ছে সেখানে ভার্চুয়ালী।
বাংলাদেশের কথা যদি বলি তাহলে বলা যায়, বাংলাদেশ বর্তমানে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশও অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। এখন বাংলাদেশের প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইন্টারনেট সংযোগ হিসেবে ফ্রি ওয়াই-ফাই সংযোগ দেয়া হচ্ছে।
যদিও আমাদের দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক এ ব্যাপারে সচেতন নয়, তবুও আমরা আশা করি ইন্টারনেট সংযোগের কারণে শিক্ষার মান উন্নত হবে।
এ যুগের ছেলে মেয়েরা ব্যাগ ভর্তি বই নিয়ে আর স্কুলে যেতে চায় না। মোবাইলে সামান্য মেমোরি ব্যবহার করে হাজার হাজার বই রাখা সম্ভব। যখন তখন যেখানে সেখানে তা বের করে পড়াশোনাও করা সম্ভব।
ইন্টারনেটে যেহেতু ভালো মন্দ দুটোই আছে সুতরাং কচি ছেলেমেয়েরা এ ব্যাপারে কতোটা সাবধান হবে তা বলা মুশকিল। তবে অভিভাবক মহলকে এ ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন এবং কঠোর হতে হবে। সরকারকেও এ ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
উপরে আমরা ইউটিউবের কথা বলেছি। কিন্তু তা বাদেও এমন কিছু বাংলা ও ইংরেজী মাধ্যমের ওয়েবসাইট রয়েছে যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই দরকারি। আজ আমরা তেমনই কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটের তালিকা এখানে উল্লেখ করবো।
তো আর কথা নয় – অনলাইনে পড়াশোনা করার জন্য ভালো মানের ওয়েবসাইটগুলো এক নজরে দেখে নেই:
২. লেখাপড়া বিডি
৪. শিক্ষক ডট কম
৫. জমপেশ
৬. অভিধান
৭. বিডি ওয়ার্ড
৮. বই বিডি
১০. পিপিলিকা
১১. ইডিপিডু
১২. বিসিএসজিকে
১৩. ইডুকার্নিভাল
১৪. ইডুকেশনবোর্ড
১৫. স্রীজনশীল
১৬. চ্যাম্পস২১
১৭. এগোফরইউ
১৮. ইংভিড
১৯. কুয়োরা
২০. গ্রামার বিডি
উপরের ওয়েবসাইটগুলো ছাড়াও অনলাইনে পড়াশোনা করার জন্য আরো হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট আছে। শুধু আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
তবে বেশি সংখ্যক ওয়েবসাইট খোঁজার কোনো দরকার পড়ে না। ছোট ছোট বিষয় সরাসরি গুগলে সার্চ করলেই সব চলে আসবে। আপনি সব সময় গুগল.কম থেকে পড়াশোনার জন্য সর্বোচ্চ সমাধান পাবেন।
শেখার জন্য ইচ্ছে থাকতে হবে। মোবাইল হাতে আছে, ইন্টারনেট কানেকশান আছে আর আপনি কেবল অনলাইনে গেম খেলে চলেছেন। তাহলে আপনাকে দিয়ে আর যাই হোক, পড়াশোনা হবে না।
আরও পড়ুন: প্রাইমারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় সহজে পাশ করার উপায়।
তাই মোবাইল বা কম্পিউটার যাই থাকুক না কেন সেখান থেকে ভালো কিছু শেখার চেষ্টা করুন। শুধু পাঠ্য পুস্তক সংশ্লিষ্ট জ্ঞান নয়, অনলাইন থেকে আপনি পাঠ্য পুস্তকের বাইরের যেকোন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করতে পারবেন। আজ এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন। ভালো লাগলে লেখাটি শেয়ার করুন।