অনলাইনে আয় খুবই সহজ যখন আপনি কাজ জানবেন। আর কোন কাজই জানেন না তবে অনলাইন থেকে আয় কেবল আপনার স্বপ্নই থেকে যাবে।
নিচে অনেকগুলো কাজের ধারণা দেয়া হয়েছে যেগুলো থেকে অবশ্যই আয় করা সম্ভব। তাই আপনার পছন্দের কাজটি বাছাই করুন, সেটা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন এবং তারপরই আয় শুরু করুন। তো আর কথা নয় – সরাসরি মূল পাতায়:
১. পিটিসি সাইট থেকে আয় করুন:
আপনি যদি অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা করে থাকেন এবং খুব সহজ এবং ঝামেলা ছাড়া কিছু টাকা ইনকাম করতে চান এই যেমন ১০০ ডলার বা তার কম তাহলে আপনার জন্য পিটিসি সাইটগুলো হতে পারে সর্বোত্তম উপায়।
পিটিসি (PTC) মানে হল (Paid To Click) পেইড টু ক্লিক। মানে আপনি এই সাইটগুলো তে যতগুলো অ্যাডে ক্লিক করবেন তার বিপরীতে আপনি নির্দিষ্ট ডলার পাবেন।
পিটিসি সাইটে আপনাকে বিজ্ঞাপনের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে এবং ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য বিজ্ঞাপন দেখতে হবে। আপনার দেখা প্রতিটি বিজ্ঞাপনের জন্য পিটিসি সাইট আপনাকে অর্থ প্রদান করবে।
অনেক সাইট আছে যেখানে আপনি বিনামূল্যে নিবন্ধন করে এবং বিজ্ঞাপন দেখে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই পিটিসি সাইটগুলো থেকে আপনি কোন টাকা ইনভেস্ট না করেই ইনকাম করতে পারেন আবার চাইলে কিছু টাকা খরচ করে রেফারেল কিনে ইনকাম বাড়াতে পারেন।
২. জিপিটি (GPT) সাইট থেকে আয় করুন:
আরো বেশি অনলাইনে আয় করতে যোগ দিতে পারেন জিপিটি সাইটে। জিপিটি সাইটে আপনি ছোট ছোট সার্ভে করে, ভিডিও দেখে, গেম খেলে এবং এই ধরনের আরও অনেক কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আমি অনেক গুলো GPT সাইটে কাজ করেছি তাই আপনাকে শুধু ঐ সাইট গুলোতে কাজ করতে বলবো যারা তাদের সদস্যকে সময়মত পেমেন্ট করে।
নিচের লিংক থেকে জিপিটি সাইট থেকে আয়ের বিস্তারিত দেখে নিন আর সাইনআপ করে কাজ শুরু করুন আজই। আর পেপ্যাল, পাইজা, চেক বা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে আপনার পেমেন্ট উঠাতে পারবেন।
৩. ক্যাপচা সলভ করে আয়:
আপনার যদি হাতে আরও বেশি সময় থাকে তবে আপনি ক্যাপচা সলভার (captcha solver) হিসাবে অনলাইনে আরও বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আর ক্যাপচা সলভার অনলাইন অর্থ উপার্জন সবচেয়ে সহজ উপায় গুলোর অন্যতম একটি কাজ।
একজন ক্যাপচা solver হিসাবে, আপনাকে ক্যাপচার ইমেজ পড়ে বুঝতে হবে এবং সঠিক অক্ষর বা চিহ্ন লিখতে হবে। ভাল আয়ের জন্য আপনাকে খুব দ্রুতই টাইপ করতে জানতে হবে। আপনি প্রতি ১০০০ ক্যাপচা সমাধান করে $ ২ পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ক্যাপচা সমাধান করতে আগ্রহী হন তবে Kolotibablo, MegaTypers, CaptchaTypers, ProTypers, Captcha2Cash, 2Captcha, Qlinkgroup, VirtualBee, FastTypers, PixProfit, এই ক্যাপচা সাইট গুলোতে সাইনআপ করে কাজ শুরু করতে পারেন।
৪. জরিপ বা সার্ভে থেকে ইনকাম করুন:
কোন প্রতিষ্ঠানের বা ব্র্যান্ডের পণ্যের উপর ৫ থেকে ৩০ মিনিট সময় নিয়ে সার্ভে বা জরিপ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনলাইন সার্ভে করে আপনি উপরের যে কোন উপায় থেকে আরও বেশি আয় করতে পারবেন।
সার্ভে করার জন্য আপনাকে উক্ত পন্য বা সেবা সম্পর্কে মতামত দিতে হবে। সার্ভে বা জরিপের ক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র প্রশ্ন থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী উত্তর নির্বাচন করতে হবে, অতিরিক্ত কিছুই লিখতে হবে নেই।
জরিপের দৈর্ঘ্য, আপনার প্রোফাইল এবং আপনি যে দেশে বসবাস করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনি প্রতিটি সার্ভের জন্য $ ১ থেকে $ ২০ ইনকাম করতে পারেন।
৫. অ্যাডসেন্স এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে আয়:
যদিও এই তালিকায় আমার সবচেয়ে প্রিয় উপায় এটি কিন্তু আমি এটিকে ৫ নাম্বারে রেখেছি কারণ এটি অন্য ৪টি উপর থেকে একটু কঠিন এবং গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে বেশ সময় লাগে।
সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট ওনার তাদের সাইট দিয়ে মাসে হাজার থেকে লক্ষ ডলার ইনকাম করছে।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে (অবশ্য চাইলেই যে কেউ এখন নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে) এবং কিছু ট্রিকস অবলম্বন করে ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক বা ভিজিটর আনতে হবে তাহলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের এটাই সবথেকে দীর্ঘস্থায়ী উপায়। আপনার যদি ভাল কন্টেন্ট সমৃদ্ধ একটি ব্লগ সাইট বা ওয়েবসাইট থাকে তবে আপনার অনলাইন ইনকাম চলতেই থাকবে।
কিছুদিন আগেও বাংলা ওয়েবসাইট বা ব্লগে গুগল অ্যাডসেন্স অনুমোদন ছিল না। কিন্তু গত বছর থেকে গুগল তাদের অ্যাডসেন্সে বাংলা ভাষা তালিকা ভুক্ত করার যে কেউ তার বাংলা ওয়েবসাইট বা ব্লগ দিয়েই টাকা ইনকাম করতে পারে।
এছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যেমন মিডিয়া.নেট, বিডভারটাইজার, ইনফোলিংকস, অ্যাডভার্সাল মাধ্যমে আপনার সাইটে অ্যাড দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
৬. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম:
যদি আপনি অনলাইনে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে খুব সিরিয়াস হয়ে থাকনে এবং যদি পরিশ্রমী আর ধরজশীল মানুষ হন তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।
অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় মানুষ এখন বেশি অনলাইন শপিং করছে। আর এই অনলাইন শপিংয়ের ঊর্ধ্বমুখী বিকাশের কারণেই আগের তুলনায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন করার সুযোগ বেড়েছে।
ফ্লিপকার্ট, আমাজন, ইবে, ক্লিক ব্যাঙ্ক, সিজে, আলিবাবা ইত্যাদি শত শত অনলাইন মার্কেটপ্লেস আছে যেখানে আপনি অনলাইনে তাদের পন্যের প্রচার করতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সঠিক পণ্য কেনার জন্য গ্রাহকদের সহায়তা করতে পারেন। পরিবর্তে উক্ত পণ্যের বিক্রয়ের উপর পন্য এবং মার্কেট প্লেস ভেদে আপনি ৪% থেকে ২০% পর্যন্ত কমিশন উপার্জন করতে পারেন।
ওয়ার্ল্ডে এখন এমনও এফিলিয়েট মার্কেটার আছেন যারা প্রতি মাসে হাজার হাজার নয় লক্ষ লক্ষ ডলার ইনকাম করছেন।
৭. ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আয় করুন:
এডসেন্স এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পরে অনলাইন ইনকামের আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনি অস্থায়ী ভাবে পৃথিবীর নানা প্রান্তের বিভিন্ন ছোট/বড় সংস্থাগুলির সাথে কাজ করতে পারেন এবং তাদেরকে সেবা প্রদান করতে পারেন।
আপনি যে কাজে দক্ষ তার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে মাসে $৫০০ থেকে $২০০০+ পর্যন্ত আয় করত পারেন।
কন্টেন্ট লেখা, ওয়েব ডিজাইনার, গ্রাফিক ডিজাইন বা এসইও, ডেটা এন্ট্রি, এপস ডেভেলপমেন্ট এবং আরো অনেক ধরনের কাজ করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করার জন্য আপনি ইল্যান্সার, ফ্রিল্যান্সার ডট কম, ওয়ার্ক এন্ড হায়ার, আপ ওয়ার্ক, পিপল পার আওয়ার এই ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোর যেকোন এক বা একাধিক সাইটে সাইনআপ করে কাজ শুরু করতে পারেন।
তবে একটা কথা বলি যে কোন একটা কাজে দক্ষ হয়ে কাজ শুরু করুন। তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার সফলতা কেউ আটকাতে পারবে না।
৮. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা ভার্চুয়াল সহকারী হিসাবে ইনকাম করুন:
একজন ভার্চুয়াল সহকারী একজন ব্যক্তিগত সহকারীর মতোই, পার্থক্য শুধু যিনি শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও অনলাইনে সহকারী হিসাবে কাজ করেন।
ভার্চুয়াল সহকারী হিসাবে আপনাকে যে কাজগুলো করতে হবে তার ভিতর অন্যতম হল ওয়েবসাইট মনিটরিং করা, পরামর্শদান, কন্টেন্ট লেখা, প্রুফরিডিং, পাবলিশিং, মার্কেটিং, কোডিং, ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব রিসার্চ, স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং সহ আরও অনেক ধরনের কাজ।
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করার জন্য অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেমন- HireMyMom, MyTasker, Zirtual, uAssistMe, 123Employee । এগুলোতে সাইন আপ করে আপনি আপনার অনলাইন ক্যারিয়ার শুরু করে দিতে পারেন।
৯. এসইও:
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও (SEO) হল অনলাইনে সর্বাধিক জনপ্রিয় একটি কাজ। আপনি যদি এসইও কাজ পারেন তবে আপনাকে অনলাইনে টাকা উপার্জন করার বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না।
অনলাইনে হাজার হাজার ওয়েবসাইট এবং কোম্পানি আছে যারা এসইওতে প্রতি মাসে হাজার হাজার ডলার খরচ করে যাতে তাদের ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনের সার্চে প্রথম দেখায়।
আপনি এসইও কাজ শিখতে চাইলে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা এসইও কাজ শেখায় তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আর নিজে নিজে শিখতে চাইলে ইউটিউবে এবং গুগলে হাজার হাজার লেখা আছে সেগুলো দেখে শিখতে পারেন।
১০. কন্টেন্ট রাইটিং বা লেখালেখি:
ইন্টারনেটে অর্থ উপার্জন করার অন্য আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হল বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লেখা। আপনি বিভিন্ন ব্লগ, কোম্পানি, প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি, পন্য নিয়ে লিখতে পারেন।
বিভিন্ন ধরনের লেখার জন্য কন্টেন্ট রাইটাররা বিভিন্ন পরিমানে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন। তবে সাধারনত কন্টেন্ট রাইটাররা ৫০০ শব্দের কন্টেন্ট এর জন্য ৫ ডলার বা তারও বেশি অর্থ পেয়ে থাকেন।
আপনি কন্টেন্ট লেখার কাজ পেতে Elance, iWriter, WriterBay, FreelanceWriting, TextBroker, ExpressWriters.com, FreelanceWritingGigs.com মত সাইটে যেতে পারেন।
গত পর্বে আমরা দেখেছি অনলাইনে আয় করার বা ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার গড়ার নির্ভরযোগ্য এবং সেরা ১০ টি উপায়। আজ আমরা দেখব অনলাইনে আয় করার সেরা ২১ টি উপায়ের বাকি ১১ টি উপায় বা পদ্ধতি।
আসলে আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে বা একাধিক বিষয়ে এক্সপার্ট হন তাহলে আপনার অনলাইন আয় বা ইনকাম হবেই। এজন্য শুধু দরকার সঠিক গাইডলাইন আর সঠিক পথে আয় করার চেষ্টা করা।
আপনি অনলাইনে আয় করার কোন শর্টকার্ট উপায় পাবেন না। আপনাকে ধৈর্য ধরে একটানা কাজ করে যেতেই হবে। তাহলে ৬ মাস থেকে ১ বছর পরে দেখবেন আপনি অন্যদের ছাড়িয়ে অনেকদুর চলে এসেছেন।
তো চলুন দেখে নেই অনলাইনে আয় করার সেরা ২১ টি উপায়ের বাকি ১১ টি উপায় বা পদ্ধতি। আর যারা প্রথম লেখাটি পড়েন নি তারা ঝটপট নিচের লিংক থেকে পড়ে নিন।
১১. ওয়েব ডিজাইন করে আয়:
আপনি যদি ভাল ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ পারেন তবে যেসব গ্রাহক তাদের নতুন ওয়েবসাইট তৈরি বা পুরাতন ওয়েবসাইট নতুঙ্করে সাজাতে চায়, তাদের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে আয় করতে পারেন।
যদি আপনার ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজ জানা না থাকে তাহলে আগে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শিখুন এবং তারপর শুরু করুন।
দিন দিন ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের কাজের চাহিদা বাড়ছে কারণ এখন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই চায় নিজেদের একটি করে ওয়েবসাইট।
তাছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও দিন দিন ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটের চাহিদা বাড়ছে। আপনি অফলাইন বা আপনার নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে প্রোমোশন করে কাজ পেতে পারেন।
১২. মাইক্রো-ওয়ার্কার হিসাবে আয় করুন:
যদি আপনি অনলাইনে সহজ কাজ খুঁজেন এবং মাসে ১০০ থেকে ২০০ ডলার ইনকাম করতে চান তবে মাইক্রো-ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করতে পারেন।
মাইক্রো-ওয়ার্কার হিসাবে আপনি বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন কাজ করতে পারেন যেমন একটি বস্তু সনাক্তকরণ, বিভিন্ন সাইটে রেটিং এবং মন্তব্য করা, ওয়েবসাইট ভিজিট করা, ভিডিও দেখা, কন্টাক ডিটেইলস খোঁজা, ছোট ধরনের ওয়েব রিসার্চ করা, ছোট কন্টেন্ট লেখা ইত্যাদি।
অনেক ওয়েবসাইট আছে যেমন mTurk, মাইক্রোওয়ার্কার, SEOClerk, ClickWorker, GigWalk যেখানে আপনি মাইক্রো-ওয়ার্কার হিসাবে কাজ করতে পারেন এবং অতিরিক্ত আয় উপার্জন করতে পারেন।
১৩. Fiverr এর মাধ্যমে আয়:
Fiverr এমন একটি ওয়েব প্লাটফর্ম যেখানে আপনি আপনার ডিজিটাল কন্টেন্ট বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
Fiverr এর ওয়েবসাইটে যান এবং দেখুন আপনি ঠিক কোন ধরনের কাজ করতে পারেন। যে কোন একটি গিগস বা ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করুন এবং ফিভার এ দিয়ে মানুষকে জানাতে পারেন আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে।
ফিভার এ যে কোন কন্টেন বিক্রি হয় সর্বনিম্ন ৫ ডলারে। তাই যদি আপনি মাত্র ১টি ডিজিটাল কন্টেন্ট বা সেবা ডেভেলপ করেন এবং এটি যদি প্রতিদিন ১বারও বিক্রি হয় তাহলে মাসে আপনি সর্বনিম্ন ১৫০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
১৪. ইউটিউব থেকে আয়:
বর্তমান সময়ে ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় একটা ক্রেজি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী বা যা করতে ভালোবাসেন এমন যে কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও ধারন করা শুরু করতে পারেন এবং তা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন।
আপনার ইউটিউব চ্যানেল যে কোন বিষয় নিয়ে হতে পারে যেমন, কোন শিক্ষণীয় বিষয়, ভ্রমন, এন্টারটেইনমেন্ট সহ যে কোন কিছুই।
প্রফেশনাল ক্যামেরা লাইট, ক্রু, অভিনেতা নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে হবে এমন কোন কথা নাই। এমন অনেক সফল ইউটিউবার আছে যারা শুধু তাহের হাতের স্মার্ট ফোন দিয়েই ভিডিও করে ইউটিউবে প্রকাশ করে সফল হয়েছে।
অবশ্য এখন ইউটিউবের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আপনার চ্যানেলে যদি ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকে আর আপনার ভিডিওগুলোর মোট ৪০ হাজার ঘন্টা দেখা হয় তাহলে আপনি ইউটিউবে মানিটাইজেশন করে ইউটিউব থেকে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
আপনাকে কেবল YouTube- এ নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং YouTube পার্টনার হতে হবে। ভাল ভিডিও হলে মানুষ দেখবেই আর যত বেশি ভিউ ততো বেশি অ্যাড থেকে রেভিনিউ।
১৫. ই-কমার্স সাইট থেকে ইনকাম:
মানুষ দিন দিন খুব বেশি অনলাইন কেনা কাটার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ই-কমার্স সাইট বা অনলাইন মার্কেট প্লেসে জমজমা অবস্থা।
আর তাইতো আমাজন আলিবাবার মত প্রতিষ্ঠানের মালিকরা আজ পৃথিবীর সেরা ধনী। আপনি চাইলে নিজেই অথবা বন্ধু বান্ধব মিলে শুরু করতে পারেন নিজেদের ই-কমার্স সাইট।
তবে ই-কমার্স সাইট করে সফল হতে হলে আপনাকে কিছু ট্রিক্স অবলম্বন করতে হবে। আপনার আসে পাশের সেই পন্য গুলো নিয়ে কাজ করুন যে গুলো এখনো অনলাইনে সচরচর পাওয়া যায় না।
মানুষের দোরগোড়ায় ভাল মানের পন্য পৌঁছে দিন প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কেটের তুলনায় কিছুটা কম মূল্যে। সফলতার জন্য এই ২টি টিপস আপনাকে এগিয়ে রাখবে বাজারে।
বিশ্বাস করুন আপনি যত টা কঠিন ভাবছেন এটা করা তার থেকে অনেক সহজ শুধু আপনাকে শুরু করতে হবে এবং ধর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।
১৬. ডোমেইন ট্রেডিং করে অনলাইন ইনকাম:
অনলাইনে ভাল অঙ্কের ইনকাম করার অন্যতম একটা উপায় হল ডোমেন ট্রেডিং বা ডোমেইন ব্যবসা যা আপনি অনলাইন করতে পারেন। তবে এই ব্যবসায় আপনাকে ডোমেইন কেনার জন্য কিছু বিনিয়োগ করতে হবে।
ডোমেইন ট্রেডিং এর ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে বিস্তারিত জেনে বুঝে তারপর শুরু করতে হবে।
আপনি যদি না বুঝে এই লাইনে ইনভেস্ট করেন তবে আপনার পুরো টাকাটা লস হয়ে যেতে পারে। তাই আগে ডোমেইন ট্রেডিং কি, ভবিষ্যতে কোন ডোমেইন নাম এর চাহিদা হতে পারে এগুলো ভালভাবে রিসার্চ করে তারপর এই ব্যবসায় নামুন।
ডোমেইন ট্রেডিং এর জন্য আপনি ১০ ডলার বা তার কম মূল্যে গো-ড্যাড্ডি বা অন্য ডোমেইন হস্টার থেকে ডোমেইন কিনে রাখতে পারেন এবং ভবিষ্যতে তা শত শত ডলারে বিক্রি করতে পারেন।
তবে এই ব্যবসায় সফলতা পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার দক্ষতার উপর। আপনাকে বুঝতে হবে ভবিষ্যতে কোন ডোমেইন নেম এর চাহিদা হবে এবং সেটা কিনে ফেলা।
তারপর কোন প্রতিষ্ঠান যখন ঐ ডোমেইন কিনতে চাইবে সে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আর তখন দাম নির্ধারণ পুরোটাই আপনার হাতে থাকবে।
এছাড়া বিভিন্য অনলাইন ডোমেইন নিলামে আপনি আপনার হাতে থাকা ডোমেইন গুলো উঠাতে পারেন এবং ভাল দামে বিক্রি করতে পারেন।
১৭. ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করে ইনকাম:
ডোমেন ট্রেডিং এর মতই ওয়েবসাইট ফ্লিপিং অনলাইনে ডলার ইনকাম করার জন্য আরও একটি ভাল ব্যবসা। এখানে আপনি ডোমেইন বিক্রি করবেন না, বিক্রি করবেন ওয়েবসাইট।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং এর জন্য আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, তারপর এটি ৩ থেকে ৬ মাস বা তার বেশি সময় ধরে বড় করুন এবং এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম শুরু করুন।
২-৩ মাস জন্য ইনকাম করার পরে, আপনি Flippa এবং অন্যান্য ওয়েবসাইট ফ্লিপিং নিলামে সেই সাইটটি বিক্রির জন্য উঠাতে পারেন। আপনি সহজেই আপনার বানানো এই ওয়েবসাইটটি ১৫ থেকে ২০ গুন বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন।
১৮. স্টক এবং ফরেক্স ট্রেডিং করে আয়:
স্টক ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং তাদের জন্য অনলাইন ইনকামের একটি অত্যন্ত লাভজনক উপায় যাদের স্টক ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কে ভাল ধারণা আছে।
ইন্টারনেটে স্টক ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং এর উপর বিনামূল্যে বা প্রিমিয়াম কোর্স পাওয়া যায় যেগুলির মাধ্যমে অনলাইনে ট্রেডিংয়ের খুটি নাটি সহ সব জানতে পারবেন।
এছাড়া বিভিন্ন অর্থনৈতিক অনলাইন নিউজপেপার পরেও আপনি স্টক ট্রেডিং এবং ফরেক্স ট্রেডিং সম্পর্কে ভাল ধারণা পেতে পারেন। তবে হ্যাঁ যথেষ্ট জ্ঞান ছাড়া এই বাজারে প্রবেশ কর খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এটা মাথায় রাখবেন।
১৯. অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম:
ছবি তোলা যদি আপনার পছন্দের হবি হয়ে থাকে তবে আপনার এই হবি দিয়ের মাসে হাজার ডলার ইনকাম করতে পারেন।
আপনি আসেপাসের প্রকৃতি, স্থান, মানুষ, জিনিস, খাবার, সহ যে কোন কিছুর ভাল ছবি তুলুন এবং সেগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
শাট্টারস্টক, ফোটোলিয়া, আইস্টকফটো, ফটোবিককেটের মত বড় বড় সাইটগুলি রয়েছে যেখানে আপনি আপনার তোলা ফটো জমা দিতে পারেন। যখনই কোনও গ্রাহক আপনার তোলা কোন ছবি কিনবে, আপনি আপনার ছবির নির্দিষ্ট মূল্য পেয়ে যাবেন।
২০. আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম:
আচ্ছা সারা দিন তো আমরা আমাদের স্মার্ট ফোন নিয়েই থাকি। তো কেমন হয় যদি সারা দিনের কাজের মাঝে এই স্মারতফোন দিয়েই কিছু টাকা ইনকাম করা গেলে।
নিশ্চয় মন্দ হতো না। আপনি আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে কিছু সহজ কাজ করে ডলার ইনকাম করতে পারেন।
স্মার্ট ফোন দিয়ে ইনকাম করার জন্য এমন অনেক এপ্লিকেশন আছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনি মাসে ১০০ থেকে ১৫০ ডলার অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য আপনাকে যে কাজ করতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হল অ্যাপ রেফার করে আয়, কিছু ছোট সার্ভে করতে হবে, অন্য ওয়েবসাইটে সাইনআপ করতে হবে, গেম খেলতে হবে, ভিডিও দেখতে হবে, ইত্যাদি।
২১. স্যোসাল মিডিয়া থেকে ইনকাম:
সোশ্যাল মিডিয়া শুধু বন্ধু, পরিবার, সহকর্মী বা অনলাইন ফ্রেন্ডদের সাথে যোগাযোগ রাখার মাধ্যম হিসাবে নয়।
আপনি চাইলে রাখতে স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতিমাসে বাড়তি ইনকাম করতে পারেন। আপনি আপনার সকল স্যোসাল মিডিয়া যেমন
ফেসবুক থেকে ইনকাম;
টুইটার থেকে ইনকাম;
গুগল প্লাস+ থেকে ইনকাম;
ইন্সটাগ্রাম থেকে ইনকাম;
লিঙ্কডিন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার যদি ফেসবুকে ৫০০০ এর উপর ফ্যান সহ কোন ফ্যানপেজ থাকে অথবা অন্য স্যোসাল মিডিয়া যেমন টুইটার, গুগল প্লাস, ইন্সটাগ্রাম বা লিঙ্কডিনে নির্দিষ্ট পরিমানে ফলোয়ার থাকে তবে আপনি বিভিন্ন সাইট বা ব্র্যান্ডের প্রোমোশন করে ইনকাম করতে পারেন।
পরিশেষে বলা যায়, অনলাইন আয় মূলত নির্ভর করে আপনার কাজের দক্ষতার উপর। অনলাইনে আয় করার জন্য হাজারও কাজ পড়ে আছে।
কিন্তু আপনার যদি একটি কাজেরও অভিজ্ঞতা না থাকে তবে আপনি কিভাবে আয় করবেন? তাই আগে যেকোন একটি বিষয় বেছে নিন এবং তারপর কাজে নামুন। অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।
আরও পড়ুন: অনলাইন ইনকাম – এই ৬টি কাজ থেকে বাছাই করে নিন নিজের পছন্দের কাজটি।